শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়-সুপ্রিয় ভিজিটর বন্ধুরা আমরা সবাই জানি শীতে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা যায় তা হলো আমাদের ত্বকের শুষ্কতা। তৈলাক্ত ত্বকও এ সময় মলিন হয়ে যায়।
আবার দেখা যায় অনেকের ত্বক ফেটেও যায়। তাই এ সময় ত্বক চায় একটু বাড়তি যত্ন। অনেক বন্ধুরা ঘর-অফিস ও পড়াশোনা সামলে ত্বকের যত্ন নেওয়ার সময় পান না। তাই বাড়িতেই কিছু ঘরোয়া উপায়ে আপনারা ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন। তাহলে চলুন বন্ধুরা জেনে নিন নিষ্প্রাণ ত্বককে প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল করে তোলার কয়েকটি ঘরোয়া পরামর্শ। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
পাকা কলা
বন্ধুরা প্রথমে পাকা কলার খোসা ছাড়িয়ে চটকে নিতে হবে। এবার এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ চটকানো কলা ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মুখ ধুয়ে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ২০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে। আপনাদের ত্বক হয়ে উঠবে আগের থেকে অনেক বেশি উজ্জ্বল।
পাকা পেঁপে
বন্ধুরা আধা কাপ চটকানো পাকা পেঁপের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মুখে ভালো করে লাগিয়ে রাখতে হবে। আধ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার এই মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা ও মসৃণতা ফিরে আসবে।
অ্যালোভেরা
পাঠক বন্ধুরা শুষ্ক ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার অতুলনীয়। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। সাধারণত অ্যালোভেরা জেল ও নারিকেল তেল ত্বকে পরিশোধনের কাজ করে। যা ত্বক থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
ওটস
বন্ধুরা ওটস ত্বকের জন্য খুব উপকারী। সামান্য দুধে ওটস ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাতে মধু মিশিয়ে নিয়ে এবার মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিতে হবে। তিন থেকে চার মিনিট পর অল্প শুকিয়ে এলে, আলতোভাবে কিছুক্ষণ ঘষে এবার উষ্ণ গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এ মিশ্রণটি ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বককে কোমল রাখতে খুবই উপকারী।
জলপাই তেল
বন্ধুরা অলিভ অয়েল বা জলপাই তেলে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘ই’ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ত্বককে সতেজ রাখে ও ময়েশ্চারাইজ করে।
নারিকেল তেল
বন্ধুরা ফেটে যাওয়া ত্বকের লাবণ্য ফিরিয়ে আনতে আপনারা নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন গোসলের আগে নারিকেল তেল দিয়ে মাসাজ করতে হবে। তেল ম্যাসাজ করলে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগানোর প্রয়োজন হয় না।
বেসন-দুধের পেস্ট
বন্ধুরা আপনারা সকলে জানেন দুধের ভিটামিন ও মিনারেল ত্বককে সতেজ করে তোলে। আর ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে ও বয়সের ছাপ কমাতেও বেসনের জুড়ি নেই। দুধ ও বেসনের পেস্টটি সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলতে সাহায্য করে।
কমলালেবু
কমলালেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি বলিরেখা প্রতিরোধ করে। টপিং হিসেবে কমলার খোসা, শরবত, ময়দা বা বেসন ব্যবহার অনেক আগে থেকেই জনপ্রিয়। এই শীতে যত কমলা খাবেন, খোসা ছাড়বেন না সব কিছু রোদে শুকিয়ে রাখুন পরে পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।
মেয়োনিজ
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও মেয়োনিজ ত্বকের আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে খুবই কার্যকরী তবে স্বাদ বাড়াতে মেয়োনিজে সাধারণত লবণ, গোলমরিচ, সরিষার গুঁড়া ইত্যাদি যোগ করা হয়। প্রতিক্রিয়া ঘটবে ডিমের কুসুম এবং তেল মিশিয়ে মেয়োনেজ তৈরি করুন, সামান্য বেবি অয়েল মিশিয়ে নিন। এরপর গোসলের আগে মুখে, ঘাড়ে, কনুইতে, হাতে লাগান ডিমের গন্ধটা একটু কড়া, সহ্য করতে পারলে এই প্যাকের কোনো উত্তর নেই!
বাদাম তেল
বাদাম তেল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং এটি আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং মসৃণ করে। ত্বক খুব সহজে এই তেল শুষে নেয়, কিন্তু আঠালো লাগে না। অ্যালোভেরা জেলের সাথে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল এবং মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে 15-20 মিনিট অপেক্ষা করুন এবং হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং এটিকে নরম এবং কোমল করে তোলে এছাড়াও, আপনি যদি কিছু মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করেন তবে আপনি আরও ভাল ফলাফল পাবেন।
পরিশেষে বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই এছাড়া আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে কমেন্ট সেকশনে গিয়ে কমেন্ট করুন। এবং আমাদের ওয়েবসাইটটি যাতে খুঁজে পেতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য বুকমার্ক করে রাখতে পারেন। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সেবা করার জন্য।