ভাগ কাকে বলে?
একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাকে অন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে সমান ভাবে বন্টন বা বিভাজন করার পদ্ধতিকে ভাগ বলে। গণিতে ভাগ করার প্রক্রিয়াকে ÷ বা / চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ভাজ্য কাকে বলে?
যে সংখ্যাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার উপর ভিত্তি করে সমান ভাগে ভাগ করা যায়, তাকে ভাজ্য বলে। গণিতে ভাজ্যকে লভ্যাংশ বা লব বলা হয়। ভাজক যেকোন ধরণের সংখ্যা হতে পারে।
ভাজক কাকে বলে?
যে নির্দিষ্ট সংখ্যা দিয়ে ভাজ্যকে সমান ভাগে বিভক্ত করা হয়, তাকে ভাজক বলে। গণিতে ভাজককে হর বলা হয়। ভাজক ভাজ্যকে ভাগ করে অবশিষ্ট কোনো সংখ্যা রাখতে পারে আবার না ও রাখতে পারে। সংখ্যা ১ (এক) কে সর্বজনীন ভাজক বলা হয়ে থাকে। কারণ, ১ দিয়ে যেকোন সংখ্যাকে ভাগ করা যায়।
ভাগফল কাকে বলে?
একটি সংখ্যাকে অন্য সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যে ফল পাওয়া যায়, তাকে ভাগফল বলে। যখন ভাজ্যকে ভাজক দ্বারা ভাগ করা হয় তখন ভাগফলের উদ্ভব হয়।
ভাগশেষ কাকে বলে?
ভাজক ভাজ্যকে সফলভাবে ভাগ করতে না পারলে যে অবশিষ্ট সংখ্যার সৃষ্টি হয়, তাকেই ভাগশেষ বলে।
ভাজ্য, ভাজক, ভাগফল, ও ভাগশেষের উদাহরণ
মনে কর, ১০০ টি কমলা লেবু সমান ভাগে ভাগ করে ২০ জন শ্রমিকদেরকে বন্টন করতে হবে। তাহলে, ১০০ ÷ ২০ = ৫ টি করে কমলা লেবু ২০ জনকে সমান ভাগে ভাগ হবে, অর্থাৎ প্রত্যেকে ৫ টি করে কমলা লেবু পাবে। এখানে ১০০ কে সমান ভাগে ভাগ করা হয়েছে, তাই ১০০ হচ্ছে ভাজ্য। ১০০ কে ২০ দিয়ে সমান ভাগে বিভাজন করা হয়েছে, তাই ২০ হচ্ছে ভাজক। আর, ভাজ্য ১০০ কে ভাজক ২০ দ্বারা ভাগ করে ৫ সংখ্যাটি ফল এসেছে, তাই ৫ হবে ভাগফল। যেহেতু, ভাজ্য ভাজককে সমান ভাগে ভাগ করতে সক্ষম হয়েছে সেহেতু ভাগশেষ হবে ০ (শূন্য)। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে গণিতে ভাগ বলে।
১০০ (ভাজ্য) ÷ ২০ (ভাজক) = ৫ (ভাগফল)
ভাগ নিয়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১। ১ দ্বারা ০ কে ভাগ করলে ০ ভাগফল আসবে। (০ ÷ ১ = ০)
২। ০ দ্বারা ১ কে ভাগ হয় না। কারন, গণিতে এই ভাগটি সম্ভব নয়। ০ দ্বারা ১ কে ভাগ করলে ভাগফল ইনফিনিটি (অসম্পূর্ণ) হয়। (১ ÷ ০ = অসম্পূর্ণ)
৩। (ভাজ্য ÷ ভাজক) = (লব÷ হর)
৪। দুটি সংখ্যার গাণিতিক ভাগ, ঐ দুটি সংখ্যার গাণিতিক পুনরায় বিয়োগের সমান। যেমন, ১০ ÷ ২ = ৫, আবার, ১০-২=৮, ৮-২=৬, ৬-২=৪, ৪-২=২, ২-২=০, এইখানে ৫ বার বিয়োগ করা হয়েছে।
৫। দুটি সংখ্যার ভাগশেষ হতে পারে আবার নাও হতে পারে। ভাগশেষ না হলে তা শূন্য ধরা হয়।
