সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম

আসসালামুয়ালাইকুম ভিজিটরস আবার ও আপনাদের স্বাগত সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচিত আর্টিকেলে। ডায়াবেটিস একটি এমন রোগ এটি মানুষের শরীরের প্রবেশ করে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেহের সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যাদের শরীরে ডায়াবেটিস রয়েছে তারা খুব সহজেই করণা আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত তারা খুব সহজে করোনাভাইরাস সহ বিভিন্ন রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বর্তমানে করণা পরিস্থিতি অবস্থা বিবেচনা করে ডায়বেটিস রোগীদের বাহিরে সাবধানে বেড়াতে হবে, অযথা এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ানো পরিহার করতে হবে। আমার প্রতিনিয়তঃ হাঁটা হাটি না করলে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

তাই আজকে আমরা সেই সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সাবধানে ব্যায়াম করার কিছু টিপস জানাবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক সুস্থ থাকতে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যায়াম।

ডায়াবেটিস রোগীরা কী ধরনের ব্যায়াম করবে?

স্বাভাবিক অবস্থায় একজন ডায়াবেটিস রোগী কয়েক ধরনের ব্যায়াম করতে পারে। তবে সবচেয়ে বেস্ট হচ্ছে ৪ ধরনের ব্যায়াম করা। এগুলো হলো-

    • ডায়াবেটিস রোগীর অ্যারোবিক ব্যায়াম
    • ডায়াবেটিস রোগীর স্ট্রেংথেনিং ব্যায়াম
    • ডায়াবেটিস রোগীর স্ট্রেসিং ব্যায়াম
    • ডায়াবেটিস রোগীর ব্যালেন্সিং ব্যায়াম

বাড়ি ভেতর ঘরোয়া ব্যায়াম

১. প্রতিদিন আপনার ফ্রী সময় থেকেই বাড়ির আশেপাশে যেখানে মানুষের ভিড় নেই এরকম জায়গায় হাটুঁন।
২. আপনার বাড়ি যদি খুব একটা ভালো না হলে ছাদে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
৩. আপনার যদি একটানা হাঁটতেই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অল্প সময় করে সারা দিনে কমপক্ষে 30 মিনিট হাঁটা চলা করুন।
৪. আজ থেকে 10 মিনিট খালি হাতের ব্যায়াম করুন, পূর্বের ন্যায় ব্যায়াম করতে চাইলে ওয়ার্মি়ং আপ ও পরে ফল্লিং ডাউন করতে পারেন।
৫. ঘরে সরঞ্জাম দিয়ে ও ব্যায়াম করতে পারেন যেমন সাইকেল দিয়ে, তবে সাইকেলে 20মিনিট ব্যায়াম যথেষ্ট।
৬. দেওয়ার কিংবা শক্ত কাঠামোয় দিয়ে খানিক সময় দূরে ওজন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারেন তাহলে ব্যায়াম করা হয়ে যাবে।
৭. কম বয়সী ছেলেমেয়েরা দড়ি দিয়ে লাফায় চাইলে আপনিও 50 বারের মতো লাফিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন।
৮. অস্থিসন্ধি সচল করার জন্য হাটু নড়াচড়া, কোমড় ঘাড় , এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গ বলছে যেগুলো নিজে থেকে ধরা সম্ভব নয় সেগুলো উঁচু নিচু হয়ে কিংবা ডানে-বামে ঘুরিয়ে ব্যায়াম করতে পারেন।

এ সময় যে বিষয়গুলোর উপর সতর্ক থাকতে হবে

বাড়ির বাহিরে অথবা কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ বর্জন করতে হবে।
  • সুইমিং পুল, খেলার মাঠ এবং পাবলিক ব্যায়ামাগার অর্থাৎ যেখানে অনেক মানুষ ব্যায়াম করতে আসে সেখানে যাওয়া যাবে না।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় মত ব্যায়াম করতে হবে অবহেলা করে একদিন ব্যায়াম বন্ধ করা যাবে না।
  • অসুস্থ হলে যেমন জ্বর ,ডায়রিয়া, শরীর দুর্বল করে দেয় এমন কিছু হলে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ রাখতে হবে
বন্ধুরা আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ নিয়মিত আমাদের আর্টিকেলে ভিজিট করার জন্য। যদি আরো অন্য কোন বিষয়ে তথ্য প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব আপনাকে সাহায্য করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *