হিসাববিজ্ঞানকে ব্যবসায়ের ভাষা বলা হয় কেন
হিসাববিজ্ঞানকে ব্যবসায়ের ভাষা বলা হয় কেন
মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে সকল উচ্চারণ ব্যবহার করা হয় তাকে ভাষা বলে। ভাষা লিখিত বা মৌখিক হতে পারে। ভাষার স্বাভাবিক কিছু নিয়ে থাকে যেমন সুসংবদ্ধ ও নিয়মানুগ প্রতীক, শব্দ বা সংকেতের সমষ্টি। ভাষা ব্যবহারের জন্য তিনটি জিনিস ‘অপরিহার্য প্রথমত, একজন জ্ঞাপক বা প্রেরক, দ্বিতীয়ত, এক বা একাধিক ব্যক্তি থাকবে যাদেরকে ‘গ্রাহক’ বলে ও তৃতীয়ত, জ্ঞাপনকারীর মাধ্যমের জন্য এমন কতগুলো সুশৃঙ্খল ও নিয়মতান্ত্রিক শব্দ বা প্রতীক ব্যবহার করা হবে সেগুলোর অর্থ পারস্পরিক সম্পর্ক প্রেরক ও গ্রাহক উভয়ের কাছে অত্যন্ত পরিচিত।
Meigs and Meigs-এর মতে, “Accounting is the language of business. In the way business people set goals, and measure, results evaluate performance.”
হিসাবশাস্ত্রের মাধ্যমে কারবার প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা করা যায়। ব্যবসায়ের আর্থিক ঘটনা লিপিবদ্ধকরণ শ্রেণিবিন্যাসকরণ, প্রক্রিয়াকরণ, বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্রেতা বিক্রেতা কর্মী, মালিক, দেনাদার পাওনাদার, বিনিয়োগকারী, সরকার, ব্যাংক বিমা, ভোক্তা গবেষক, শেয়ার বাজার ইত্যাদি পক্ষ হিসাববিজ্ঞানের সাহায্যে সকল বিষয় জানতে পারেন। এসব কারণে হিসাবশাস্ত্রবিদগণ হিসাববিজ্ঞানকে ব্যবসায়ের ভাষা বলে মনে করেন। হিসাববিজ্ঞানের নিয়মকানুন সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের নিট লাভ, নিট ক্ষতি, মূলধন কাঠামো, অর্থসংস্থানের পদ্ধতি, নগদ প্রবাহ কার্যক্রম, বিনিয়োগ সম্ভাবনা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, মজুত ব্যবস্থাপনা, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, অনুপাত বিশ্লেষণজনিত তথ্য ইত্যাদি স্বচ্ছতার সাথে জানাও প্রকাশ করা যায়। এককথায় কারবারের বা ব্যবসায়ের শুরু হতে সমাপ্তি পর্যন্ত প্রত্যেকটি স্তরে হিসাববিজ্ঞান অত্যন্ত নিবিড়ভাবে জড়িত এবং হিসাববিজ্ঞান জ্ঞান ছাড়া ব্যবসায়ের স্বচ্ছতা কল্পনা করা যায় না বলে হিসাববিজ্ঞানক ব্যবসায়ের ভাষা বলা হয়।