শীঘ্রই উৎক্ষেপিত হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-২

১১মে ২০১৮ নিজেদের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে মহাকাশে আমাদের অবস্থান নিশ্চিতকল্পে প্রথম যাত্রা শুরু হয়। প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরপরই দ্বিতীয় স্যাটেলাইট পাঠানোর কথা জানানো হয় নানা গণমাধ্যমে। সম্প্রতি সেই দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (BSCL) জানুয়ারি মাসে এ ব্যাপারে প্রাইসওয়াটার হাউসকুপারস (PwC) নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। BSCL এর পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী এবং PwC এর পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল স্পেস পরাক্টিস লিডার লুইগি স্কটিয়া।

শাহরিয়ার আহমেদ জানান ৯০ দিনের মধ্যে PwC তাদের সুপারিশ জমা দিবে। এরপর সুপারিশপত্রটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। BSCL এর পক্ষ থেকে আরও বলা হয় সুপারিশপত্র হাতে পাওয়ার পর খরচের বিষয়টি পরিষ্কার হবে এবং তা মূল্যায়ন করা যাবে। BSLC এর চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপনের জন্য মোট একুশটি কোম্পানি আবেদন করে। ভালো কোম্পানি ও যথাযথ খরচের কথা বিবেচনা করে PwC কে নির্বাচন করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু ১ উৎক্ষেপনের পরপরই দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও কোভিড মহামারির কারণে কাজ বার বার পিছিয়ে গেছে। সাত মাস কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর অবশেষে চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে BSCL এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০২৩ সালের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে। দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কারণ ব্যাখ্যা করতে যেয়ে BSLC এর চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে বিদেশী স্যাটেলাইটের উপরে আমাদের নির্ভরশীলতা কমবে, একই সাথে আমাদের টেকনোলজির দিক থেকেও উন্নতি সাধিত হবে।

চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদান করেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল জব্বার। তিনি বলেন, “প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের সময় অনেকে ঠাট্টা-তামাশা করেছিল। অথচ এখন তা সঠিকভাবে আমাদের প্রদক্ষিণ করছে। আমরা এটা নিয়ে গর্বিত।”

তিনি আরো জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ শুধুমাত্র বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য উৎক্ষেপিত হবে না। বরং, বাণিজ্যিক কাজের পাশাপাশি স্যাটেলাইটটি উপকূলীয়, চর ও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে নজরদারি বাড়াবে। এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন হলে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় আমাদের সক্ষমতা দ্বিগুণ হবে বলে আশা করা যায়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *