প্রতিটি দ্রব্যই কোন না কোন অভাব পূরণ করে। অভাব পূরণের ক্ষমতা হতেই উপযোগ ধারণার উৎপত্তি হয়েছে। মূলত, উপযোগের কারণে ভোক্তা কোন দ্রব্য ক্রয় করে বা মূল্য প্রদান করে।
উপযোগ কি
উপযোগ হল কোন দ্রব্যের অভাব পূরণের ক্ষমতা। কোন ব্যক্তি দ্রব্য ক্রয় অথবা দ্রব্য ভোগের পর যে মানসিক তৃপ্তি লাভ করে, তাই উক্ত দ্রব্যের উপযোগ। প্রকৃতপক্ষে, উপযোগ একটি মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক ধারণা। তাই যখন কোন ব্যক্তি কোন দ্রব্যের মধ্যে উপযোগ আছে বলে মনে করে তখনই সে উক্ত দ্রব্য ক্রয়ে আগ্রহী হয়। কোন দ্রব্যের উপযোগ স্থান, কাল ও রূপান্তরভেদে পরিবর্তন হতে পারে। একই দ্রব্যের উপযোগ স্থানভেদে তারতম্য হয়।
যেমন- কয়লা, খনিতে স্তূপীকৃত থাকা অবস্থায় তা মানুষের কাজে আসে না। কিন্তু এ কয়লাকে খনি থেকে উত্তোলন করে শিল্প এলাকায় স্থানান্তর করলে এর উপযোগ বাড়ে। তেমনি বর্ষাকালে পানির কোন উপযোগ থাকে না। কিন্তু সে পানি গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত ধরে রাখলে সেচের জন্য তার উপযোগ সৃষ্টি হয়। আবার সাধারণ অবস্থায় কাঠের উপযোগ কম কিন্তু কাঠকে আসবাবপত্রে রূপ দিলে তার উপযোগিতা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়।
উপযোগ পরিযাপযোগ্য কিনা, সে সম্পর্কে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। মার্শাল ও তাঁর অনুসারীদের মতে, উপযোগ সংখ্যাবাচক। তাঁদের মতে, সংখ্যার দ্বারা উপযোগ পরিমাপ করা যায়। অন্যদিকে, হিকস-এলেন এবং অপরাপর অর্থনীতিবিদ উপযোগ পর্যায়গতভাবে পরিমাপযোগ্য বলে মত প্রকাশ করেন।