মোবাইলে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
আপনিও কি ফ্রিতে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড করার কথা ভাবছেন? যদি হ্যাঁ তাহলে চিন্তার কোন বিষয় নেই, প্রিয় পাঠক আমাদের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন বা আপনার শিখতে পারবেন কিভাবে ছবি এডিট করতে হয় এবং কোন সফটওয়্যার গুলো ছবি এডিট করার সফটওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করা ।
আজকের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা এমন কিছু সেরা পিক বা ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর বিষয়ে জানতে পারবেন সেগুলো সত্যিই দারুণ আপনার কাছে যদি সেরা ক্যামেরাযুক্ত স্মার্টফোন থাকে তবে আপনি চাইবেন ঐ যে আপনার মোবাইলে কয়েকটা সেরা ফটো এডিট করার সফটওয়্যার থাকুক। যদি বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোর ক্যামেরা অবিশ্বাস্যকর মানের ছবি তুলতে সক্ষম, তবে আপনি যদি আরো দুর্দান্ত পেশাদার মানের ফটোগ্রাফ তুলতে চান তাহলে কোন বিশেষ ফটো এডিট করার সফটওয়্যার আপনাকে ব্যবহার করতেই হবে।
মোবাইলে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার
আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব ছবি এডিট করার সেরা কিছু সফটওয়্যার সম্পর্কে। এগুলোর বেশিরভাগই r.a.w. ফাইলগুলো ম্যানেজ করতে পারে, কোন ইমেজ এর ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে অবাঞ্চিত বিষয় গুলোকে মুছে দিতে পারে, কিংবা হাইলি ইন্টেলিজেন্ট এ আই বেস্ট ফিল্টার গুলো আপনার চেহারা আমূল পরিবর্তন করে দিতে পারে। এছাড়াও আপনি হোয়াইট ব্যালেন্স, এক্সপোজার ও আরো অনেক এডিটিং এডিটিং এর অপশন পাবেন। এমনকি এই ধরনের সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি পেয়ে যাবেন নানা মজাদার ফিচার যেমন স্টিকার এনিমেশন ও ইত্যাদি ।এই পিক এডিট করার মোবাইল সফটওয়্যার গুলো আপনাকে চট করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এডিট করা ছবিগুলো শেয়ার করার অপশন দিয়ে থাকে।
Youcam perfect
ইউ কাম পার্ফেক্ট হলো হবার জন্য সেরা বিনামূল্যের একটি দারুণ ফটো এডিটিং অ্যাপ সফটওয়্যার। এই অ্যাপটি আপনাকে ফটো এডিট করতে ও আরো নানা ক্রিয়েটিভ ফিচার এর সাহায্যে ফটো তৈরি করতে সাহায্য করে সেটা আইফোন হোক কিংবা অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এই মোবাইল সফটওয়ার এর সাহায্যে আপনি আপনার ছবিতে বিভিন্ন ধরনের এফেক্ট এনিমেশন ও আরো অনেক এডভান্স এডিটিং করতে পারবেন।
সুবিধাসমূহ
- ওয়ান্টেড এআই অবজেক্ট রিমুভাল।
- ন্টিইউটিউ মাল্টি লেয়ার ফটো এডিটিং।
- মজাদার এডিটিং এর জন্য কাটাউট টুল রয়েছে।
- সাধারণ ফটকে এনিমেটেড ফটো তে রূপান্তরিত করা যায়।
- সেলফি বিউটি অত্যাধুনিক ফটো ফিচার আছে।
অসুবিধা
- টোন এডিটিং সাপোর্ট করে না।
- প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য এখনও এল ইউ পি এস ফিল্টার নেই।
PhotoDirector
ফটোদিরেক্টর নামের এই ছবি এডিট করার সফটওয়্যার টি উন্নত এবং এখানে রয়েছে দারুণ রকমের টুলস, এই ইউজার ফ্রেন্ডলি অ্যাপটিতে আপনি স্টক ও আইস ডক দ্বারা সরবরাহিত built-in রয়ালটি ফ্রী স্টক লাইব্রেরী পাবেন ।আপনার কোন রকমের ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা না থাকলেও এর পেশাদার মানের টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। টুলস গুলো খুব দ্রুত ভাবে আপনার ফটো কে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।
সুবিধাসমূহ
- এ আই টেকনলজি।
- ইনবিল্ট স্টক লাইব্রেরী।
- ছবি ও বিউটি রিসার্চ টুল।
- এপ্লাই ফিল্টার ও এফেক্ট।
- এ আই স্কাই রিপ্লেসমেন্ট ও লাইটে টুলস।
- লাইট অ্যান্ড কালার এডজাস্টমেন্ট টুলস।
- এনিমেশন ও অ্যানিমেটেড ওভার লে ।
অসুবিধা
- এল ইউপিএস ফিল্টার সাপোর্ট করে না।
- হিট ফিচার অনুপস্থিত হোয়াইটেনিং।
Vsco
Vsco অ্যাপ টি ভি এস গাল ভাই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এডিটিং এর সমস্ত কাজগুলো করার জন্য ট্রেন্ডি ফটো এডিটিং অপশনগুলো অফার করার জন্য এই ফটো এডিটর সফটওয়্যার এটি যথেষ্ট সফল হয়েছে, ছবি এডিট করার সফটওয়্যার যদি আপনি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে এডিটিং এর সমস্ত কাজ গুলো করার জন্য ট্রেন্ডি ফটো এডিটিং অপশনগুলো অফার করার জন্য এই ফটো এডিটর সফটওয়্যারটির যথেষ্ট সফল হয়েছে এই বিনামূল্যের ফটো এডিটিং একটি আইফোন অ্যান্ড্রয়েড ইউজার সবার জন্যই সেরা একটা বিকল্প ছবি এডিট করার সফটওয়্যার।
সুবিধা সমূহ
- ভালো টুল রয়েছে।
- ভালো টোন রয়েছে।
- বেস্ট ভিডিও এডিটিং ফিচার উপলভ্য পেইড ভার্সন উপলব্ধ।
- ও ভিডিওর জন্য চমৎকার কালার ফিল্টার কালেকশন আছে এই ছবি এডিট করার সফটওয়্যার টি।
অসুবিধা
- কালার এডিটিং বাদে অনেক বেশি ফটো এডিটিং ফিচার নেই ।
Picsart
যেসব আইফোন কিংবা এন্ড্রয়েড ইউজাররা একটা আকর্ষণীয় ফটো এডিটিং অ্যাপ্লিকেশনের সন্ধান করছেন ।তাদের জন্য পিকসার্ট হলো একটা ভালো বিকল্প এবং খুবই কার্যকারী একটি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার। এখানে আপনি 100 টিরও বেশী টেমপ্লেট স্টিকার বিনামূল্যে পাওয়া বা পেতে পারেন আপনিও। এছাড়াও এক হাজারেরও বেশি সাবস্ক্রিপশন আর আপনি আপনার ছবিগুলো অসংখ্য উপায় কাস্টোমাইজ করতে পারবেন কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই তাই আপনারা যারা প্রফেশনাল মানের ছবি এডিট করতে চান তাদের জন্য ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে একটি সেরা এবং অন্যতম সফটওয়্যার হিসেবে কাজ করবে অ্যাপসটি।
অসুবিধা
- সহজে ব্যবহারযোগ্য টেমপ্লেট উপলব্ধ।
- ফটো এডিটিং এর জন্য ডাউনলোড উপলভ্য।
- ফটো এডিটিং চমৎকার নির্বাচিত টুল রয়েছে।
অসুবিধা
- ক্যামেরা মোডে লাইভ রিসার্চ ফিচার নেই।
- বেশিরভাগ বিনামূল্যের ডাউনলোডেবল কনটেন্ট প্রফেশনালি তৈরি করা হয়নি।
Instasize
যারা যারা ইনস্টাসাইজ গ্রামে কোন পুন্য আকারের ছবি ক্রুক্স না করেই পোস্ট করার চেষ্টা করছেন তারা এই ইনস্টাসাইজ ফটো এডিটর অ্যাপ টি অবশ্যই ব্যবহার করে দেখুন। রিচার্জ করার অপশন ছাড়াও আপনি এখানে বিভিন্ন রকমের ফিল্টার বিউটিফি টুলস টেক্সট অফিসার বেসিক ফর্ম অফ কমন এডজাস্টমেন্ট এর মত এডিটিং ফাংশনগুলো পেয়ে যাবেন। ছবি এডিট করার সফটওয়্যার, গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো আমার কাছে এটি খুবই ভালো আর ফ্রেন্ডলি মনে হয়েছে। তাই আপনারা চাইলে এটি ব্যবহার করতে বা ইউজ করতে পারেন। এছাড়াও এটা আপনাকে ভিডিও এডিটও করতে সাহায্য করবে।
সুবিধা
- সোজা ও ইউজার ইন্টারফেস।
- সহজে সোশ্যাল কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব।
- ফটো ও ভিডিও এডিটিং সমানভাবে ভাবে পারদর্শী।
অসুবিধা
- নেক ফিশারের জন্য প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন করাটা জরুরী।
- স্টিকার অবজেক্ট এনিমেশন অনুপস্থিত।
Snapseed
ছবি এডিট করার সফটওয়্যার, ডাউনলোড করতে চাইলে স্নাপচাট আপনার কাছে একটা সেরা অবসান হতে পারে। এই অ্যাপটি আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য উপলব্ধ রয়েছে। কোন অ্যাপ ছাড়াই এই ফ্রী ফটো এডিটর মোবাইল সফটওয়্যার টি গুগলের কোন প্রোডাক্ট এমনকি ইউসারদের প্রিসেস তৈরি করতে দেয়। অর্থাৎ আপনি আপনার ভবিষ্যতের কোনো ছবি এডিট করতে চাইলে এই পৃষ্ঠায় এডিটিং সিলেক্ট করলেই আপনার ছবি নিজে থেকে আপনার ইচ্ছেমত এডিট হয়ে যাবে। স্নাপশট অ্যাপসটি ব্যবহার যারা করেছে তারা হয়তো ইতিপূর্বে জানে যে এই অ্যাপসটি কত ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং কত ভালো মানের ছবি এডিট করা যায় পার্সোনালি আমি এই অ্যাপস টি একসময় ব্যবহার করেছিলাম তাই চাইলে আপনারাও এই অ্যাপসটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
সুবিধাসমূহ
- ফটোর জন্য সেরা কালার ফিল্টার সিলেকশন রয়েছে।
- আর এ ডব্লিউ ডি ও আরো অনেক লেভেল এডিটিং টুল আছে।
অসুবিধা
- স্টিকার টেমপ্লেট নেই।
- ডেকোরেটিভ এলিমেন্টস অনুপস্থিত রয়েছেন, রয়েছে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার এর মধ্যে।
Adobe Lightrom Mobile
প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার দের মধ্যে অ্যাডোবি সফ্টওয়্যার এর জনপ্রিয়তা বরাবরই রয়েছে। এর ফটোশপ লাইটরুম ও আরো অনেক সফটওয়্যার রয়েছে। তবে এডোবি লাইট্রুম অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য সেরকম ভাবে কোনও পেশাদার ফটোগ্রাফির জ্ঞান রাখার দরকার পড়ে না।
আপনি যদি ইতিমধ্যে এডোবি প্রোডাক্ট গুলোর সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে এই ফটো এডিটর সফটওয়্যার টা আপনার জন্য ভালো হতে পারে। আপনি চাইলে ভালো প্রফেশনাল মানের পেশাদার ফটোগ্রাফির কাজ গুলো করতে পারবেন এডোবি প্রোডাক্ট গুলোর মাধ্যমে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার গুলোর এডোবি লাইট্রুম মোবাইল অ্যাপস টি আরো অনেক ভালো মানের কাজ করতে পারবেন।
সুবিধা
- প্র লেভেলের ক্যামেরা আই এস ও এক্সপোজার ও আরো অনেক ম্যানুয়াল এডজাস্টমেন্ট উপলব্ধ।
- ফটো এডিটিং ফিচার ভালো ফটোগ্রাফিক জ্ঞান থাকলে তবেই ব্যবহার করা সম্ভব।
অসুবিধা
- বিউটি ফাই রিচার্জ ফিচার নেই।
- ফটো কোলাচ স্টিকার টেমপ্লেট ও ব্যাকগ্রাউন্ড