বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা আলোচ্য কার্যাবলী সম্পাদনের মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। WTO তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে মূলত উপরিউক্ত কর্মপন্থাগুলো ঠিক করেছে। আর উক্ত কার্যাবলিগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ব অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। WTO তার কাজগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সমতা আনয়ন করতে সমর্থ হয়েছে। বিশেষ করে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণে আলোচ্য কাজগুলো ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) কার্যাবলী
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা যেসব লক্ষ্যকে সামনে রেখে গঠন করা হয় সেই লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য আবার কর্মপন্থাও তৈরি করা হয়। WTO এর উক্ত কর্মপন্থা কার্যাবলী নিম্নে তুলে ধরা হলো।
১. WTO এর সদস্যভূক্ত দেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্যসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করা এর প্রধান কাজ। WTO ১৯৯৯ সালে এ সংক্রান্ত ১৬৭টি বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে, যেখানে GATT ১৯৪৭-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ৩০০টি বিরোধ নিষ্পত্তি করেছে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্যে WTO বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে Integrated Dispute Settlement System (IDSS) চালু করেছে।
২. WTO এর অন্যতম কাজ হলো বিশ্বব্যাপী মুক্ত বাজার সৃষ্টি করা ও পরিচালনায় সহায়তা করা।
৩. WTO এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বিশ্বব্যাপী বহুপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করা।
- GATT এর সব চুক্তি বাস্তবায়ন করা।
৫. উরুগুয়ে রাউন্ডে গৃহীত সব চুক্তি ও বিধিবিধান বাস্তবায়ন করা।
৬. WTO কর্তৃক গৃহীত বাণিজ্য নীতিমালার কার্যকারিতা Trade Policy Reveine Machanism এর মাধ্যমে
পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধনীমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৭. বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যসংক্রান্ত আলোচনার একটি ফোরাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করা।
৮. উন্নয়নশীল দেশসমূহের বাণিজ্য নীতি নির্ধারণে বিভিন্ন কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচির আয়োজন করা।
৯. বিশ্বের অন্যান্য আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও গোষ্ঠীগত সংস্থাসমূহের সাথে সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করা।
১০. মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা।