ব্যথা কম নর্মাল প্রসবের জন্য হবু মায়েদের করনীয় কি

নর্মাল প্রসবে মায়েদের করনীয়: সম্মানিত ভিজিটরস বন্ধুরা আজকে আমরা এক অন্য রকম টিপস নিয়ে হাজির হয়েছি। বন্ধুরা সন্তানের জন্ম দেওয়া একজন মায়ের কাছে এক বিরাট বড় পাওয়া। তবে সন্তান প্রসবের জন্য নর্মাল ডেলিভারি হবে না কি সিজারিয়ান ডেলিভারি হবে সেই বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয় প্রসূতি মায়েদের, বিশেষত যে সকল মায়েরা প্রথমবার সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন।

নর্মাল প্রসবে মায়েদের করনীয়

বন্ধুরা অধিকাংশ নারী নর্মাল ডেলিভারি প্রত্যাশা করে থাকেন। কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতির উপর বিচার করে অনেককে আবার সিজার ডেলিভারি করানোর প্রয়োজন পড়ে যায়। কিন্তু কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই ব্যথা কম নর্মাল ডেলিভারি করানো সম্ভব হতে পারে।

নর্মল ভেলিভারির সঠিক পথ্যঃ

  • বন্ধুরা সঠিক পথ্য নিয়ম করে খেলে এবং আপনাদের শারীরিক অবস্থা যদি একদম ঠিক থাকে তাহলে কিন্তু যেকোনও গর্ভবতী মহিলাই নর্মাল ডেলিভারি করাতে পারবে।
  • এছাড়াও খাবার খাওয়ার বিষয়ে প্রাচীনকাল থেকে বহু প্রথা প্রচলিত রয়েছে। অনেকে বলে থাকেন, গর্ভাবস্থায় ঘি বেশি করে খেলে গর্ভস্থ শিশু খুব সহজেই ভূমিষ্ঠ হতে পারবে।
  • কিন্তু সত্যি বলতে আদ‌ও খাদ্যনালীর সঙ্গে বার্থ ক্যানেলের সঙ্গে বায়োলজিক্যালি কোনও সম্পর্ক নেই।
  • এরজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে।
  • পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলে একদিকে তা যেমন আপনাদের সন্তানের স্বাস্থ্য গঠনে বিশেষভাবে সাহায্য করবে তেমনই, আপনাদের সন্তানকে ভুমিষ্ঠ করার জন্য শরীরে শক্তি যোগাতে সহায়তা করবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবেঃ

  • পুষ্টিকর খাবার খাওয়া মানেই অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খাওয়া নয়। খাবার খাওয়ারও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।
  • গর্ভাবস্থায় অনেক মায়েদের মুখে খাবার রোচে না। তাই বলে কিছু না খেয়ে থাকাও যেমন খারাপ, তেমনই কোনও খাবার ভালো লাগছে বলে তা বেশি বেশি করে খাওয়া ও ভালো নয়, এতে করে কোনও কারণে যদি ওজন বেড়ে যায় তাহলে অনেক সমস্যা হতে পারে।
  • ওজন যদি খুব অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে তা কিন্তু নর্মাল ডেলিভারির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

গরম জলের ব্যবহার

  • সন্তান গর্ভে ধারনের পর নিয়মিত গরম জলে স্নান করতে হবে।
  • তাই বলে অতিরিক্ত গরম জল কখনওই নয়। ঈষদ-উষ্ণ জল করে সেই জলে স্নান করতে হবে।
  • বাড়িতে যদি বাথ টব থাকে তাহলে গরম জল করে বাথ টবে বসে গোসল করতে হবে।
  • সেইসঙ্গে হালকা গরম জল পান করতে হবে।
  • এরফলে গর্ভাশয়ের পথ প্রশস্ত হয়, ফলে নর্মাল ডেলিভারি যন্ত্রণামুক্ত হতে পারে।

মর্নিং ও ইভনিং ওয়াকঃ

  • সকাল এবং বিকেল করে হাঁটা অভ্যাস করতে হবে।
  • তবে অবশ্যই সমান জায়গায় হাঁটবেন।
  • গর্ভাবস্থা সক্রিয় জীবনযাত্রা বজায় রাখা খুবই জরুরী। শরীরের যাবতীয় ক্লান্তি এবং অলসভাব দূর করে। সেইসঙ্গে পেশীর সঞ্চালন ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

যোগব্যয়ামঃ

  • গর্ভাবস্থায় যোগাভ্যাস করা খুবই জরুরী।
  • যতদিন যায় বেবি বাম্প বড় হতে থাকে, তাই কোমর, উরু ও যোনি অঞ্চলের পেশি শক্তিশালী করতে যোগব্যয়াম অভ্যেস করতে হবে।
  • এইসময় প্রাণায়ম সবচেয়ে আদর্শ।
  • তবে প্রেগনেন্সির কোন স্টেজে কী ব্যায়াম তা কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।

স্ট্রেস ফ্রি জীবন যাপন

  • জীবনে স্ট্রেস যত কম রাখবেন তা আপনাদের সন্তান এবং আপনাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ততই ভালো হবে।
  • এরজন্য গান শোনা,ছবি আঁকার পাশাপাশি নিজের পছন্দমতো যেকোনও হালকা কাজ আপনারা করতে পারেন।
  • প্রথম সন্তানের সময় প্রত্যেকেরই একটা ভয় কাজ করে।
  • কিন্তু আপনারা জানেন তো, অতিরিক্ত নার্ভাসনেস এবং টেনশনের কারণে প্রসবের সময় অক্সিটোসিন নামে এক হরমোনের উৎপাদন কমে আসে।এই বিশেষ হরমোনটি ডেলিভারির সময় কম করতে সাহায্য করে।
  • আর এই হরমোনটির নিঃসরণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আপনাদের ডেলিভারি কিন্তু দীর্ঘায়িত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *