প্রতিসাম্যতা কি
প্রতিসাম্যতা কি
প্রাণী দেহের অক্ষ বরাবর এক বা একাধিক তলে বিভক্ত করে সমান অংশে ভাগ করা গেলে তাকে প্রতিসাম্যতা বলে। অনিয়ত দেহাকৃতির প্রাণীদের দেহ অক্ষ বরাবর যে কোন ছেদনতল বরাবর বিভক্ত করলে, সমান দুই অংশে ভাগ করা যায় না। তাই এদেরকে অপ্রতিসাম্য প্রাণী বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়—সমুদ্র তারা, মানুষ ইত্যাদি প্রতিসাম্য প্রাণী। পক্ষান্তরে শামুক একটি অপ্রতিসাম্য প্রাণী। প্রাণীদেহে পরিলক্ষিত বিভিন্ন ধরনের প্রতিসাম্যতা নিম্নে বর্ণিত হল।
(i) বর্তুলাকার প্রতিসাম্যতা (Spherical symmetry) : গোলাকার বা কলোনীবাসী গোলাকার প্রাণীদের দেহ কেন্দ্র বরাবর যে কোন তলে ছেদ করলে সমান দুটো অংশে ভাগ করা যায়। একে বর্তুলাকার প্রতিসাম্য বলে।
(ii) অরীয় প্রতিসাম্যতা (Radial symmetry) : নলাকার বা চাকা আকৃতির প্রাণীদের দেহ অক্ষ
বরাবর লম্বালম্বিভাবে দুই এর অধিক ছেদনতলে ছেদ করে সমান দু’ভাগে ভাগ করা যায়। এরূপ
প্রাণীকে অরীয় প্রতিসাম্য প্রাণী বলে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়— Hydra, Sea anemon, সমুদ্র তারা ইত্যাদি।
(iii) দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসাম্যতা (Bilateral symmetry) : যে সব প্রাণীর দেহ অক্ষ বরাবর দুটো ছেদনতলে ছেদ করে ডান ও বাম দুটো সমান অংশে ভাগ করা যায় তাকে দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসাম্য বলে।
প্রতিসাম্যতার গুরুত্ব
প্রাণিজগতকে কতকগুলি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে কতকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করা যায়। এ সব বৈশিষ্ট্য প্রাণিজগতের শ্রেণীবিন্যাসের ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় । প্রাণীর প্রতিসাম্যতা প্রাণিজগতের শ্রেণীবিন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।