তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রের তাৎপর্য (Significance of the first law of Thermodynamics)
তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রের তাৎপর্যসমূহ নিম্নরূপ-
১) এর প্রধান তাৎপর্য হচ্ছে এটি তাপ ও কাজের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে।
২) কোনো কিছু ব্যয় না করে কাজ বা শক্তি পাওয়া অসম্ভব।
৩) এ সূত্র অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ পেতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপের প্রয়োজন অথবা নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপ পেতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ সম্পাদন করা প্রয়োজন।
৪) কাজ ও তাপ পরস্পরের সমতুল্য এবং কাজ ও তাপের রূপান্তরে শক্তির নিত্যতা অক্ষুণ্ন থাকে।
৫) কোনো ব্যবস্থায় প্রযুক্ত তাপ সম্পাদিত কাজ ও অভ্যন্তরীণ শক্তির পরিবর্তনের সমষ্টির সমান।
৬) জ্বালানি বা শক্তি সরবরাহ ব্যতিরেকে কাজ করতে সক্ষম এমন কোনো যন্ত্রের উদ্ভব হয়নি অর্থাৎ অনন্ত গতিযুক্ত যন্ত্র তৈরি সম্ভব নয় বা শক্তি ব্যয় না করে অবিরাম কাজ পাওয়া সম্ভব নয়।