গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সঠিক পজিশন এবং ভালো ঘুমের জন্য দরকারি পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সঠিক পজিশন এবং ভালো ঘুমের জন্য দরকারি পরামর্শ
আজকের আলোচনায় গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সঠিক পজিশনাল কমানোর জন্য দরকারী পরামর্শ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব সকলে মনোযোগ দিয়ে আমাদের সঙ্গে থাকুন ।
আমরা সবাই সারাদিনের কর্মব্যস্ততার থাকার পর দিন শেষে রাতে সবারই ঘুমানোর সময় হয় এবং ঘুমাতে হয় শরীরের আরামদায়ক এর জন্য। এই সময়ে আমাদের শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে হয় এবং বিশ্রাম নিতে হয় পূর্ব বয়স্ক মানুষের রাতের অন্তরাল সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম খুবই দরকার।
আমাদের সারাদিনের ব্যস্ততা এবং কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা যদি একটু বিশ্রাম নেন এইবার ঘুমাতে না যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন শরীরের অসুস্থ বেড়ে যাবে ক্লান্তিভাব হবে মেজাজ খিটখিটে হবে কোন কাজে অমনোযোগী থাকবে না ঘুম ঘুম ভাব লাগবে ইত্যাদি।
শেষ হওয়ার পর আমরা যদি একটু বিশ্রাম নেন এইবার ঘুমাতে না যায় সে ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন শরীরের অসুস্থ বেড়ে যাবে ক্লান্তিভাব হবে মেজাজ খিটখিটে হবে কোন কাজে অমনোযোগী থাকবে না ঘুম ঘুম ভাব লাগবে ইত্যাদি ঘুম যদি ভাল হয় সব কিছুতেই ভালো লাগে শরীর মন সব কিছু অনেক ভাল লাগে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের দরকার।
ঘুম যদি ভাল হয় সব কিছুতেই ভালো লাগে শরীর মন সব কিছু অনেক ভাল লাগে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের দরকার গর্ভবতী মহিলাদের কি বলবো অবশ্যই এ সময় প্রচুর পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন এবং কিভাবে ঘুমাবেন কি পজিশনে ঘুমাতে হবে সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব গর্ভকালীন অবস্থায় যদি ঘুমের সমস্যা হয়নি এক্ষেত্রে মা ও বাচ্চা অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে সময় অতিরিক্ত ঘুমানোর খুবই প্রয়োজন তোর চিন্তা করা যাবে না ইত্যাদি সকল ক্লান্তি ভাব টেনশন গুলো থেকে বেরোতে হবে আজকের আলোচনা রয়েছে গর্ভকালীন অবস্থায় কমানোর পজিশন কেমন হবে এবং কিভাবে ঘুমাতে হবে সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব জেনে নিন।
গর্ভকালীন অবস্থায় ঘুম না হওয়ার কারণ জেনে নিনঃ
গর্ভাবস্থায় ক্রমাগত হরমোনাল চেঞ্জ এর কারণে ঘুমের ব্যাঘাত হয় লেগ ক্র্যাম্পস বা পায়ে অস্বস্তিকর ব্যথার জন্য ঘুমের সমস্যা হতে পারে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ আসার ফলে ঘুমের প্রবলেম হয় বমি বমি ভাব হওয়া বা ঘন ঘন বমি হওয়া ব্যাক পেইনের জন্য ঘুম ভালো হয় না গর্ভাবস্থার শেষের দিকে ব্রেস্ট পেইন হয়ে থাকে, কারণ এ সময় ব্রেস্ট স্ফীত হতে থাকে বারবার ক্ষুধা লাগে বুক জ্বালাপোড়া করা বা অ্যাসিডিটির সমস্যা
গর্ভকালীন অবস্থায় ঘুমানোর সঠিক পজিশন জেনে নিনঃ
গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের ঘুমানোর পজিশনটা সব থেকে জরুরি তাই কিভাবে ঘুমাবেন কি পজিশনে ঘুমাতে হবে সে বিষয়ে আজকের এই আলোচনায় ।
চিৎ হয়ে শুলে শরীরের সবচেয়ে বড় শিরা ইনফেরিওর ভেনাকাভাতে চাপ পড়ে ও হৃদপিণ্ডে কম রক্ত প্রবেশ করে। ফলশ্রুতিতে হৃদপিন্ড থেকে কম রক্ত বের হয়। তখন মায়ের রক্ত চাপ কমে যায় এবং প্ল্যাসেন্টাতে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে গর্ভের শিশুর শরীরে অক্সিজেন এর ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অ্যাজমা ও স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে এমন মায়েদের নিজের শরীর ও শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করতে সমস্যা হয়। যাদের এসব সমস্যা আছে তারা চিৎ হয়ে শুলে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার সমস্যা যোগ হবে। তখন উভয় সমস্যা পরস্পরকে আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে যায়। ডান পাশ বা বাম পাশ হয়ে ঘুমানো যায়। এতে কোনো মানা নেই। যেভাবে গর্ভবতী আরাম অনুভব করেন, সেভাবেই ডান বা বাম পাশ হয়ে ঘুমাতে পারেন।
বাম পাশ হয়ে ঘুমানোর কথা বেশি বলা হয়ে থাকে। কারণ এভাবে শোওয়াতে লিভার অতিরিক্ত ওজন বিশিষ্ট শরীরের চাপ থেকে সুরক্ষিত থাকবে।
বাম কাত হয়ে শুলে রক্তসঞ্চালন সহজতর হয়। গর্ভের শিশুর রক্ত সরবরাহ মায়ের হার্ট থেকে সহজতর হয়। গর্ভাবস্থায় একদমই উপুর হয়ে শোওয়া উচিত নয়। উপুর হয়ে শুলে পাকস্থলি ও প্রসারিত জরায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে। খাবার হজমেও সমস্যা হয়। উপুর হয়ে শুলে বাচ্চার নড়াচড়াতে ব্যাঘাত ঘটে এবং মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়।
গর্ভবতী মায়েদের ঘুমের জন্য ভালো কিছু টিপস সম্পর্কে আলোচনা করব জেনে নিনঃ
গর্ভকালীন অবস্থায় মাকে সুস্থ থাকার জন্য এবং শিশুকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই আপনাকে দিনে দুই ঘন্টা এবং রাতে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে সর্বমোট 10 ঘন্টা ঘুমানো উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের ঘুমের স্থান হতে হবে কোলাহলমুক্ত, আরামদায়ক,যে কমালো কিছু ভালো বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে ঘুমানোর দরকার। গর্ভকালীন এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে ঘুমানো প্রয়োজন এবং বিশ্রাম এর প্রয়োজন।
গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের ঘুমানোর ব্যাপারে নিচে আরও কিছু টিপস দেওয়া হলো সেগুলো জেনে নিনঃ
- গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের সবসময় ঢিলেঢালা নরম আরামদায়ক পোশাক পড়ে ঘুমাতে হবে
- খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমানো একদমই উচিত না
- ঘুমানোর আগে চা কফি বা জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা
- গর্ভকালীন মায়েদের ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে এক গ্লাস গরম দুধ খাওয়া খুব ভালো
- গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন কমপক্ষে 30 মিনিট হালকা ব্যায়াম সঠিক সময়ে ঘুমাতে সাহায্য করবে ভারী ব্যায়াম করা যাবে না
- ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘন্টা আগে আপনাকে অবশ্যই মোবাইল কম্পিউটার টিভি ইত্যাদি এসব থেকে দূরে থাকতে হবে
- আরামদায়ক বালিশ ব্যবহার করতে হবে
- পায়ের নিচে ও পিঠের নিচে বালিশ দিয়ে পা ও কোমরের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়নি
গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক রকম চিন্তা আসতে পারে সেই দুশ্চিন্তা থেকে দুরে থাকুন এইসব চিন্তা করার কারণে আপনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাবে রাতের ঘুম যদি না হয় সে ক্ষেত্রে আপনার ও শিশুর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে রাতে আট ঘণ্টা দিনে দুই ঘণ্টা 10 ঘন্টা ঘুমানো উচিত।