কবিতা কি, বৈশিষ্ট্য ও শ্রেণীবিভাগ । বাংলা সাহিত্যে কবিতা

মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মানুষের রয়েছে তীব্র আকাঙ্খা। সেই মনের ভাব যদি প্রকাশ করা যায় ছন্দে ছন্দে, তাহলে তো আকাঙ্খার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। সাহিত্য হচ্ছে সেই আকাঙ্খা প্রকাশের তীব্র এক রূপের নাম। সাহিত্যে রয়েছে বিভিন্ন শাখা এবং প্রশাখা, যার মাধ্যমে মানুষ তার মনের আকাঙ্খা বা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। যারা সাহিত্যে মনের ভাব অন্যন্য মাধুর্য দিয়ে প্রতিফলিত করে তাঁদেরকে সাহিত্যবিদ বলা হয়ে থাকে। বাংলা সাহিত্যকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, যথা: গদ্য সাহিত্য ও কাব্য সাহিত্য। বাংলা কাব্য সাহিত্যে রয়েছে কবিতার একাংশ।

কবিতা কি ?

মানুষ বা ব্যক্তি যখন মনের ভাব (সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, ইত্যাদি) ছন্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে, তখন তাকে কবিতা বলে। যিনি কবিতা লিখেন তিনি কবি। সাহিত্যে যখন ছন্দের অলংকার মিশানো হয় তখন তা কাব্যিক রূপ ধারণ করে। কবির আনন্দ-বেদনা প্রকাশের একটি পন্থা হচ্ছে কবিতা।

কবিতার উদাহরণ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর মনের ভাব প্রকাশ করেন এই রূপে,

” অন্তর হতে আহরি বচন,

আনন্দলোক করি বিরচন

গীতরসধারা করি সিঞ্জন”

এই তিনটি বাক্যের মাধ্যমে কবি মনের বেদনাবদ্ধ এক ভূমির প্রকাশ পেয়েছে। বাক্যে তিনটিতে ছন্দের মিল হয়েছে তিনটি শব্দ দ্বারা, যথা: বচন, বিরচন, সিঞ্জন। ‘চ’ এবং ‘ন’ দিয়ে কবিতার ছন্দ মিলনের এক রূপ ব্যক্ত হয়েছে।

কবিতার বৈশিষ্ট্য

ক. কবিতায় বস্তু ও মানবজীবনের বাহ্য জগতের কাহিনী প্রকাশ পায়।

খ. কবিতায় ভাবকে রূপে প্রকাশ করা হয়। কবিতার ভাবের মধ্য দিয়ে আসল অর্থ থাকবে লুকায়িত। কবি তাঁর মাধুর্য দিয়ে কাব্যিক রূপে কবিতার দেহ আকৃতি দিয়ে থাকেন।

গ. সত্য বা অসত্য কাল্পনিক রূপে কবিতায় প্রতিফলিত হবে।

ঘ. কবিতার মূল বৈশিষ্ট্য হল ‘ছন্দ’। রস-কসের মাধ্যমে কবিতা গড়ে উঠলেও, কবিতার ছন্দই কবিতাকে প্রাথমিক পরিচয় দান করে থাকে।

ঙ. কবিতায়  যতিচিহ্ন এবং শব্দের বিন্যাস কবিতার ছন্দকে সংজ্ঞায়িত করে থাকে। একটি কবিতার মূল মাপকাঠি হচ্ছে কবিতাটির ছন্দ।

চ. একটি কাল্পনিক চিত্র একটি কবিতার মূল ভাব প্রকাশ করে। বাংলা সাহিত্যে, কবিতার বাক্যের সাথে কাল্পনিক চিত্রকর্ম অঙ্কন করা হয় মূলত কবিতায় কবি কি দেখেছেন তারই বহিঃপ্রকাশ করার জন্য।

কবিতার প্রকারভেদ

পৃথিবীতে অনেক ভাষায় সাহিত্য রচিত হয়ে থাকে। ইংরেজী বা ফ্রান্সের সাহিত্যে যেমন আদি নিদর্শন পাওয়া যায়, তেমনি বাংলা সাহিত্যে আদি নিদর্শন রয়েছে। বাংলা সাহিত্যে সেই আদি নিদর্শন হচ্ছে পদ্য সাহিত্য বা কবিতা। বাংলা গদ্য সাহিত্যের শুরু প্রায় দুইশত বছর পূর্বে, কিন্তু পদ্য সাহিত্য শুরু হয়েছে তার ও অনেক পূর্বে। বাংলা সাহিত্যে পদ্য সাহিত্যের বয়স প্রায় এক হাজার বছর হবে। বাংলা আদি-সাহিত্যের বেশির ভাগই দখল করে আছে এই পদ্য সাহিত্য বা কবিতা। পদ্য সাহিত্য বা কবিতাক দুই ভাগে বিভক্ত, যথা :

১। মন্ময় বা গীতিকবিতা (Subjective Poetry)কবির যখন ব্যক্তিগত অনুভূতি, অন্তর অনুভূতি, এবং বহির্গত অনুভূতি কাব্যিক রূপে প্রকাশ পায়, তখন ঐ কবিতাকে মন্ময় বা গীতিকবিতা বলে। মন্ময় কবিতায় ব্যক্তি অনুভূতি হচ্ছে প্রধান আলোচ্য বিষয়। শতভাগ মন্ময় কবিতা রচনা করা অসম্ভব।

মন্ময় কবিতাকে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়,

ক. ভক্তিমূলক কবিতা

খ. প্রেমমূলক কবিতা

গ. চিন্তামূলক কবিতা

ঘ. স্বদেশপ্রীতিমূলক কবিতা

ঙ. সনেট

চ. প্রকৃতিবিষয়ক কবিতা

ছ. শোকগীতি

জ. লঘু বৈঠকী কবিতা

ঝ. ওড জাতীয় কবিতা

২। তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ কবিতা (Objective Poetry)কবি যখন বস্তুজগৎকে কাব্যিক রূপে প্রকাশ করেন, তখন তাকে তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ কবিতা বলে।  তন্ময় কবিতায় বস্তু সত্তাকে তুলে ধরা হচ্ছে মূলমন্ত্র। সুম্পূর্ণরূপে তন্ময় বা বস্তুনিষ্ঠ কবিতা সম্ভব নয়।

ক. গাথা কবিতা

খ. মহাকাব্য

গ. রূপক কবিতা

ঘ. ব্যঙ্গ কবিতা

ঙ. লিপি কবিতা

চ. নীতি কবিতা

 

বাংলা সাহিত্যে কবিদের ও কাব্যগ্রন্থের তালিকা

১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ বনফুল, কড়ি ও কোমল, মানসী, প্রভাত সংগীত, সঞ্চয়িতা, গীতাঞ্জলি, চিত্রা, ক্ষণিকা, আরোগ্য, সেঁজুতি, শ্যামলী, শেষ সপ্তক, পুনশ্চ, চৈতালী, বলাকা, সোনার তরী, সানাই, পূরবী, তীর্থযাত্রী, জন্মদিনে, শেষ লেখা, সন্ধ্যা সংগীত, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ।

কাব্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ক. ‘একজন কবির সঙ্গে শিল্পীকে’ দৃশ্যটি দেখা যায় ‘সোনার তরী’ কাব্যে

খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্য গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।’গীতাঞ্জলি’ গ্রন্থটি ‘Song Offerings’ নামে ইংরেজী poetry তে অনুবাদ করা হয়। তবে, ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যটি প্রকাশিত হয় ১৯১০।

গ. ‘সোনার তরী’ কবিতাটি রচিত হয়েছিল মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।

ঘ. রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কবিতার মধ্যে ‘জীবনের জলছবি’ অন্যতম।

ঙ. মাত্র ১২ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘হিন্দু মেলার উপহার’ কবিতা প্রকাশিত করেন।

চ. ‘১৪০০ সাল’ ও ‘ছবি’ রবীন্দ্রনাথের দুইটি বিখ্যাত কবিতার নাম।

ছ. রবীন্দ্রনাথের ‘ঐকতান’ কবিতাটি প্রবহমান অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।

জ. ‘হিং টিং ছট’ হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতার নাম।

২. মোজাম্মেল হক

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ কুসুমাঞ্জলি, অপূর্ব দর্শন, হজরত মোহাম্মদ, প্রেমহার ।

৩. প্রমথ চৌধুরী

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ।

বাংলা কাব্যে প্রমথ চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ক. ইংরেজি ও ফরাসি সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরী পন্ডিত হওয়ায়, ফরাসি ভাষার সনেটরীতিকে বাংলা ‘ট্রিলজি’ তে প্রবর্তন করতে সক্ষম হন।

খ. বাংলা সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরী কাব্যে ভূমিকা রাখলেও মূলত তিনি একজন প্রাবন্ধিক।

গ. প্রমথ চৌধুরী প্রথম বাংলা কাব্য সাহিত্যে ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।

৪. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সিরাজী

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ অনল প্রবাহ, স্পেনবিজয়, মহাশিক্ষা।

৫. সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ অনুবাদমূলক কাব্য (তীর্থ সলিল, তীর্থ রেণু , মণি মঞ্জষা) । মৌলিক কাব্য (বেণু ও বীণা, কুহু ও কেকা, অভ্র-আবীর)

বাংলা কাব্যে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এর  গুরুত্বপূর্ণ চরণ

‘মধুর চেয়ে আরও মধুর সে আমার দেশের মাটি। আমার দেশের পথের ধুলা খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’ ।

৬. মোহিতলাল মজুমদার

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ স্বপনপসারী, বিস্মরণী, স্মর গরল, হেমন্ত গোধূলী।

মোহিতলাল মজুমদারকে নিয়ে বাংলা কাব্যে প্রয়োজনীয় তথ্য

ক. বাংলা শব্দের সাথে প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দের মিশ্রণ ঘটিয়ে কাব্য রচনা করতেন মোহিতলাল মজুমদার।

খ. বাংলা কাব্যে ‘ছন্দ চতুর্দশ’ তাঁর অন্যতম বিখ্যাত সনেট রচনা।

৭. যতীন্দ্রমোহন বাগচী

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ অপরাজিতা, নীহারিকা।

৮. কামিনী রায়

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ অশোক সঙ্গীত, আলো ও ছায়া, দীপ ও ধূপ, মাল্য ও নির্মাল্য।

৯. সুকুমার রায়

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ আবোল তাবোল।

১০. কাজী নজরুল ইসলাম

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ শিশুতোষ কাব্য(ঝিঙেফুল, খোকার সাধ, সাত ভাই চম্পা) । বিদ্রোহ প্রধান কাব্য ( অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশী, প্রলোশিখা, সন্ধ্যা, জিঞ্জির, সর্বহারা, ফণিমনসা, সাম্যবাদী, ভাঙার গান ) । প্রেমপ্রধান কাব্য (চক্রবাক, সিন্ধু হিন্দোল, ছায়ানট, পূবের হাওয়া, দোলনচাঁপা)।

বাংলা কাব্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ক. ‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম রচিত কাব্যগ্রন্থ।

খ. বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া। ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রথম ‘বিদ্রোহী’ কবিতা প্রকাশনা করা হয়।

গ. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কবিতা হচ্ছে ‘মুক্তি’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ‘বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য’ পত্রিকায়। পরে এই কবিতা ‘নির্ঝর’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত করা হয়।

ঘ. ব্রিটিশ সরকার, কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিষের বাঁশি’, ‘ভাঙার গান’, ‘প্রলয় শিখা’ কাব্যগ্রন্থ গুলো ঐ সময় নিষিদ্ধ করা হয়।

ঙ. ‘মানুষ’ ও ‘নারী’ কাজী নজরুল ইসলামের রচিত কবিতার নাম।

১১. আনোয়ার পাশা

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ ‘নদী নিঃশেষিত হলে’, ‘সমুদ্র শৃঙ্খলতা উজ্জয়িনী ও অন্যান্য কুবিতা’।

১২. বুদ্ধদেব বসু

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ কঙ্কাবতী, দময়ন্তী, দ্রোপদীর শাড়ী, শীতের প্রার্থনা বসন্তের উত্তর, পৃথিবীর পথে, বন্দীর বন্দনা, মর্মবাণী।

১৩. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ চিন্তাতরঙ্গিনী, আশকানন, ছায়াময়ী, দশ মহাবিদ্যা, বৃত্রসংহার, কবিতাবলী, চিত্র বিকাশ, বীরবাহু। ‘চিন্তাতরঙ্গিনী’ কাব্যগ্রন্থটি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম রচয়িত কাব্যগ্রন্থ ছিল।

১৪. নবীনচন্দ্র সেন

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ মহাকাব্য ( রৈবতক, কুরুক্ষেত্র, প্রভাস)। আখ্যানকাব্য (পলাশীর যুদ্ধ, ক্লিওপেট্রা, রঙ্গমতী)।

নবীনচন্দ্র সেনকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

ক. নবীনচন্দ্র সেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

খ. নবীনচন্দ্র সেনের তিনটি মহাকাব্য এবং তিনটি আখ্যানকাব্য এর রচয়িতা।

গ. নবীনচন্দ্র সেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম একজন মহাকাব্যিক।

১৫. বিহারীলাল চক্রবর্তী

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ সঙ্গীত শতক, বঙ্গসুন্দরী, নিসর্গ সন্দর্শন, সাধের আসন, সারদামঙ্গল।

বিহারীলাল চক্রবর্তী নিয়ে কথা

ক. আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার জনক হচ্ছেন বিহারীলাল চক্রবর্তী।

খ. তিনি প্রথম আধুনিক বাংলা গীতিকাব্য রচনা করেছিলেন।

গ. বিহারীলাল চক্রবর্তীর রচিত কোনো মহাকাব্য নেই।

১৬. গোবিন্দ চন্দ্র দাস

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ প্রেম ও ফুল, কেউ কুঙ্কুম, ফুল ও রেনু, কস্তুরী। ‘মগের মুল্লুক’ কবির রচয়িত একটি ব্যঙ্গকাব্য।

১৭. কায়কোবাদ

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ অশ্রুমালা, কুসুম কানন, বিরহ বিলাপ, মহাশশ্নান, শিব মন্দির, অমিয় ধারা, শশ্নানভষ্ম, আযান।

কবি কায়কোবাদের কাব্য নিয়ে কিছু তথ্য

ক. বিরহ বিলাপ কবি কায়কোবাদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।

খ. কায়কোবাদ বাঙালি মুসলিম কবিদের মধ্যে প্রথম সনেট রচনা করেন।

গ. ‘মহাশশ্নান’ একটি মহাকাব্য ধর্মী কাব্যগ্রন্থ।

১৮. দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ মন্দ্র, আলেখ্য, ত্রিবেণী, আর্যগাথা। আষাঢ়ে, হাসির গান ও ত্রিবেণী কবির রচিত ব্যঙ্গকবিতা।

১৯. মাইকেল মধুসূদন দত্ত

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ দ্যা ক্যাপটিভ লেডি, মেঘনাদবধ, তিলোত্তমাসম্ভব, বীরাঙ্গনা, ব্রজাঙ্গনা, চতুর্দশপদী কবিতাবলী।

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য

ক. মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকবি।

খ. কবিতায় প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

গ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা কাব্যে প্রথম সনেট ব্যবহার করেন।

ঘ. বাংলা সাহিত্যে তিনিই প্রথম পত্রকাব্যকার ও মহাকাব্যের রচয়িতা ছিলেন।

ঙ. বাংলা কাব্য সাহিত্যে প্রথম পত্রকাব্য হচ্ছে ‘বীরাঙ্গনা’।

চ. বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ও শ্রেষ্ট মহাকাব্য হচ্ছে ‘মেঘনাদবধ কাব্য’। ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ কাব্যের ‘অরিন্দম’ নামেও পরিচিত ছিল.

২০. মীর মশাররফ হোসেন

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ মোসলেম বীরত্ব ও হযরত বেলালের জীবনী ।

২১. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ প্রবোধ প্রভাকর ও হিত প্রভাকর। উল্লেখযোগ্য কবিতাঃ তপসে মাছ, বাঙালি মেয়ে, আনারস, নীলকর ।

Similar Posts