অঙ্গীকারনামা বা দলিল লেখার নিয়ম

জকে আমরা জানার চেষ্টা করব অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম সম্পর্কে । এই পোস্টে অঙ্গীকারনামা চুক্তিপত্রের নমুনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন । আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়ার পর এ বিষয়ে আপনারা জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন এবং আপনাদের অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ আমরা এখন এ বিষয়ে নিচে  জানব। চাকরির অঙ্গীকারনামা ও প্রয়োজনীয় কাজে চুক্তিপত্র করা জরুরি ।

এখানে আমরা চেষ্টা করেছি সহজে কিভাবে আপনি অঙ্গীকারনামা লিখবেন । প্রাথমিক অবস্থায় গভীর থেকে আপনি জানতে পারবেন সকল বিষয় অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম কানুন এবং সাবলীল ভাষায় ।

১। অঙ্গীকারনামা কি ?

সাধারণ দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মিলে কোন কাজ বা প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে সম্মিলিত মতামত অনুযায়ী আইনি প্রক্রিয়ায় অনুসারে একমত জেলি লিপিবদ্ধ করা হয় তাকে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র বলে ।

২। অঙ্গীকারনামা কখন ব্যবহার করা হয়?

অঙ্গীকারনামা মূলত বিভিন্ন ব্যবসার আগে, ব্যক্তি কেন্দ্রিক লেনদেন ক্ষেত্র, ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্র, কোন কাজ বা ঠিকাধারী কন্টাক্ট দেওয়া বা নেওয়ার আগে বিভিন্ন বিষয়ে অঙ্গীকারনামা ব্যবহার করা হয়ে থাকে । প্রিয় পাঠক অঙ্গীকারনামা তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যাতে করে ভবিষ্যতে কোন এক পক্ষ তার কথা এড়িয়ে চলতে না পারে এবং কোন প্রকার ঝামেলা যেন না হয়।   অঙ্গীকারনামা মূলত টাকাপয়সা লেনদেনের বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ করা হয় যাতে করে কেউ টাকা পয়সা নিলে আত্মসাৎ করতে না পারে বা অস্বীকার করতে না পারে । এই বিষয়ে এখানে লিপিবদ্ধ করা হয় শুধু মুখের ভাষায় মুখের কথায় হয় না।  এখানে অঙ্গীকারনামা বিষয়ে পুরোপুরি চুক্তিবদ্ধ করা হয় কোন ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়না।  এক্ষেত্রে বাজারে বিভিন্ন মূল্যের স্ট্যাম্প পাওয়া যায় । যেমন, ৫,১০,৫০,১০০, টাকার বাজারে  স্ট্যাম্প পাওয়া যায় ।

 

৩। অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

অঙ্গীকারনামা লেখার পূর্ব শর্ত  অঙ্গীকারনামা স্ট্যাম্পে লিখতে হবে । স্ট্যাম্প  ছাড়া অন্য কিছুতে লেখা মানে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে  ছাতা ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকার মত । স্ট্যাম্পে  লেখা চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা অন্য কিছুতে লেখা অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র লেখা কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয় ।

তবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মধ্যে কোন চুক্তি হলে সে ক্ষেত্রে নিজস্ব সিল বা লোগো যুক্ত প্যাড বা কাগজে চুক্তিবদ্ধ করে লিখতে হবে । যেমন,  মনে করেন, কোন দোকানে ক্যাশ মেমো লেখা টাকা পয়সা আইন-আদালত-এর কাছে গ্রহণযোগ্য । তবে অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছাড়া অন্য কোন এমন চুক্তি না করাই ভালো । অঙ্গীকারনামা চুক্তিপত্র জুডিশিয়াল বা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে  লেখাই সবথেকে ভালো ।

৫।অঙ্গীকারনামা যে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকবে

  • সর্বপ্রথম অঙ্গীকারনামায় তারিখ উল্লেখ করতে হবে যেমন- ১৩-১১-২২
  • অঙ্গীকারনামা গ্রহণকারী দুই পক্ষের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন,  নাম, ঠিকানা , মোবাইল  নাম্বার, ভোটার আইডি  নাম্বার, ইত্যাদি উল্লেখ করতে হবে ।
  • অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্রের কারণ অবশ্যই অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে ।
  • অঙ্গীকারনামা কোন পক্ষ কি ভূমিকা রাখবে তা উল্লেখ করতে হবে
  • অবশ্যই অঙ্গীকারনামা চুক্তির মেয়াদকাল উল্লেখ করতে হবে ।
  • এটি অত্যন্ত দরকারি অঙ্গীকারনামা অবশ্যই চুক্তির মেয়াদ থাকতে হবে ।
  • অঙ্গীকারনামা সকল শর্তাবলী করতে হবে ।
  • অঙ্গীকারনামা নিশি উল্লেখিত জায়গায় দুই পক্ষের স্বাক্ষর রাখতে হবে এবং তারিখ এবং নিজ নিজ সাক্ষীর স্বাক্ষরসহ রাখতে হবে
  • অঙ্গীকারনামা চুক্তি ভঙ্গ করলে ভঙ্গ কারীর বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা উল্লেখ করে দিতে হবে এই চুক্তিপত্রে ।
  • এবার আসা যাক, যে সব শর্তে চুক্তি বা অঙ্গীকারনামা করলে তা আইনের দৃষ্টিতে বৈধ হবে ।
  • সর্বপ্রথম, চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তি কে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক এবং সুস্থ স্বাভাবিক মস্তিষ্কের হতে হবে ।
  • প্রত্যেক অঙ্গীকার বা চুক্তিতে একজন অন্যজনকে প্রস্তাব প্রদান করবে ।
  • অন্যজন প্রস্তাব গ্রহণে সম্মতি দিয়ে প্রতিদান  উল্লেখ করবে ।
  • এখানে বলে রাখা ভালো, কোন যুক্তি কার্যকর হবে না ।

৬। চাকরির অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

বর্তমানে লোকেরা চাকরির জন্য চাকরির অঙ্গীকারনামা নমুনা খুঁজে থাকেন । আপনারা যারা চাকরির জন্য অঙ্গীকারনামা লিখবেন তারা অবশ্যই অঙ্গীকারনামা কোম্পানির কাছ থেকে কম্পানি পলিসি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন এতে আপনাদের অনেক উপকার হবে । কারণ চাকরি আপনি করবেন আপনাকে চাকরির অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে ।

এক্ষেত্রে আপনার ছুটির বিষয়, আপনি চাকরি রিজাইন দিবেন কিভাবে এ বিষয়গুলো অঙ্গীকারনামা লিখতে হবে ।

৭। ভোটার অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম

সবার ক্ষেত্রে হওয়ার অঙ্গীকারনামা লাগেনা । মূলত যারা বেশি বয়সে ভোটার হয় তারা আগে ভোটার  হয়নি  এমন একটি অঙ্গীকার সরকারের নিকট করতে হবে এছাড়াও যারা দেশের বাইরে থেকে দেশে এসে ভোটার হতে চায় বা বসবাস করতে চায় তাদের একটি অঙ্গীকারনামা দিতে হয়  ।

৮।নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা যে নিয়মে লিখতে পারেন

নতুন ভোটার অঙ্গীকারনামা মূলত খুব বড় করে লেখার কিছুই নেই । শুধু মেইন বিষয় গুলো উল্লেখ করলেই হয় ।

এটিকে ফর্মালিটি কাগজও বলতে পারেন । সব জায়গায় শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতন এখানে গাফিলতি করলে আপনাকে দিনের পর দিন ঘুরতে হবে যেখানে কিনা আপনি একটি অঙ্গীকারনামা লিখলেই আপনার কাজ হয়ে যাচ্ছে । আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল ঝুড়ি আপনারা এই সমস্ত নিয়ম কানুন ফলো করলে আপনাদের খুঁটিনাটি বিষয় অভিজ্ঞতা পাবেন এতে আপনারা উপকার পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *