সমন্বয় দাখিলার প্রকারভেদ

সমন্বয় দাখিলার প্রকারভেদ আলোচনা কর

যেকোনো কারবারি প্রতিষ্ঠানে যেসব সমন্বয় দাখিলা ব্যবহার করা হয় এদেরকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ১. অগ্রিমসমূহ ও ২. বকেয়াসমূহ।

নিচে অগ্রিমসমূহ ও বকেয়াসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. অগ্রিমসমূহ

সকল প্রকার অগ্রিমসমূহ হতে চলতি হিসাবকালের মুনাফা জাতীয় অংশটুকু পৃথক করার জন্য যে জাবেদা দেয়া হয় তাকে অগ্রিম সমন্বয় দাখিলা বলে। ইহা দু’প্রকার, নিচে তা আলোচিত হলো।

(ক) অগ্রিম প্রদত্ত খরচ : কারবার প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুবিধার্থে বিভিন্ন লেনসেন বা খরচ অগ্রিম পরিশোধ করা হয়। অগ্রিম প্রদত্তের যেটুকু চলতি হিসাবকালে পড়ে উহা খরচ এবং অবশিষ্টাংশ অগ্রিম হিসাবে দেখানো হয়। এক্ষেত্রে যদি একাধিক সময়ের জন্য খরচ প্রদান করে তবে অগ্রিম খরচকে ক্রেডিট করতে হয়। এক্ষেত্রে যদি একাধিক সময়ের জন্য খরচ প্রদান করে তবে অগ্রিম খরচকে ডেবিট ও খরচ হিসাবকে ক্রেডিট করে সমন্বয় করে। যদি একাধিক সময়ের জন্য অগ্রিম খরচ থাকে তবে খরচ হিসাবকে ডেবিট এবং অগ্রিম খরচকে ক্রেডিট করতে হয়।

(খ) অগ্রিম প্রাপ্ত আয় : যদি চলতি হিসাবকালে একাধিক সময়ের আয় অগ্রিম পায় তবে তা সমন্বয় করতে হবে। এখানে রাখতে হবে চলতি সময়ের আয়কে আয় হিসাব ধরে অগ্রিম প্রাপ্ত অংশকে দায় হিসাবে লিপিবন্ধ করতে হবে। একাধিক হিসাবকালের আয় অগ্রিম পেলে আয় হিসাবকে ক্রেডিট এবং অনুপার্জিত আয় হিসাবকে ডেবিট করতে হবে। আবার একাধিক বছরের আয় দেয়া থাকলে আয় হিসাবকে ডেবিট এবং অনুপার্জিত আয় হিসাবকে ক্রেডিট করতে হয়।

২. বকেয়াসমূহ

বকেয়াসমূহকে বিশ্লেষণ করে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যা নিচে আলোচনা করা হলো।

(ক) বকেয়া খরচসমূহ : প্রতিষ্ঠানের এমন কিছু খরচ আছে। যা চলতি হিসাবকালে সংঘটিত হলে চলতি হিসাবকালে শোষ করা হয় না। পরবর্তীতে শোধ করা হয়। যা বকেয়া খরচ নামে পরিচিত। এর জন্য সংশ্লিষ্ট হিসাবকে ডেবিট এবং বকেয়া হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

(খ) বকেয়া আয় : যে সকল আয় চলতি হিসাবকালে নগদে আদায় হয়নি পরবর্তীতে আদায়ের প্রতিশ্রুতি থাকে তাকে বকেয়া আয় বলে। এর জন্য প্রাপ্য আয়কে ডেবিট এবং সংশ্লিষ্ট আয়কে ক্রেডিট করা হয়।

Similar Posts