গ্যাস্ট্রিক কেন হয়, লক্ষন ও পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
সারা বিশ্বজুড়ে গ্যাস্টিকের খুবই তোলপাড় হচ্ছে যা অতিরিক্ত মাত্রায় পেটে গ্যাস্টিক হয়ে থাকে। অতিরিক্ত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় জানানোর জন্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো কি কি।
সারা বিশ্বজুড়ে অধিকাংশ অধিকাংশ লোক পেটে গ্যাস্টিকের যন্ত্রনায় ভুগছেন। যাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস রয়েছে তারাই একমাত্র গ্যাস্টিকের কি যন্ত্রনা। গ্যাস্টিকের যন্ত্রণা খুবই মারাত্মক একটি রোগ। গ্যাস্ট্রিকের যন্ত্রণা থেকে আপনি যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে থেকে জেনে নিন ।পেটের গ্যাস কমানোর উপায় গুলো কি কি বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করব।
বর্তমান যুগে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে মানুষ শরীরের দিকে কোন খেয়াল রাখেন না তারা যখন যেটা মনে চায় সেটাই করে ফেলেন যার ফলে এরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয় এর সঙ্গে পেটে গ্যাস হওয়ার কিছু লক্ষণ গুলো জেনে নিন।
অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার খেলে, ভাজাপোড়া খাবার খাওয়ার জন্য, তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার জন্য, শুকনা খাবার খাওয়ার জন্য, ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খাওয়ার জন্য, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য, দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে পরে আবার অতিরিক্ত খাওয়ার কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইত্যাদি এসব নিয়মিত খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
তাই আপনি যদি সুস্থ থাকতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত খাবার খেতে হবে এবং কোন খাবারগুলো আপনার জন্য কাজে লাগবে সেই খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। আজে বাজে খাবার না খেয়ে ভালো জিনিস খাওয়ার চেষ্টা করুন। আসলে আমরা এমন কিছু খাবার দেখে আমাদের জিব্বা কে সতর্কতাঃ করে লাগতে পারে না এর জন্যই আমাদের এই খাবারগুলো খেতে হয় কিন্তু এই খাবারগুলো খাওয়া অনেক মজা অনেক খেতে মন চায় এরকম হয় বিষয়টা।
কিন্তু মজা করে কিছুক্ষণ পেটে গ্যাস পেটের যন্ত্রণা আর টিকে থাকা যায়না। গ্যাস্টিকের যন্ত্রণা খুবই খারাপ খুবই মারাত্মক আপনি নিয়মিত খাবার গুলো ভালো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ভাজাপোড়া খাবার থেকে বিরত থাকুন অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকুন ইত্যাদি তাহলে আপনি আপনার জীবনকে সুখী রাখতে পারবেন।
এ আজেবাজে খাবারগুলো খাওয়ার জন্য আমাদের পেটে এত পরিমাণে গ্যাস জমে যায় যার ফলে আমরা এত এত ঔষধ খাওয়ার কারণে কোনভাবেই পেটে গ্যাস কমাতে সাহায্য করে না এই ঔষধ গুলো। কারণ একটাই এত পরিমাণে গ্যাস্ট্রিক আপনার পেটের জমে রয়েছে যারা কাজ করবে না।
এজন্যই নিয়মিত খাবার গুলো সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং কোন খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সেই খাবারগুলো খাওয়ার অভ্যাস করুন। আজেবাজে খাবারগুলো থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। তাহলে আপনি অবশ্যই জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন গ্যাস্টিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং কতটা শান্তি লাগছে।
নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো জেনে নিন পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
জিরার ব্যবহারঃ
পেটের গ্যাস দূর করার জন্য জিরা খুবই কার্যকরী। গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য জিরা খুবই সাহায্য করে থাকেন। তাই আপনি পেটের গ্যাস দূর করার জন্য জিরা খেতে পারেন। গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য জিয়া যদি খেতে পারেন এর সঙ্গে গ্যাস কমে যাবে বমি বমি ভাব দূর হবে পায়খানা ঠিক হয়ে যাবে ইত্যাদি এসব থেকে আপনি অবশ্যই মুক্তি পাবে। পরিমাণে এর সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে তারপর পরিমাণ মতো করে বানিয়ে তারপর পানি দিয়ে গিলে খেতে হবে।
এলাচঃ
পেটের গ্যাস দূর করার উপায় এলাচ খুবই কার্যকরী। লবঙ্গর মত এলাচ গুঁড়ো খেলে আপনার পেটের গ্যাস দূর হবে।
লবঙ্গঃ
পেটের গ্যাস দূর করার জন্য লবণ ব্যবহার করুন। দুই থেকে তিনটি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিনে বুক জ্বালাপোড়া করা বমি বমি ভাব পেটে গ্যাস ইত্যাদি এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর হতে সাহায্য করবে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লবঙ্গ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
মৌরির পানিঃ
মৌরি গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করে থাকেন। তাই গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য মৌরি ব্যবহার করুন। পরিমাণ মৌরি নিয়ে সারা রাতের জন্য ভিজিয়ে রাখুন তারপরে সেই ভিজিয়ে রাখা পানি খালি পেটে খেয়ে নিন। খুব দ্রুত আপনার পেটের গ্যাস আনতে সাহায্য করবে।
পুদিনা পাতার পানিঃ
গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য পুদিনা পাতার পানি খুবই কার্যকরী। পুদিনা পাতা গ্যাস্ট্রিক দূর করার খুবই কার্যকরী। এক কাপ পানিতে 5 থেকে 6 টি পুদিনা পাতা দিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিন। বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা লাগা, গ্যাস্ট্রিক গ্যাস্টিক ইত্যাদি এসব থেকে আপনি মুক্তি পাবেন। পুদিনা পাতা পানের সঙ্গে একটু ফুটিয়ে নিয়ে তারপরে পানি ঠান্ডা করে খালিপেটে খেয়ে নিন।
ঠান্ডা দুধঃ
পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
দারচিনিঃ
দারচিনি হজমের জন্য খুবই খুবই ভালো। 2 কাপ পানিতে 1 কাপ দারচিনির গুঁড়া দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর দুই থেকে তিনবার খেয়ে নিন খুব দ্রুত গ্যাস্ট্রিক কমে যাবে।
আদাঃ
আদায় রয়েছে অ্যান্টি -ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার । পেটের গ্যাস দূর করার উপায় আরো সহজ একটি কাজ হচ্ছে। পেটের ফাটা দূর করার জন্য বমি বমি ভাব দূর করার জন্য ইত্যাদি এসব দূর করার জন্য। পরিমাণমতো আদা কুচি নিয়ে এর সঙ্গে লবণ মিশিয়ে তারপর কাঁচা খেয়ে নিন। খুব দ্রুত পেটের গ্যাস দূর হতে সাহায্য করবে।
পেঁপেঃ
পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত প্রতিদিন পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন পেটের গ্যাস দূর হবে খুব দ্রুত। পেটের গ্যাস দূর করার জন্য খুব কার্যকারী।
কমলা ও কলাঃ
কমলাতে ও কলাতে রয়েছে সোডিয়াম, ইত্যাদি। আপনার পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করবে। কলা ও কমলা পাকস্থলীর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস দূর করতে সাহায্য করবে ইত্যাদি। নিজের শরীর সুস্থ রাখার জন্য কলা ও কমলা খাওয়ার চেষ্টা করুন এই রোগগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।
শসাঃ
পেটের গ্যাস দূর করার জন্য শসা খেতে পারেন। শসা খাওয়ার জন্য আপনার পেট ঠান্ডা থাকবে এজন্য পেটের গ্যাস দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। শসা রয়েছে এন্ট্রি ইনফ্লেমেটরিউপাদান যা আপনার পেটের গ্যাস দূর করতে খুবই কার্যকরী।
টক দইঃ
দই পেটের গ্যাস দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। তাই পেট গ্যাস দূর করতে চাইলে টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন। পেটের গ্যাস দূর করার জন্য সহজ আরেকটি উপায় হচ্ছে টক দই মিষ্টি দই খেতে পারবেন। খুব দ্রুত পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করবে।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার কারণে আপনার পেটে গ্যাস্টিক হতে পারবে না।
নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য এবং পেটের গ্যাস দূর করার জন্য অবশ্যই আপনাকে খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবে, কোন খাবারগুলো খাওয়া যাবে না সেদিকে নজর রেখে তারপর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এই নিয়ম গুলো প্রতিদিন যদি পালন করে থাকেন সে তো আপনার পেটের যত সমস্যা রয়েছে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন তাই অবশ্যই একটু চেষ্টা করুন। নিজেকে সুস্থ রাখা জন্য।
ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো জানতে পেরেছি যে পেটে গ্যাস দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আপনি যদি আমাদের এই পোস্টগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে তারপর নিয়ম মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার পেটে গ্যাস দূর হয়ে যাবে খুব দ্রুত।
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ কি?
আমরা বিভিন্ন ধরনের যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সে খাবারের কি মধ্যে রয়েছে এটা আমরা অনেকেই জানি না। যে যে খাবার গুলোতে গ্যাস্টিক রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেই খাবারগুলো যদি এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে থেকে গ্যাস্ট্রিক চিরতরের জন্য মুক্তি হয়ে যাবে। এজন্য জেনে নেওয়া ভালো গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ কি।
কি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়!
অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খাওয়া, পানির পরিমাণ একেবারে কম খাওয়া, শুকনো খাবার খাওয়া, মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া, ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া ,অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া, ইত্যাদি। এই খাবারগুলো যদি আপনি খেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার গ্যাস্ট্রিক হবে এটাই স্বাভাবিক।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষন থাকতে পারে সেগুলো জেনে বুঝে আপনি সেই খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করে।করুন। গ্যাস্টিক আমাদের শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক। গ্যাস্ট্রিকে কারণে আপনি অনেক সমস্যায় ভুগতে পারেন। আমরা এই ভাজাপোড়া খাবার গুলো খেয়ে আমাদের পেটে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস্টিক জমিয়ে ফেলি। যার করেন আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেতে হয়। গ্যাস্টিকের পরিমাণ এতো পরিমাণ বেড়েছে যে ঔষধ না খেলে আপনি কোন ভাবে থাকতে পারবেন না।
তাই এই অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো জেনে নিন এবং আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে জেনে নিন গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ কি কি সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার পেটে যদি গ্যাস্টিক হয়ে থাকে তবে অবহেলা করবেন না কখনো। এই অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক আপনার পেটে ক্যান্সার এর লক্ষণ দেখা দেবে। আমরা জানি আমাদের শরীরে ক্যান্সার রোগ টা খুবই মারাত্মক।
তাই গ্যাস্ট্রিক থেকে নিরাপদে থাকুন। তাহলে আপনি বড় ধরনের রোগ থেকে মুক্ত হতে পারবেন। গ্যাস্টিকের কারণে আপনার পেটে ক্যান্সার এর লক্ষণ দেখা দেবে। ক্যান্সার খুবই মারাত্মক একটি রোগ। আমরা মাঝে মাঝে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা হলে কোন গুরুত্ব দেইনা অবহেলা করে চলি কিন্তু এটা উচিত না। আপনি যদি এই গ্যাসট্রিককে অবহেলা করেন তাহলে আপনার শরীরে মারাত্মক বিপদ হতে পারে যেমন ক্যান্সার, লিভার সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা ইত্যাদি। এগুলো খুবই খুবই মারাত্মক।
গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এর 95 শতাংশ ধরন করে। তাই অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক দূর করার চেষ্টা করুন। তাই একটু ভুলের জন্য আপনি আপনার জীবনটা শেষ করে দিবেন না।
ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে এবং খাবার-দাবার বাছািই করে খেয়ে আপনার শরীরকে আপনি সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার জীবন হবে অনেক সুখের। আপনি কোন রোগে ভুগবেন না। রোগ মুক্ত মানুষ খুবই সুখী। তাই আপনি আপনাকে যত্ন নিন এবং এই রোগগুলো থেকে মুক্ত থাকুন। এজন্য এ জন্য আপনাকে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ গুলো কি কি সেগুলো জেনে নেওয়া ভালো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর প্রায় 28000 মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। ৬০ শতাংশের বয়স 65 এর বেশি। নারীদের থেকে সবচেয়ে বেশি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন পুরুষরা। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ক্যান্সারে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ছিল এটি। এখন ক্যান্সারের তালিকায় 14 তম সাধারণ ক্যান্সার।
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। যার মধ্যে কয়েকটি তে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি পরিমাণে। আপনার শরীরে থাকা এই ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষা করে নিতে পারবেন চিকিৎসকের সাহায্য। হাজার 930 সালের পর অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এর হার অনেক কমে গিয়েছে। বর্তমানে পায়েলের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া দিয়ে চিকিৎসা করা সম্ভব।
গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণঃ
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
- পেটে ফুলে যাওয়া বা পেট ফাঁপা
- পেটে ব্যথা
- বদহজম
- পেট ব্যথা
- আলসার
- পেটে জ্বালাপোড়া
- ক্ষুধামান্দ্য
- রক্ত বমি বা বমির সাথে কফি গ্রাউন্ড-মত উপাদান থাকা
- কালো, ট্যারি স্টুল
গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ জেনে নিনঃ
কিছু কিছু লোক রয়েছেন যাদের শরীরে ক্যান্সারের লক্ষণগুলো বাসা বেঁধে থাকে কিন্তু বোঝার কোন উপায় নেই। তবে বেশিরভাগ সময়ে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো জেনে নিন যেমনঃ
- বদহজম
- ক্লান্তি
- দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর এ ক্ষুধা না পাওয়া
- অল্প খেলেই পেট ফুলে যাওয়া
- পেট ব্যাথা হওয়া
- ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
- বমি হওয়া এবং বমি বমিভাব হওয়া
- রক্তাক্ত কাল মল
- অকারনে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
আপনার শরীরের যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন। এই লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো। আপনার পেটের ভেতরটা দেখার জন্য গলা দিয়ে টিউবের মাধ্যমে একটি ছোট ক্যামেরা পেরন করবে।
যাতে এতে কোনো কিছু স্পর্শ না হয়। পেটের ভেতর কার কিছু টিস্যু নেওয়া হবে। সেখানে মাইক্রোওভেনে চিকেন রোস্ট আছে কিনা তা পরীক্ষা করার পর জানা যাবে যে এর অবস্থা কি।
এছাড়া আরও কিছু পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে সেগুলো জেনে নিন।
যেমনঃ সিটি স্ক্যান, বেশ কয়েকটি এক্স-রে পেটের বিভিন্ন কোণ থেকে, এমআরআই ইত্যাদি। এরপর শনাক্ত হওয়ার পর সার্জারি করতে হতে পারে। অনেক সময় রেডিয়েশন থেরাপি বা কেমোথেরাপির মাধ্যমেও ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলতে পারে। যদিও এই দুই ধরনের থেরাপি প্রায়শই একসঙ্গে ব্যবহৃত হয়।
ক্যান্সার বংশগত কারণেও হতে পারে। আবার যাদের পেটে কোন কারনে কোন সমস্যা থাকে সে ক্ষেত্রে ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এর এ জন্য অল্প চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন। যাদের আগে থেকেই রক্ত সচলতা কোমরের সমস্যায় হজমের সমস্যা এবং গ্যাস্টিক রয়েছে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
আপনার দৈনিক কাজ খাদ্যভ্যাস আপনাকে গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার এর ঝুঁকি দিতে পারে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। অতিরিক্ত লবন খাওয়া, ধূমপান করা, অতিরিক্ত মাছ গোশত খাওয়া অতিরিক্ আচার খাওয়া এসব আপনাকে খুবই বিপদে ফেলে দিতে পারে ।তাই অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করুন।,
গ্যাস্ট্রিক কেন হয়?
ধূমপানঃ
ধূমপান আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। একটি সুস্থ মানুষ যদি হঠাৎ করে ধূমপান করা শুরু করে সে ক্ষেত্রে ধূমপান আপনার শরীরকে মারাত্মক ক্ষতি করে দেবে। এই ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। ধূমপান গ্যাস্ট্রিক এর মূল কারণ। তাই যারা ধূমপানে অভ্যস্ত তারা ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।
পানি খাওয়া অবহেলাঃ
আমরা জানি পানির অপর নাম জীবন। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমত হচ্ছে পানি। আপনি যেখানে যাবেন ডাক্তারের কাছে যাবেন সবাই একই পরামর্শ দিবে যে আপনি পরিমান মত পানি খান। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিক দূর হতে সাহায্য করবে। এজন্য অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মানসিক অশান্তিঃ
যারা মানসিক চাপে রয়েছে এবং মানসিক অশান্তিতে তাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা প্রচুর পরিমাণে দেখা দিবে। মানসিক চাপ, মানসিক কষ্ট, অতিরিক্ত টেনশন, ইত্যাদি এসবের কারণে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই কষ্টইত্যাদি এসবের কারণে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কষ্টের মাঝে একটু আনন্দ থাকার চেষ্টা করুন । তাহলে আপনি গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে পারি।
ঘুমঃ
একজন মানুষকে শারীরিক সুস্থতা রাখার জন্য সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর দরকার। একটি মানুষের 7 সাথে 8 ঘণ্টা ঘুমানোর নিয়ম। আমরা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে পারি তাহলে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে না। ঘুমের কারণে মানুষের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
খাবার খাওয়াঃ
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা যে খাবারগুলো সাহায্য করে তা হলোঃ পানি কম খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিক হবে এটা নিশ্চিত, ভাজাপোড়া খাবার, শুকনা জাতীয় খাওয়া, অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার, অতিরিক্ত ঝাল খাওয়া, ইত্যাদি। এই খাবারগুলো গ্যাস্টিকের খুবই সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই খাবারগুলো কে এড়িয়ে চলুন। গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
শারীরিক ব্যায়ামঃ
শরীরিক ব্যয়াম না করার কারনেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে । পর্যাপ্ত পরিমাণে হাঁটার অভ্যাস করুন। আধা ঘন্টা এক ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস করুন। হাটার কারণ হচ্ছে আপনি যে খাবারগুলো খেয়ে থাকেন সেই খাবারগুলো খুব দ্রুত হজম করতে সাহায্য করবে। যার কারনে আপনার গ্যাস্ট্রিক হবে না।
কথা বলার বদ অভ্যাসঃ
খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত কথা বলা একদম উচিত নয়। খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত কথা বলা উচিত না। খাবার খাওয়ার সময় চুপচাপ করে খাবার খেতে হবে। খাবার খাওয়ার সময় আপনি যদি অতিরিক্ত কথা বলেন সে ক্ষেত্রে আপনার এসিডিটির তথা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেবে।
রুটিনমাফিক বা প্রতিদিন এক সময়ে খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থেকে ক্ষুধা পেটে নিয়ে তারপর খাবার খায় তাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা প্রচুর। আপনি যদি সারাদিন না খেয়ে একেবারে অনেক খাবার খেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার মারাত্মক সমস্যা দেখা দেবে। এই বদ অভ্যাসের কারণে আপনার অতিরিক্ত গ্যাস্টিকের সমস্যা হবে। যেকোনো খাবার ভালোভাবে চিবিয়ে খেতে হবে।
খাবার খাওয়ার সময় তিন ভাগের এক ভাগ খালি রাখতে হবে। আপনি যদি খাবার খাওয়ার সময় তিন ভাগের এক ভাগ খালি রাখেন তাহলে আপনার শরীরে মেদ বা চর্বি কখনো জানবেনা। রাত্রে ঘুমানোর আগে কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘন্টা পূর্বে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এই নিয়মগুলো যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে পালন করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।
অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য এবংগ্যাস্টিকের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। পানিতে রয়েছে ক্লোরিন। কমপক্ষে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি খেতে হবে। খাবার খাওয়ার মাঝখানে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
খাবার খাওয়ার পরে পানি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এগুলো নিয়ম যদি আপনি সঠিক ভাবে পালন করতে পারেন তাহলে আপনার গেস্ট কি সমস্যা দেখা দিবে না। নিজেকে সবসময় টেনশন টেনশন মুক্ত রাখুন মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখুন ধূমপান থেকে বিরত থাকুন ইত্যাদি এসব থেকে যদি আপনি রাখতে পারেন আপনি আপনাকে তাহলে আপনি মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।
গ্যাস্টিক রোগ খুবই মারাত্মক রোগ যা আপনাকে দিনদিন ক্লান্তি করে ফেলবে। গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থেকে জেনে নিন গ্যাস্ট্রিকের লক্ষণ কি কি এবং কি কি কারণে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে ইত্যাদি ।সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি সকলের মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ে নিন।