পদ্মা সেতু ঘুরে দেখতে গিয়ে সেতু বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ। পদ্মা সেতু নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ

পদ্মা সেতু ঘুরে দেখতে গিয়ে সেতু বিষয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ

[পদ্মা সেতু ঘুরে দেখছে এবং দুই বন্ধু কথা বলছে]

সুজন : বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এই পদ্মা বহুমুখী সেতু।

সুমন : শুধু তাই নয়, এটি আমাদের দেশের সচল অর্থনীতিরও চাবিকাঠি।

সুজন : ভাবতে অবাক লাগে, আমাদের দেশের মতো একটি গরিব দেশের পক্ষে এত বড় এবং এত সুন্দর একটি সেতু নির্মাণ সম্ভব হলো কী করে?

সুমন :  আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় সংকল্প এবং নিবিড় মনিটরিংয়ের জন্যই এটি সম্ভব হয়েছে।

সুজন : ৬১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থের এত বড় সেতু নির্মাণের জন্য তো প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, এই অর্থসংস্থান করেছে কে?

সুমন : বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে এই বিশাল সেতু নির্মিত হয়েছে। আর এই সাহসী পদক্ষেপের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর।

সুজন : এটা তো দ্বিতল সেতু। উপর দিয়ে চলবে গাড়ি আর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। এত বড় কাজ সম্পন্ন করেছে কে?

সুমন : সেতু নির্মাণ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। নদীশাসনের কাজ করছে সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড, চায়না এবং সেতুর দুদিকের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করছে বাংলাদেশের আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও মালয়েশিয়াভিত্তিক এইচ.সি.এম. (জেভি)।

সুজন : এই বিরাট কর্মযজ্ঞের জন্য কী পরিমাণ অর্থ এবং কত সংখ্যক দক্ষ লোকের দরকার হয়েছে আমি ধারণা করতে পারছি না।

সুমন : আমি বলছি, এই বিরাট কর্মযজ্ঞের জন্য প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা এবং দুই হাজার বিদেশিসহ প্রায় ২০ হাজার লোকের দরকার হয়েছে।

সুমন : সেতুর দুদিকের রাস্তাও তো অনেক প্রশস্ত, মাঝে মাঝে ছোট ফুলের বাগান। আর রাস্তার দুপাশের গাছের সারি দেখে তো চোখ জুড়িয়ে যায়।

সুজন : এ বছরের শেষে পদ্মা সেতু চালু হলে শুধু চোখ জুড়াবে না, মানুষের মনও জুড়াবে।

সুজন : কীভাবে?

সুমন : হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করবে, কৃষি ও শিল্পের কাঁচামাল সহজেই পারাপার হবে, গড়ে উঠবে অনেক শিল্প-কারখানা, প্রসার ঘটবে ব্যবসায়-বাণিজ্যের।

সুজন :  তাহলে তো এক মহাযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে।

সুমন : শুধু তাই নয়, মংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগও সহজ হয়ে যাবে। ফলে এক অভাবনীয় কর্মচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হবে।

সুজন :  শুনেছি এসব কারণে দেশের জিডিপি বেড়ে যাবে ১.২ শতাংশ ।

সুমন : তাছাড়া কর্মসংস্থানেরও যথেষ্ট সুযোগ তৈরি হবে।

সুজন :  তাহলে তো দেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানও অনেক বেড়ে যাবে।

সুমন : হ্যাঁ, এবার পৃথিবীর মানচিত্রে নিজ গৌরবে মাথা তুলে দাঁড়াবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *