কোরবানির নাম দেওয়ার নিয়ম
আল্লাহ সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু উৎসর্গ দেওয়াকে কুরবানী বলা হয় ।কুরবানী ইসলামের অতি গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যপূর্ণ ইবাদত । যারা সামর্থ্যবান তাদের জন্য কুরবানী ওয়াজিব। । আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু সালাম প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানকে কুরবানী দিতে উৎসাহে দিয়েছেন । ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় কুরবানী হলো জিলহজ মাসে ১০ তারিখ সকাল থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা হয় । পশু জবাইয়ের সময় কুরবানি দাতাদের নাম উল্লেখ করা সুন্নত নয় । রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম কুরবানী পশু জবাই করার সময় কার পক্ষ থেকে কুরবানী হচ্ছে তার নাম মুখে উল্লেখ করেননি ।
কেননা কুরবানী পশু জবাই করার সময় বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলেছেন । কুরবানী শব্দের আবিধানিক অর্থ ত্যাগ, নৈকট্য লাভ । এদিকে পশু জবাই এর আগে অনেকে অংশিদারী নাম বলতে দেখা দেয় । কার পক্ষ থেকে পশু কুরবানী করা হচ্ছে, সেটি তো পশু কেনার সময় নির্ধারিত হয়ে যায় ।পশুতে যার যার মালিকানা আছে তারা যাদের নামে কুরবানী আদায় নিয়ত করবেন তাদের নামে কুরবানী হবে । কুরবানীর আগে নিশ্চিত হওয়ার জন্য নাম গুলো পাঠ করা যেতে পারে । আগামী ২৯ শে জুন পবিত্র ঈদুল আযহা ও কুরবানী । আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জন্য এই দিন কুরবানীর নির্দেশ দিয়েছে ।
কুরবানীর শুদ্ধ হওয়ার কিছু শর্ত । কুরবানীর নাম দেওয়ার নিয়ম
কুরবানী শুদ্ধ হওয়ার জন্য রয়েছে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যার কোন একটি না থাকলে কুরবানী হবে না ।কুরবানী কোন লোক দেখানো ইবাদতের নাম নয় বরং এটি শুধু আল্লাহর জন্য । কুরআন ও হাদিসের নেক আমলই আল্লাহতালার কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত গৃহীত হয় না; যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে দুটি শর্ত পূরণ হয়, ঠিক এই ক্ষেত্রে কুরবানি দুই হুকুমের কিছু ব্যতিক্রম নয়
প্রথমত: আল্লাহ সুন্নাহ দিক নির্দেশনা অনুযায়ী হওয়া । কুরবানীর নাম দেওয়ার নিয়ম
আল্লাহতালা ও রাসূলের নির্দেশিত বিধান অনুযায়ী কুরবানী করতে হবে । এ কুরবানি সহ কোন ইবাদতে তার অংশীদার স্থাপন করা যাবে না । তবে তার কুরবানী সহ যাবতীয় ইবাদত কবুল হওয়া আশা করা যায় । কুরবানীর সময় যাবতীয় ইবাদত কবুল হওয়া সাক্ষাৎ কামনা করে এবং সৎ কর্ম করে এবং কাউকে ইবাদতের শরিক না করে । তবে তার কুরবানী সহ যাবতীয় ইবাদত কবুল হওয়ার আশা করা যায় । এটি এমন না যে বেশি করে গোস্ত খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানী দেয় । কুরবানী দেওয়া হয় আল্লাহরসন্তুষ্টি লাভের আশায় ।টাকা পয়সা সোনা রুপা অলংকার ব্যবসাহিক পণ্য, প্রয়োজনে অতিরিক্ত জমি আসবাবপত্র থাকলে নিসাব পরিমাণ সম্পত্তি থাকলে তাকে কুরবানী দেওয়া বাধ্যতা ।
দ্বিতীয়তঃ কুরবানীর জন্য প্রয়োজন ইখলাস তথা এক নিষ্ঠতা। কুরবানীর নাম দেওয়ার নিয়ম
আল্লাহতালা সন্তুষ্টির জন্যই মূলত কুরবানী করা হবে । তবে মন থেকে নিয়ত না থাকলে কুরবানী করা হবে না । আল্লাহর কাছে কখনো কুরবানীর গোশত পৌছে না এবং রক্ত না তার কাছে পৌঁছে তোমাদের জন্য তাকওয়া এগুলো তিনি তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো এই জন্য যে তিনি তোমাদের সঠিক পথ দেখিয়েছেন । কুরবানীর বিধি বিধান অনুযায়ী আল্লাহ তা’আলা ও রাসুলের নির্দিষ্ট মোতাবেক অনুযায়ী করতে হবে কুরবানী সহ কোন ইবাদতের এই অংশীদার স্থাপন করা যাবে না ।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে স্বাবলম্বী মুসলমানরা কুরবানী দেন । কোন দিন কুরবানী করা উত্তম এ বিষয়ে ইসলাম উল্লেখ আছে ১০,১১,১২ এই তিন দিনের মধ্যে প্রথম দিন কুরবানী করা অধিক উত্তম তবে এরপর দ্বিতীয় দিন, তৃতীয় দিন দিতে পারবেন ।
পশু জবাইয়ের সময় কুরবানীর তার নাম উল্লেখ করা জরুরী নয় । কেননা কাদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা হচ্ছে সেটি তো পশু কেনার সময় নির্ধারিত হয়ে গেছে । কুরবানীর পশুর সাথে দেখা হয়ে মালিকানাধীন কাদের । পশু জবাইয়ের সময় কুরবানী কারীদের নাম উল্লেখ করা সুন্নত নয় । রাসুল সালাম সালাম পশু জবাই করার সময় কারো পক্ষ থেকে কুরবানী হচ্ছে তার নাম মুখে উল্লেখ করেননি । তিনি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে আল্লাহু আকবার বলেছেন । তাছাড়া এদিকে পশু জবাই এর আগে অনেককে অংশীদারের নাম বলতে দেখা যায় কিন্তু কুরবানীর সময় কুরবানি দেখাতে নাম উল্লেখ করা জরুরী নয় । পশুতে যার যার মালিকানা আছে যাদের নামে কুরবানী আদায় নিয়ত করবেন তাদের নামে কুরবানী হবে ।
মৃত নামে কুরবানী দিল ওয়াজিব কুরবানী হয় কি? কুরবানীর নাম দেওয়ার নিয়ম
আমরা জানি নিজের উপর কুরবানী দেওয়া বা করা ওয়াজিব । তাই উচিত নিজের নামে কুরবানী দেওয়া এবং মৃত ব্যক্তির সওয়াব পৌঁছানো নিয়েত করা । নিজের যেমন কুরবানী আদায় করা হবে, আবার পৌঁছানো হবে । তাছাড়া কোরবানির মাধ্যমে নিজের বালা মুসিবত দূর হয় । মৃত ব্যক্তির নামে দেওয়া কুরবানী গোস্ট নিজেরাও খেতে পারবেন এবং আত্মীয়-স্বজনকে ভাগ করে দিতে পারবেন ।
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের অনেক কিছুই কনসেপ্ট দূর হয়েছে যে কুরবানি নাম দেওয়ার বিষয়ে আমাদের মাঝে একটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল । তবে আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের দ্বিধা দ্বন্দ্বটি দূর হয়েছে ।