পৌরনীতি

সাম্য কি এবং সাম্য কেন প্রয়োজন

1 min read

সাম্য কি

সাম্যের অর্থ ‘সুযোগ-সুবিধাদির সমতা’ (Equality of opportunities)। জাতি-ধর্ম-বর্ন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থাকে সাম্য বলে।

সাম্যের (equality) মাধ্যমেই স্বাধীনতাকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা যায়। তাই সাম্য ব্যতীত স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়ে। সমাজে সাম্য না থাকলে স্বাধীনতা অর্জন করা বা বজায় রাখা সম্ভব নয়। আবার স্বাধীনতা সাম্যের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। সমাজে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষ বৈষম্যহীনভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার ভোগ করতে পারে। স্বাধীনতা থাকলে সাম্যের এই আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। কারণ, স্বাধীনতা সবাইকে সমানভাবে সমাজের সুযোগ-সুবিধাগুলো ভোগ করার অধিকার দেয়। এ সুযোগ না থাকলে স্বাধীনতা নাগরিকের কাছে অর্থবহ হয় না। তাই বলা হয়, সাম্য ব্যতীত স্বাধীনতা অর্থহীন।

জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও পেশাগত কারণে যখন মানুষে মানুষে কোনো পার্থক্য করা হয় না, তখন তাকে সামাজিক সাম্য বলে। সামাজিক সাম্যের মূল কথা হলো সমাজে বসবাসরত সব মানুষ যোগ্যতা অনুযায়ী একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।

সাম্য কেন প্রয়োজন

একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সমাজে সাম্য প্রয়োজন । সাম্য অর্থ হচ্ছে সমতা। অর্থাৎ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমান সুযোগ-সুবিধা লাভ করাই হচ্ছে সাম্য। প্রতিটি সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সাম্যের উপস্থিতি আবশ্যক। কেননা কেবল সাম্যের উপস্থিতিই পারে একটি সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে। সমাজে অসাম্য বিরাজ করলে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়। কারণ এরূপ পরিস্থিতিতে বঞ্চিতরা অপরাধ ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ঘটায়। তাই সমাজে ঐক্য ও সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য সাম্য প্রয়োজন।

Rate this post
Mithu Khan

I am a blogger and educator with a passion for sharing knowledge and insights with others. I am currently studying for my honors degree in mathematics at Govt. Edward College, Pabna.

x