ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
আজকের আলোচনাটি রয়েছে ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা কি। ড্রাগন ফল খেতে যেমন তার থেকে দেখতে অনেক সুন্দর। ড্রাগন ফল উপরে অনেক সুন্দর একটি কালার এবং ভিতরে সাদা এবং কালো আসলে ড্রাগন ফল টা অপূর্ব সুন্দর।
ডাগন ফল দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও ঠিক তেমনই মজাদার। ডাগন ফলের ফুল শুধুমাত্র রাতে ফোটে সাইফুল টি নাইট কুইন । ফুলের রং হলো সাদা হলুদ । ডাগন ফলের গাছ ভিন্নভাবে ফুলের পরাগায়ন ঘটে । ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। ড্রাগন ফলের রয়েছে আয়রন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম ভিটামিন সি ইত্যাদি। ডাগন ফল আপনার শরীরের শক্তি প্রচুর পরিমাণে বেড়ে দেয়। ডাগন ফলের জুস দেখতে অনেক সুন্দর এবং খেতে খুবই সুস্বাদু।
আমরা মাঝে মাঝে অনেক পরিশ্রম করার ফলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় এজন্য আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন এবং ডাগন ফলের রস তৈরি করে ফেলতে পারে আপনার দুর্বলতা ভাব দূর হতে সাহায্য করবে। ডাগন ফল খুবই কার্যকরী। ড্রাগন ফলের উদ্ভিদতাত্বিক নাম হায়লোসেরিয়াস আনডেটাস। (এটি পিতায়য়া) নামেও পরিচিত।এই ফলের বাইরের খোসা দেখতে রূপকথার ড্রাগনের পিঠের মতো ড্রাগন গাছ দেখতে একদম ক্যাকটাসের মতো।
ড্রাগন ফলের আদি বাড়ি মেক্সিকো, দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে এর মহাজাতি হায়লোসিরিয়াস (মিষ্টি পিতায়য়া)। এই ফল মূলত ড্রাগন ফল হিসেবেও অনেক পরিচিত। গনচীনের লোকেরা এটিকে ড্রাগন মুক্তার ফল হিসেবেও চিনে।ভিয়েতনামে (মিষ্টি ড্রাগন ও মালয়েশিয়াতে ড্রাগন ফল এবং থাইল্যান্ডে ড্রাগন স্ফটিক নামেও এটি বেশ পরিচিত।
ড্রাগন ফলের (Hylocereus undatus) উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকায় । ড্রাগন ফল হচ্ছে ভিয়েতনামের জাতীয় ফল। ভিয়েতনামে এ ফলটি সর্বাধিক বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়ে থাকে । এই ফল ভিবিন্ন রঙের ও হয়ে থাকে তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ সময়ই লাল রঙের গুলো দেখা যায়। সব কিছুরই উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটো বৈশিষ্ট রয়েছে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি দেশের।
ক্যালসিয়ামঃ
ডাগন ফল আপনার শরীরের সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে 60 ক্যালরির শক্তি রয়েছে।
ভিটামিন সিঃ
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে সারা শরীরের রক্ত কণিকা রাখতে সাহায্য করে। তাই ড্রাগন ফল খুবই কার্যকর।
প্রোটিনঃ
ড্রাগন ফলে প্রোটিনের পরিমাণ খুব কম। ডাগন ফলের প্রোটিন নাই বললেই চলে।
চর্বিঃ
ডাগন ফল চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকেন তাই আপনি আপনার শরীরের বাড়তি ওজন এবং চর্বি কমানোর জন্য ড্রাগন ফল ব্যবহার করতে হয়। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন সী তাই আপনার শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
প্রিবায়োটিকঃ
আমাদের শরীরে এমন অনেক ব্যাকটেরিয়ার বসবাস যা আমাদের শরীরকে দিনের পর দিন ক্ষতির দিকে ধাবিত করতে থাকে।আর এই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়ায় করার জন্য ড্রাগন ফলের মধ্যে বিদ্যমান প্রিবায়োটিকস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ড্রাগন ফলের কিছু উপকারিতাঃ
ড্রাগন ফল হচ্ছে বিদেশি ফল বাংলাদেশ ড্রাগন ফল বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ড্রাগন ফল আমাদের শরীরের সুস্থতা রাখতে সাহায্য করেন। ড্রাগন ফল অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল খুবই কার্যকরী।
ডাগন ফল যে সকল রোগের ঝুঁকি কমায় সেগুলো জেনে নিনঃ
আপনার শরীরের ওজন কমানোর জন্য ড্রাগন ফল ব্যবহার করুন ড্রাগন ফল সরলের ক্যান্সার মুক্তি রাখতে সাহায্য করে । ড্রাগন ফল চুল পড়া বন্ধ করে ড্রাগন ফল কুষ্ঠ কাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল রক্তচলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে । ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে থাকেন। ডাগন ফল হজম জন্য সাহায্য করে ডাগন ফল বয়সের চাপ দূর করতে সাহায্য করে থাকেন কোলেস্ট্রোরেল নিয়ন্ত্রণে কোলেস্ট্রোরেল কমায় • হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করেন •
হৃদযন্ত্র ভালো করেঃ
ডাগন ফল খুবই উপকারী। ড্রাগন ফল খেলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে দেখেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ
ড্রাগন ফল ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে খুবই খুবই কার্যকরী। তাই যাদের ক্যান্সার সমস্যা রয়েছে তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। ড্রাগন ফলের রয়েছে কলোরিং যা আপনার শরীরের থাকা টিউমার কে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তাই ক্যান্সার প্রতিরোধ দূর করার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ
প্রতিদিন আপনি যদি একটি করে ড্রাগন ফল খেতে পারেন তাহলে আপনার কোলেসটোর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
ওজন কমানোর নিয়ন্ত্রণ রাখাঃ
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা আপনার শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। ড্রাগন ফলের 80 শতাংশ পানি। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার তাই ওজন কমানোর জন্য ড্রাগন ফল ব্যবহার করা।
হজম নিয়ন্ত্রণঃ
প্রতিদিন নিয়মমতো ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন আপনার হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আঁশ যুক্ত রয়েছে। যার ফলে হজম শক্তি কে খুবই সহজ উপায় কাজ করে থাকে। ড্রাগন বদহজম এর জন্য খুবই কার্যকরী।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ
ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব কার্যকারী তাই যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা ডাগন ফল খেতে পারি। মানববন্ধন মাঘী পূর্ণিমার মানববন্ধন একটা অনেকটা স্থিতিশীল হয়ে যায়। আপনার খাদ্য তালিকায় যদি আপনি ড্রাগন ফল রাখতে পারেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে আপনি খুব দ্রুত মুক্তি পাবেন। বয়স বাড়ার সাথে সাথে ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের প্রতিরোধ খুব দ্রুত ভূমিকা পালন করে থাকেন ড্রাগন ফল খুবই কার্যকরী। গর্ভবতী মহিলার ড্রাগন ফল খেতে পারবেন নিশ্চিন্তভাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণঃ
কটি পরিপক্ক ড্রাগন ফলে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে, যা দৈনিক সুপারিশকৃত পরিমাণের চারভাগের প্রায় একভাগ। এটা অন্ত্রের বর্জ্য দূরীকরণেও অনেক সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা রয়েছে তারা এই ফল খেলে অনেকেটাই উপকার পাবেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ
ড্রাগন ফলের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ড্রাগন ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে থাকেন। ড্রাগন ফল রোগ প্রতিরোধ করতে কার্যকরী। ড্রাগন ফল যদি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য খুবই ভাল থাকবে। এবং শরীর দুর্বল দূর করতে সাহায্য করে থাকেন ড্রাগন ফল।
বয়সের চাপঃ
ড্রাগন ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ইত্যাদি আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন। বয়স্ক ছাপ দূর করার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
চুল পড়া থেকে নিয়ন্ত্রণ রাখাঃ
আপনার শরীরের যদি আয়রনের ঘাটতি থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার চুল পড়া থেকে আপনি কখনো মুক্তি পাবেন না। তাই শরীর আয়রন বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণের আয়রন যদি শরীরে থাকে তাহলে আপনার চুল কখনো পড়বে না। শরীরের আয়রন বাড়ানোর জন্য ড্রাগন ফল ব্যবহার করুন। খুব আপনার শরীর আয়রন বৃদ্ধি পাবে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল খাওয়ার কারণে আপনার চুল পড়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবেন।
সঠিকভাবে রক্তচলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করেঃ
ড্রাগন ফল খুবই কার্যকর। যা যা রক্ত চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকেন। তাই রক্ত চলাচল ঠিক রাখার জন্য ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। সারা সারা বিশ্বজুড়ে খুবই পরিচিত ড্রাগন ফল ড্রাগন ফলের পুষ্টি ঘাটতি হলেও আয়রনের ঘাটতি নেই। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।
মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা অতিরিক্ত তাই আপনারা ড্রাগন ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন শরীরে আয়রন বাড়ানোর জন্য। মাছ মাংস ডাল বাদাম এই জাতীয় খাবার থেকে আমরা অধিকাংশ আয়রন গ্রহণ করে থাকে। ড্রাগন ফল খুবই কার্যকরী তাই আপনি আপনার শরীরের আয়রন বাড়ানোর জন্য ড্রাগন ফল অবশ্যই খেতে হবে।
১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ১.৯ মিলিগ্রাম আয়রন রয়েছে, যা দৈনিক সুপারিশকৃত মাত্রার ১০ শতাংশেরও বেশি। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য আয়রন খুব প্রয়োজন, যা শরীরের টিস্যুতে অক্সিজেন পৌঁছাতে লোহিত রক্তকণিকাকে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের কিছু অপকারিতাঃ
১ টি ড্রাগন ফলে ভিটামিন এর পরিমান ভিটামিন সিঃপ্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলের লাল বা সাদা অংশে রয়েছে ২১ মি.গ্রা.
ভিটামিন সি খনিজ লবণঃ আঁশ থাকেঃপ্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ৩ গ্রাম আঁশ থাকে যা দৈনিক চাহিদার ১২ শতাংশ। ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ও ওমেগা ৯ থাকে। ফাইবারঃ একটি ড্রাগন ফলে প্রায় ৭ গ্রাম ফাইবার থাকে।
আমরা কম বেশি সবাই জানি যে সবকিছুরই সুবিধা এবং অসুবিধা ২ বৈশিষ্ট্যই রয়েছে। ঠিক একই রকম ড্রাগন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যেমন খাওয়া উপকারি ঠিক তেমনি প্রচুর পরিমাণে এই ফল খেলে তার কয়েকটি সাইড এফেক্ট দেখা দেয়। আজকে আমারা জনতে পারব। কিছু বিশেষ ড্রাগন ফলের সাইড এফেক্ট।
ড্রাগন ফলে অনেক পুষ্টিকর গুণ আছে – অতিরিক্ত ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে অ্যালার্জিও হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমানে ড্রাগন ফল খেলে ডাইরিয়া হতে পারে ড্রাগন ফলে হাইপোটেনশ। যা পরিমানের থেকে বেশি বা অতিরিক্ত খেলে নিম্ন রক্ত চাপ হতে পারে।