টমেটোর উপকারিতা
পুষ্টিগুণে ভরপুর টমেটো। রান্না করা কাঁচা বা চাপ জুস মিষ্টি করে খাওয়া যায় অনেকে আবার ছালাত বানিয়ে টমেটো খান রান্নায় স্বাদ এবং রং আনতে টমেটোর জুড়ি মেলাভার টমেটো পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন কে এন্টি অক্সিডেন্ট লাইকোপিন টমেটোর গুণাগুণ চলুন জেনে নেয়া যাক।
টমেটোতে কি পরিমাণে মিনারেল থাকায় তা আমাদের শরীরের রক্তচাপ সঠিক মাত্রায় রাখে এবং কোলেস্টরলের মাত্রা ঠিক রাখে।
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল থাকায় আমাদের শরীরের রক্তচাপ সঠিক মাত্রায় রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে।
টমেটো দাঁত এবং হাড়ের জন্য খুবই উপকারী টমেটোতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় শক্ত রাখে এবং হাড়ের সঠিক গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া দাঁতকে সুস্থ রাখতে টমেটো কার্যকর ভূমিকা রাখে।
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে নিয়মিত টমেটো খেলে আমাদের শরীর খুবই ভালো থাকে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য টমেটো অনেক জরুরি তাই আমরা নিয়মিত টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করবো। মোটকথা টমেটো সস সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে নিয়মিত খেলে আমাদের চোখ ভালো থাকে নিয়মিত টমেটো খেলে আমাদের ত্বক খুবই ভালো থাকে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য টমেটো অনেক জরুরী। আমরা নিয়মিত টমেটো খাওয়ার চেষ্টা করব।
প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ কমিটির ভূমিকা পালন করে সপ্তাহের দশটি বা তার থেকে বেশি টমেটো খেলে এই সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়
হার্টের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে টমেটো। টমেটোর রস ত্বকের ট্যান দূর করে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে এটি অসাধারণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন টমেটো খেলে 13 শতাংশ পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধের সম্ভাবনা থাকে। প্রধানত শীতকালের সবজি হলেও আজকের দিনে প্রায় সারা বছরই টমেটো পাওয়া যায়।
টমেটোর উপকারিতা অনেক টমেটো একটি মজাদার সবজি আমাদের দেশে প্রায় সারাবছরই টমেটো পাওয়া যায়। ছোট বড় সকলের কাছেই খুব প্রিয় যদিও বা টমেটো শীতকালীন সবজি তারপরও টমেটো এখন সংগ্রহ করে রাখার কিছু কৌশল অবলম্বন করে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা তাই আমরা এখন শীতকালের বাইরে ও টমেটো পেয়ে থাকি। রান্না করে খাওয়া যায় তবে কাঁচা টমেটোর থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। অনেকেই জানেনা তাদের প্রিয় সবজি টমেটোর স্বাস্থ্য উপকারিতা ও গুনাগুন সম্পর্কে তাই আমরা টমেটোর কাঁচা এবং সিদ্ধ খাওয়ার উপকারিতা টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না বা অনেকের বিশ্বাস করতে একটু কষ্ট হতে পারে যে, আমাদের দেশের বাজারে সর্বোচ্চ মূল্যে বা দামি ফলগুলোর মধ্যে যেমন আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর, কলা ইত্যাদি ফলের চেয়ে অনেক কম দামি হলেও এর স্বাস্থ্য উপকারিতা ফলের চেয়ে চার গুণ বেশি। লাইকোপেন ক্রোমিয়াম ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমূহ চেহারা উজ্জ্বল প্রদানের পাশাপাশি টমেটো হার্ট ভালো রাখে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে হজমে সাহায্য করে ব্রণ দূর করে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। কিডনি সুস্থ রাখে টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।
ইতিমধ্যে আমরা টমেটোর অনেক গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পারলাম। আসুন আরো কিছু টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। ক্যান্সার দূরে রাখে কয়েকটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী টমেটোতে থাকা উচ্চমানের লাইকোপিন প্রচলন ও পাকস্থলীর ক্যান্সারের সেল তৈরি হতে দেয় না। লাইকোপিন হচ্ছে এক প্রকার প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের সেল তৈরিতে বাধা দেয়।
গবেষণায় আরও জানা গেছে কাঁচা টমেটোর চেয়ে রান্না করা টমেটোতে লাইকোপিনের পরিমাণ বেশি থাকে। সুতরাং আজ থেকে তরকারিতে যত বেশি টমেটো ব্যবহার করতে পারেন তা আপনার জন্যই বা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।
সুস্থ ত্বকের জন্য টমেটোর উপকারিতা
সুস্থ ত্বক লাইকোপিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। টমেটো ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহারের প্রচলন অনেকদিনের এটা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে 10 মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন রোদে পোড়া ভাব বলিরেখা ও চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে টমেটো বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
মজবুত হাড়ের জন্য টমেটোর উপকারিতা
তুলতুলে নরম এ ফলটি সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয় মজবুত হাড় গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে আর এ দুটি উপাদান শক্ত হাড় গঠন ও টিস্যুর পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টমেটোর উপকারিতা টমেটো প্রিন্টের ভালো বন্ধু টমেটোতে ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম থাকায় এটি অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায় টমেটো জুস খেয়ে সহজেই হার্ট অ্যাটাক ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানেই টমেটো টমেটোতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ ভিটামিন সি ভিটামিন ও বিটা ক্যারোটিন শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায়াতা করে। কিডনি সুরক্ষায় টমেটোর সালাদ নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ভয় থাকবে না।
কাচা টমেটোর উপকারিতা
এক কাপ বা ২৪০ গ্রাম টমেটোয় আছে প্রায় ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে এবং প্রায় ৪৫ মিলিগ্রাম খনিজ ফসফেট। এই দুটোই বাতের ব্যথা কমাতে ও হাড় ক্ষয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ভিটামিন সি ও ই এর পরিমাণও বেশি। এ ছাড়া দুই ধরনের টমেটোতেই লাইকোপিন নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর পরিমাণে।
বাজারে এখন কাঁচা টমেটো বেশি সহজলভ্য
শুধু টমেটো নয় শীত আসলেই বাজারে রংবেরঙের শাক সবজি দিয়ে ভরে ওঠে। সব ধরনের শাকসবজি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে মৌসুমী ভিত্তিক শাক সবজি গুলো আমরা বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করব সব সময় লাল টমেটোর দেখা মিলে খুব কমই পাওয়া যায় শীতকালে সাধারণত আমরা দেখতে পাই বাজারগুলোতে।
জানেন কি এই কাঁচা টমেটো খেলে কি হয়
লাল টমেটোর শ্রেয় সবুজ টমেটো স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী। রান্নায় যদি সবুজ টমেটো দেয়া হয় সেক্ষেত্রে এরশাদ যেন আরো বেড়ে যায়। আবার লাল টমেটো যেমন কাচা খাওয়া যায়। সেরকম টমেটো সালাদ করে খেতে পারেন। একটা 240 গ্রাম টমেটোতে আছে প্রায় 15 মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন কে এবং প্রায় 45 মিলিগ্রাম খনিজ থাকে। এই দুটোই বাতের ব্যথা কমাতে হাড় ক্ষয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। কাঁচা টমেটোতে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকে।
পাশাপাশি হাড় দাঁত মাড়ি এবং ত্বকের জন্য বেশি উপকারী এই ভিটামিন সি ভিটামিন সি শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়াতে সাহায্য করে ফলে সর্দি কাশির সঙ্গে লড়াই করতে পারে। সহজেই লাইকোপিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে টমেটোতে থাকা লাইকোপেন প্রটেস্ট কাল রেখা ও পেটের ক্যান্সার হলে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কাঁচা টমেটোতে আরো থাকে নিউমেরিক ও ক্লোরিন এসিড ঠান্ডা কাশি শদীর প্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে ।
যারা ধূমপান ছাড়তে পারছেন না
এমনকি একান্তই যারা ধূমপান ছাড়তে পারছেন না তারা নিয়মিত কাঁচা টমেটো খেলে ধূমপানের আসক্তি ও কমতে শুরু করবে।
টমেটো খাওয়ার নিয়ম
টমেটো ভালোভাবে কেটে নিন এরপর তাতে লবণ মেশানো তবে বাড়িতে থাকা লবণ হলে চলবেনা লবনটা হতে হবে সামুদ্রিক কারণ টমেটো খাওয়ার জন্য ওই লবণের বিকল্প নেই ।এছাড়াও টমেটো খাওয়ার জন্য পরিবারের সকলের সাথে বসে খাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেননা আপনি একটা টমেটো হাতে নিয়ে টেলিভিশন দেখতে দেখতে ও খেতে পারেন, বা অন্য সকলের মত টমেটো খেতে পারেন এমনকি স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় অথবা পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে খেতে পারেন।
টমেটো খাওয়ার আগে বিশেষ কিছু দিক
বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে বাজারে এমন কোন টমেটো পাওয়া যায় না। যে টমেটোতে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি। সে কারণে জমি থেকে সরাসরি তুলে নিয়ে আসলেও সেটা আপনার লাগানো গাছ প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে উঠা গাছ এর টমেটোর মত হবে না নিজের জমিতে উৎপাদন টমেটোর সাদ এবং বাজার থেকে নিয়ে আসা টমেটো মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তাই আপনারা বাজার থেকে নিয়ে আসা টমেটো খাওয়ার আগে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে পারেন।
আশা করি আপনারা টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে সামান্য কিছু জানতে পেছেন। তাই নিয়মিত টমেটো খাওয়া অভাস গড়ে তুলতে পারেন। টমেটোর উপকারিতা আরো অনেক রয়েছে যা সলপ সময়ে বলে বা লিখে শেষ হবে না। তাই আপনি এবং আপনার পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যসচেতনতায় নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।