মেয়েদের তাড়াতাড়ি লম্বা হওয়ার উপায়

লম্বা হওয়ার উপায়

আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয়টি হলো লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।  আজকাল অনেকেই লম্বা হওয়ার উপায় নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় থাকে। আবার আমাদের মধ্যে এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা কিনা রীতিমতো মন খারাপ করে থাকেন।  এই লম্বা হওয়ার বিষয়টা নিয়ে।  এরকম অনেক মানুষ আছেন যারা কিনা উচ্চতায় কম।  তারা এই বিষয়টা নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় থাকে।  আমাদের আজকের  লম্বা হওয়ার উপায় আর্টিকেলটা তাদের জন্যই।  তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

লম্বা হওয়া আসলে কি

লম্বা হওয়ার উপায় জানার আগে আমাদের জানতে হবে লম্বা হওয়া বিষয়টা আসলে কি। লম্বা হওয়ার একটি সুনির্দিষ্ট কিছু বয়স থাকে।  প্রাকৃতিক নিয়মে সাধারণত কিশোর, কিশোরী বয়স থেকেই শুরু হয় লম্বা হওয়ার প্রসেস। তখন তারা প্রাকৃতিক নিয়মে প্রায় 7 থেকে 10 ইঞ্চির মতো লম্বা হয়,আর এই সময় বেশি করে তাদের নিজের শরীরের যত্ন রাখতে হবে এবং ভালো ভালো খাবার খেতে হবে তাহলেই তারা অধিক পরিমাণে লম্বা হতে পারবে। আর এই সময়ে তারা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করে তাহলে দেখা যাবে তারা কম লম্বা হবে বা তাদের উচ্চতা খুবই কম হবে।  এই সময়ে পিতামাতার উচিত সন্তানদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো এবং তাদের শারীরিক যত্ন নেওয়া।  লম্বা হওয়ার বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের পিতা মাতার উপর।  কেননা আপনার উচ্চতার বিষয়টা 60 বা 80 পার্সেন্ট হয়ে থাকে আপনার পিতা মাতা ডিএনএ থেকে।

আর এই বাবা-মার ডিএনএ থেকে আপনি 60 পারসেন্ট লম্বা হবেন।  আর বাকি 20% সেটা আপনার নিজের ওপর বা আপনার আশেপাশের পরিবেশের উপর।  মহিলাদের ক্ষেত্রে 18 বছর হওয়ার পরেই এই পেশিগুলো বৃদ্ধি বন্ধ হওয়া শুরু হয়ে থাকে।  কিন্তু এক গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষেরা সেই বয়সের পর থেকে আরো লম্বা হওয়া শুরু করে এবং তাদের পেশির শক্তি বাড়তে থাকে।

লম্বা হওয়ার উপায়

আপনি যে উপায়গুলো অবলম্বন করে আপনার উচ্চতা বাড়াতে পারবেন কিংবা লম্বা হতে পারবেন সেই সম্পর্কে এখন আলোচনা করা হবে।  নিচে লম্বা হওয়ার উপায় গুলো উল্লেখ করা হলো।

লম্বা হওয়ার জন্য সঠিক উপায় ব্যায়াম করুন

লম্বা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল সঠিক পরিমাণে ব্যায়াম করা।  ভালো শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অথবা লম্বা হওয়ার জন্য শারীরিক ব্যায়াম খুবই উপকারী।  আপনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাহলে আপনি একটু হলেও লম্বা হবে।  ব্যায়াম আপনাকে দ্রুত লম্বা হওয়ার জন্য অধিকতর সাহায্য করবে।  কেননা যখন আপনার বয়স কম থাকবে তখন সবকিছুই দ্রুত কাজ করে।  জাম্পিং বা লাফানো অথবা প্রতিদিন 10 মিনিট দৌড়ানো লম্বা হওয়ার জন্য খুবই উপকারী।  আপনি যদি আরো তাড়াতাড়ি লম্বা হতে চান তাহলে অবশ্যই দড়িলাফ খেলতে পারেন।  এতে করে আপনি একটু হলেও লম্বা হবে। এসকল ব্যায়াম যদি আপনি প্রতিদিন নিয়ম করেন তাহলে অনেকটাই উপকার পাবেন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান

লম্বা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম।  কেননা লম্বা হওয়ার উপায় এর মধ্যে প্রথমেই হচ্ছে ঘুম।  আপনার শরীরের হিউম্যান গ্রোথ বা লম্বা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম খুবই কার্যকরী। আপনি যদি লম্বা হওয়া বিষয়টাকে গুরুত্বসহকারে নিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান।  সাধারণত স্কুল বয়সী শিশুদের 10 থেকে 11 ঘন্টা ঘুমানো উচিত, আর যারা কিনা কিশোর বয়সী অথবা যাদের 18 বছর বয়সের কম তাদের প্রতিদিন 9 থেকে 10 ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। আর এই ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শরীরের সব হরমোনগুলোর ঠিকভাবে কাজ করে থাকেন।  তাই লম্বা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।

সুষম খাবার ও প্রোটিন যুক্ত খাবার

লম্বা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল সুষম খাবার ও প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণ করা।  আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে সুষম খাদ্য অথবা প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে লম্বা হতে সাহায্য করবে বা প্রভাবিত করবে।  লম্বা হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমেই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে।  বাহিরের পিজ্জা জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।  আপনাকে অবশ্যই সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।  কেননা সেটি আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করবে।  আপনাকে বাহিরের খাবার এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে।  আপনাকে সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে।  কেননা প্রোটিন এমন একটি জিনিস যা আপনার হার এবং আপনার পেশীকে খুবই দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করবে।  সেই জন্য আপনাকে সবসময় প্রোটিন যুক্ত খাদ্য আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে । কিন্তু আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার নির্দিষ্ট বয়স এবং আপনি কতটুকু ব্যায়াম করেছেন।  সে অনুযায়ী আপনার খাদ্য তালিকার খাবারগুলো কিংবা প্রোটিনের খাবারগুলো খেতে হবে। লম্বা হওয়ার জন্য আপনাকে প্রোটিন যুক্ত খাবার গুলো খেতে হবে।  আর প্রোটিনযুক্ত খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু খাবার হল।  মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম ইত্যাদি।  লম্বা হওয়ার জন্য যে সকল খাবার আপনাকে দৈনিক খেতে হবে।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার

লম্বা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হল ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ করা।  কেননা আপনাকে লম্বা হতে হলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খেতে হবে।  ভিটামিন ডি এর খাবারগুলো উচ্চতা বৃদ্ধিতে খুব বেশি সহায়তা করে থাকে।  ভিটামিন-ডি আপনার হাড় ও পেশীকে খুবই শক্তিশালী করে তুলবে। যারা সাধারণত কিশোর বয়সী মেয়ে আছে অথবা বাড়ন্ত বয়সে মেয়েরা রয়েছে তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ভিটামিন ডি।  একটি গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন বি উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। আর আপনি যদি প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন-বি পেতে চান তাহলে সরাসরি রুদ্রের আলোয় যেতে পারেন।  কেননা সূর্যের আলোয় ভিটামিন ডি রয়েছে।  বিশেষ করে খুব ভোর বেলায় বা সকাল ছয়টার সময় আপনি রোদে যেতে পারেন তাহলে বেশি ভালো হবে।  আর তখন রোদে গেলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কার্যকরী হবে।

সামুদ্রিক মাছ খান

লম্বা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি উপায় হলো সামুদ্রিক মাছ খাওয়া।  কেননা সামুদ্রিক মাছ লম্বা হওয়ার জন্য খুবই উপকারী হিসেবে কাজ করে।  আর আপনি যদি খুব সহজে লম্বা হতে চান তাহলে অবশ্যই সামুদ্রিক মাছ খাওয়া শুরু করুন।  আর এই সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সেল ফিশ বেশি উপকারী।

ভিটামিনযুক্ত ক্যাপসুল খান

সঠিক উপায়ে লম্বা হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ক্যাপসুল খাবারের সাথে যোগ করতে হবে।  লম্বা হওয়ার জন্য মাল্টিভিটামিন অথবা ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে হবে।  এই ভিটামিন গুলো শুধু লম্বা হওয়ার কাজ করবেনা।  পাশাপাশি আপনার শরীর আরও বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকবে।  ভিটামিনযুক্ত ক্যাপসুল গ্রহণ করার ফলে আপনার শরীরের হাড় বৃদ্ধি, ত্বকের সৌন্দর্য, সহ আরো অনেক কিছুর জন্যই উপকার হবে। আপনি যেই প্রতিদিন খাবারগুলো খাবেন সেই খাবার গুলোর পাশাপাশি এই ক্যাপসুল গুলো খাবেন।  লম্বা হওয়ার জন্য যেমন দুধ খেতে হবে তেমনি ডিম খেতে হবে।  তেমন করেই এই খাবারগুলোর পাশাপাশি ভিটামিনযুক্ত ক্যাপসুল গুলো খেতে হবে।  আর এই ভিটামিনযুক্ত ক্যাপসুল খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ

যখন দেখবেন যে সকল খাবার গুলোকেও আপনি লম্বা হতে পারছেন না তখন অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন।  এবং চিকিৎসক যেসকল খাবারগুলো খেতে বলবে এবং যে সকল ভিটামিন গুলো খাওয়ার জন্য বলবে সেই খাবারগুলো ঠিকঠাকমতো গ্রহণ করবেন।  লম্বা হওয়ার জন্য সবথেকে বেশি কার্যকরী হলো ব্যায়াম করা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।  একজন শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে তখন মায়ের উচিত ভালো ভালো খাবার খাওয়া।  কেননা মা 2 যেই খাবারগুলো গ্রহণ করবে শিশু সেই খাবারগুলোর পুষ্টি পাবে।

আমাদের আজকের আর্টিকেলের বিষয়টি ছিল লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।  আশা করি আপনি বিস্তারিত ভাবে বুঝতে পেরেছেন লম্বা হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে।  আপনাকে লম্বা হওয়ার জন্য অবশ্যই এ বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে।  ছেলে-মেয়ের লম্বা হওয়ার বিষয়টা অনেকাংশেই নির্ভর করে বাবা মার উপর। কেননা বাড়ন্ত বয়সের ছেলেমেয়েদের বাবা-মায়ের উচিত ঠিকঠাক মত যত্ন নেওয়া এবং ঠিকঠাকমতো খাবার-দাবার খাওয়ানো।  আমাদের আজকের লম্বা হওয়ার উপায় আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *