কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয়

প্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা ভালো আছেন, আজকে আমাদের আর্টিকেলটিতে  আলোচনা করব, হার্টের রোগ ভালো হয়  এমন কিছু খাদ্য

তালিকা বা খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে আপনার হার্টের রোগ প্রাকৃতিক ভাবে ভালো করার উপায়। প্রিয় পাঠক আপনারা সকলেই ভাল করেই জানেন যে মানবদেহের জন্য হাট একটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বাহাট এর গুরুত্ব কতটুকু। তাই আমাদের এই সুস্থ রাখা যায় বা হার্টের রোগ ভালো করা যায় এই সম্পর্কে সকলের স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।

হাটের সুস্থ এমন একটি বিষয় যে বাইরে থেকে আগেভাগে বোঝা যায় না। তবে সচেতন ও তার মাধ্যমেই রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভবভ। বিশেষজ্ঞদের মতে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে থেকে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি।

জেনে নিন সেই সমস্ত খাদ্য তালিকা সুস্বাস্থ্যের যাত্রা শুরু করতে সহায়তা করবে

ছোলা

কার্ডিওভাসকুলার পুষ্টিগুণসম্পন্ন ।ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পটাশিয়াম রয়েছে। শুধু তাই নয়ছোলা কোলেস্টরেল মাত্রা হ্রাস করতে সহায়তা করে। এছাড়াও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

 কফি

এই সিক্ত পানীয় আমাদের হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কফি করোনারি হার্ট ডিজিজ হাট ফেলিওর এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

ডুমুর

ডুমুর সুরক্ষিত করার জন্য অত্যান্ত সেরা উৎস। এই ফলটি ক্যালসিয়াম এবং ফাইবারযুক্ত যা হৃদরোগের  ঝুঁকি হ্রাস করে।

ফ্লাক্স বীজ

যারা মাছ বা বাদাম খাওয়া পছন্দ করেন না তবে এখনো ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড প্রয়োজন তাদের ফ্লাক্স বিষ খাওয়া উচিত। এগুলো সাধারণত  ডোপিং হিসেবে ব্যবহার। এতে প্রচুর পরিমানের এন্টি অক্সিডেন্ট ইনোসেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি রয়েছে যাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

লাল মরিচ

লাল মরিচের ক্যাপসাইসিন থাকার কারণে এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।

 আদা

গন্ধযুক্ত নিয়মিত খেলে রক্তচাপ এবং করোনারি হার্ট ডিজিজ এর মত হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

জাম্বুরা

জাম্বুরা লাইকোপিন এবং পটাশিয়ামযুক্ত ফাইবার কল ইন।  এই সমস্ত উপাদানগুলো হার্ট ভালো  রাখার দুর্দান্ত উপায় ।

গ্রিন টি

এটি একটি সতেজ পানীয় হিসেবে পরিচিত। গ্রীন টিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে জাধব তৈরি রোধে সহায়তা করে। এছাড়াও এল এল, কোলেস্টরেল এবং ট্রাই গ্লিসারাইড কমায়।

কিডনি  বিনস

কিডনি বিন ফলেট ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন যুক্ত। কিডনি বিনে ফটো কম তবে ফাইবার বেশি। কিডনি মটরশুঁটির হ্রাস করতে এবং হৃদরোগের এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করে।

কমলা

কমলায় আসিফ ব্যক্তির নামে প্রকাশ যা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। আর পটাশিয়াম ব্লাড পেশার  কমায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে হেস্পেরীদিন নামে এন্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিতি থাকার কমলার রস খেলে ব্লাড প্রেসার কমে গেছে।

সিম

সিমে  আছে সয়া প্রোটিন, রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রা কমায়।  আধা কাপ সিমে আছে 9 গ্রাম কোলেস্টেরল কমাবার উপযোগী আশ।

সামুদ্রিক মাছ

সামুদ্রিক মাছে হার্টের জন্য উপকারী ওমেগা 3। রূপচাঁদা, রুপসা, কুড়াল, জাতীয় সামুদ্রিক মাছ। বাংলাদেশে পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া যেতে পারে। বিদেশি সামুদ্রিক মাছের মধ্যে পুনা মেকারের ইত্যাদি সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে খেতে পারেন।

রসুন

রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল, রসুন এলডিএলের মাত্রা কমাতে দারুণ উপকারী। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা অতিবাহিত প্রাকৃতি এন্টিবায়োটিক হিসেবে। এছাড়াও উচ্চরক্তচাপ ও রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে এটি ঠাণ্ডা জনিত কোন সমস্যা এবং প্রতিরোধ করে। হৃদপিন্ডের সুস্থতা সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন একটি কোষ খান।

টক দই

চিনি ছাড়া দই টক দই হৃদপিন্ডের পাশাপাশি পুরো শরীর  এর জন্য অত্যান্ত উপকারী। করোনারি হৃদরোগ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের জন্য টক দই বিশেষভাবে উপকারী। টক দই আপনার পরিপাকতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেইসঙ্গে এটি ত্বকের জন্য উপকারী। তাই প্রতিদিন 1 কাপ টক দই খাবেন।

মিষ্টি আলু

আলু বেশি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে, সাধারণভাবে এমনটাই মনে করা হয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রম  কারণ মিষ্টি আলু গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স খাবার। আর মিষ্টি আলুতে দ্রবণীয় ভিটামিন এ লাইকোপেন হার্টের জন্য উপকারী।

সয়া দুধ

সয়া প্রোটিন প্রথম শ্রেণীর উদ্ভিদ প্রোটিন। গরুর দুধের বিকল্প এবং শতভাগ কোলেস্টেরল মুক্ত। হৃদরোগীরা গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে প্রোটিন প্রতিদিন 250 মিলি খেতে পারেন। বাজার থেকে কিনে নিয়ে আপনি নিজেই বাড়িতে বসে তৈরি করে নিতে পারেন।

স্পিরুলিনা

স্পিরুলিনা অতিক্ষুদ্র অণুবীক্ষণিক নীলাভ সবুজ শৈবাল, একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খাদ্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। জাতীয় সংঘ স্পিরুলিনা কে এক শতাব্দী খাদ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। স্পিরুলিনা দুধের চেয়ে 20 গুণ ডিমের চেয়ে ছয় গুণ এবং মাছ ও মাংসের চেয়ে তিনগুণ প্রোটিন রয়েছে, সম্পূর্ণ কোলেস্টেরলমুক্ত। আরো রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন মিনারেল আয়রন ফলিক এসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।  কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় বলতে গেলে এইসব খাবার খেলে হার্টের রোগ কিছুটা হলেও ভালো হবে।

এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো হার্টের জন্য খারাপ

অতিরিক্ত তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার রক্তের সাথে মিশে ধীরে ধীরে হার্ট ব্লক করে।

গরুর মাংস, মাংসের চর্বি, চিংড়ি মাছ বিশেষ করে চিংড়ি মাছের মাথায় ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল থাকে যা দিনের-পর-দিন গ্রহণে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

অতিরিক্ত লবণ ও চিনি হাট ফ্যাশন কে ডেমেজ করে।  সোডা  জাতীয় খাবার,  প্রসিড ফুড, আষাঢ়, কোলড্রিংস হার্টের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান ও মদ্যপান হৃদরোগের মারাত্মক পর্যায়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্যান্সার হয়। শুধুমাত্র খাবারের মধ্যে  হাটকে ভালো রাখা যায় তা নয়।  এর পাশাপাশি নিয়মিত হাঁটতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে এবং অবশ্যই সব সময় হাসিখুশি থাকতে হবে।

সূর্যমুখী তেল বা সূর্যমুখী বীজ

সূর্যমূখীর তেল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ যা শরীরের এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি সরাসরি প্রতিরোধ এবং আপনার ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। যদিও ডাক্তাররা বলেন যে কোন তেল শরীরের জন্য ভালো না। হার্টকে ভালো রাখতে হলে খাবারের তেলের পরিমাণ কমিয়ে দিন। এন্টি অক্সিডেন্ট ই সমৃদ্ধ গ্রহণ করলে  আপনার সূর্যের ক্ষতিকারক থেকে সুরক্ষিত হবে। হাঁপানি এড়াতে সূর্যমুখী তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

 অলিভ অয়েল

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো ও ক্যান্সার প্রতিরোধের পাশাপাশি দুর্বল হার্টের রোগীদের জন্য অলিভ অয়েল খুবই উপকারী। সম্প্রতি এক গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণ করেছে গবেষকরা। সার্কুলেশন এ প্রকাশিত নতুন গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দুর্বল হার্টের জ্বালানি প্রয়োজন অলিভ অয়েল। সাধারণত একটি হৃদপিণ্ড তার স্বাভাবিক সংকোচন-প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির ন্যায় শরীরের চর্বি থেকে। কিন্তু দুর্বল হার্টের চর্বি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। ফলে হার্ট শুধু ভালোভাবে কাজ করতে পারে না তা নয় বরং গ্রহণ করতে না পারার চর্বি জমে হৃদপিন্ডের আর্টারিতে বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। অথচ অলিভ অয়েল আসে অলি নামে এক ধরনের উপকারী ফ্যাট যার সহায়তায় দুর্বল হার্ট সহজেই প্রয়োজনীয় চর্বি গ্রহণ করতে পারে।

তাই পরিশেষে বলা যায় যে আমরা যেসব খাবারের কথা বললাম উল্লেখ করলাম আমাদের প্রশ্নটিই কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় আমরা যেসব খাবারের নাম উল্লেখ করেছি সেই সব খাবার খেলে আশা করা যায় যে হার্টের রোগ ভালো হবে তাই আমরা বলতে পারি যে আমাদের প্রশ্নের উত্তরটি আপনারা পেয়ে গেছেন এবং কিছুটা হলেও এই  পোস্ট পড়ে আপনারা কি খেলে হার্টের রোগ ভালো হয় এই বিষয়টি ভালোভাবে জানতে পারবেন। হার্টের রোগ কি খেলে ভালো হয় আরো অনেক উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনারা ট্রাই করতে পারেন এবং আমরা যেগুলো বিষয়ে আপনাদের পরামর্শ দিয়েছি এবং খেতে বলেছি সেগুলো খেতে পারেন আশা করা যায় যে হার্টের রোগ ভালো হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *