অর্থনৈতিক ভূগোল কি
পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান, সম্ভাবনাবাদ, মানুষের ওপর পরিবেশের প্রভাব, পরিবেশের ওপর মানুষের প্রভাব, অঞ্চলভেদে ক্রিয়াকলাপের তারতম্যের কারণ, মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, জনসংখ্যার বিন্যাস, মানব বসতি বিন্যাস প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ভূগোলের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে অর্থনীতিক ভূগোল বলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিষয়টির ওপর তাদের নিজস্ব চিন্তা ও মতামত ব্যক্ত করেছেন।
অর্থনৈতিক ভূগোল কাকে বলে
মানুষের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, জনসংখ্যার বিন্যাস, মানব বসতি বিন্যাস প্রভৃতি বিষয় নিয়ে ভূগোলের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে অর্থনৈতিক ভূগোল বলে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ বিষয়টির ওপর তাদের নিজস্ব চিন্তা ও মতামত ব্যক্ত করেছেন।
অর্থনৈতিক ভূগোলের প্রামাণ্য সংজ্ঞা
Prof. Zimmermann বলেন, “অর্থনৈতিক ভূগোল পরিবেশের সাথে সম্পর্কযুক্ত মানুষের অর্থনৈতিক জীবন নিয়ে বিবেচনা করে।”
Prof. Dudley Stamp এর মতে, “ভোগোলিক ও অন্যান্য নিয়ামকের প্রভাব সম্বন্ধে অর্থনৈতিক ভূগোল এরূপ বিবেচনা করে, যা কেবলমাত্র স্বল্প গভীরতায় মানুষের উৎপাদনশীলতা প্রভাবিত করে যতটুকু সেগুলো উৎপাদন ও বাণিজ্যের সাথে সংযুক্ত।“
ভূগোলবিদ Ellsworth Huntington বলেন, “মানুষের জীবনধারণের জন্য দ্রব্যসামগ্রী, প্রাকৃতিক সম্পদ, বিভিন্ন কার্যাবলি, রীতিনীতি, ক্ষমতা ও কর্মকুশলতা প্রভৃতি যা কিছু প্রয়োজন তাই অর্থনৈতিক ভূগোলের আলোচ্য বিষয়।”
ভূগোলবিদ MacFarlane এর মতে, “প্রাকৃতিক পরিবেশের, বিশেষ করে ভূপৃষ্ঠের আকার ও কাঠামো (ভূপ্রকৃতি), এর ওপর বর্তমান জলবায়ুর অবস্থাগুলো এবং এর বিভিন্ন অঞ্চলের পারস্পরিক অবস্থান মানুষের অর্থনৈতিক কার্যাবলির ওপর যে প্রভাব বিস্তার করে তার সমীক্ষাই অর্থনৈতিক ভূগোল।”
Jones এবং Darkenwald বলেছেন যে, “অর্থনৈতিক ভূগোল মানুষের উৎপাদনশীল পেশাগুলো সম্বন্ধে বিবেচনা করে। এবং কেন কোনো কোনো অঞ্চল কিছু কিছু দ্রব্যের উৎপাদন বিন্যাসের ক্ষেত্রে বিশিষ্টতা লাভ করেছে এবং কেন অন্যান্য অঞ্চল উৎপাদিত দ্রব্যগুলোর আমদানি ও সদ্ব্যবহারের জন্য গুরুত্ব লাভ করেছে তা ব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট।”
Chisholms বলেন যে, “অর্থনৈতিক ভূগোল কতিপয় ভৌগোলিক নিয়ামক দ্বারা নির্ধারিত বাণিজ্যিক বিকাশের ভবিষ্যৎ গতি ধারার কিছু যুক্তিপূর্ণ মূল্যায়ন করে।”