সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য ১৮টি আলোচনাসহ ব্যাখ্যা
সমাজকর্ম বলতে এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক ও পেশাদার সমাজসেবামূলক কর্মতৎপরতাকে বুঝায়, যা ব্যক্তি, দল, সমষ্টিকে এমনভাবে সাহায্য করে, যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের সম্পদ, সামর্থ্য ও বুদ্ধিমত্তার দ্বারা নিজেদের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হয় । সমাজের সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করাই সমাজকর্মের মূল বৈশিষ্ট্য।
সমাজকর্মের ১৮টি বৈশিষ্ট্যসমূহ
নিম্নে বাংলাদেশে সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা করা হলো।
- ১। জনগণের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ করা।
- ২। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন।
- ৩। এতিম, অসহায় ও দরিদ্র শিশুদের কল্যাণ সাধন করা।
- ৪। অপরাধ সংশোধন।
- ৫। গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সাধন।
- ৬। মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।
- ৭। অসহায় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন সাধনে সম্পদশালী জনগোষ্ঠীকে উদ্বুদ্ধ করা।
- ৮। প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ সাধন করা।
- ৯। রোগীদের কল্যাণ করা।
- ১০। পতিতাবৃত্তি প্রতিরোধ করা।
- ১১। দক্ষ সমাজকর্মী তৈরি করা।
- ১২। সচেতন করে তোলা
- ১৩। সামাজিক সমস্যাগুলোর প্রতিকার ও প্রতিরোধ করা।
- ১৪। সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ সাধন করা।
- ১৫। পরিবর্তিত আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে মানুষকে যথাযথভাবে খাপখাওয়াতে সাহায্য করা।
- ১৬। পরিকল্পিত সামাজিক পরিবর্তন আনয়ন।
- ১৭। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা।
- ১৮। জনগণকে সংগঠিত করা।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করাই সমাজকর্মের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সমাজকর্ম বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে যাচ্ছে।