ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে তা আজকে আলোচনা করব। বাংলাদেশের মানুষ আমেরিকা-ইউরোপ অস্ট্রেলিয়া রোমানিয়া ইত্যাদি দেশে থাকেন আমরা অনেকেই ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে চায় কিন্তু আমরা সেই দেশগুলোর সম্পর্কে মোটামুটি ভাবে জানিনা। আজকে আপনাদের সঙ্গে ইউরোপের কয়েকটি দেশ নিয়ে আলোচনা করব যেমন অস্ট্রেলিয়া পলান্ড রোমানিয়া নিয়ে এ দেশগুলোর কাজের ধরন ভিসা খরচ কোন দেশে কত টাকা আয় সর্বনিম্ন বেতন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব। আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে ইনশাল্লাহ।
অস্ট্রেলিয়া যেতে খরচ কত হয়
আমরা অনেকেই অস্ট্রেলিয়া যেতে চাই কিন্তু আমরা জানি না সে সম্পর্কে বিস্তারিত সবকিছু আজকে আমরা আপনাদেরকে জানাবো অস্ট্রেলিয়া যেতে কত টাকা খরচা হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত এখানে দুইটি ক্যাটাগরিতে ভিসা করা হয় দুটি কাজ করার যোগ্য থাকে টেম্পোরারি যেটাতে পিয়ার এর অপশন থাকেন। প্রাথমিকভাবে আসবেন পরবর্তীতে আপনি চাইলে সেটা এপ্লাই করতে পারেন টেম্পারেচার যদি কেবলমাত্র আপনি হন তাহলে আপনার খরচ পড়বে অ্যাপ্লিকেশন ফি 250 ডলার ইন্সুরেন্স 250 ডলার এসাইনমেন্ট পাঁচশো ডলার এগুলো সব কিছু মিলনের পর যোগফল হয় 4000 সামথিং।এক্সট্রা মাইগ্রেশন এজেন্টের জন্য প্রযোজ্য হয় এর জন্য কোম্পানির খরছ হিসেবে 77000 ডলার বাংলাদেশি টাকায় খরচ হয় 4 লাখ টাকার এটা আপনার ক্ষেত্রে। আর যদি আপনার সঙ্গে স্ত্রী বা অন্য কেউ থাকে তাহলে আপনার খরচ হবে পাঁচ লাখ 70-80 টাকার মতন প্রায়।
অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন বেতন
আজকে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন বেতন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা যদি আপনি ছাত্র হিসেবে জানি ঘন্টা প্রতি সপ্তাহে কাজ করতে হবে এবং প্রত্যেক ঘন্টার জন্য আপনি বারোশো টাকা পাবেন অস্ট্রেলিয়া সর্বনিম্ন বেতন যদি কেউ 10 থেকে 15 ডলার দেয় এটা ইন লিগ্যাল ভাবে দেওয়া হয়।
পোল্যান্ড ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
পলান্ড যেতে কত খরচা এ প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন আজকে তাদের জন্য উত্তরটি প্রয়োজন যারা পলান্ড যেতে চান পলান্ড যেতে হলে আপনার মোট খরচ হবে 7.5 থেকে চার লক্ষ টাকার মতন প্রায়।
রোমানিয়া কাজের ভিসা
ইউরোপ ভুক্ত দেশ রোমানিয়া রোমানিয়া বর্তমানে বাংলাদেশের অনেকে রয়েছে রোমানিয়াতে আগে বাংলাদেশ থেকে লোক নেওয়া হতো যেমন 2020 সালে 365 জন লোক নিয়েছে 2021 সালে বৃদ্ধিতে 471 জন হয়েছে এবং এটা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে রোমানিয়া সম্পর্কে আজকে আপনাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করো।
রোমানিয় ভিসা পেতে কত সময় লাগে?
আপনি যদি রোমানিয়া যেতে, কত সময় লাগবে এই সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এখানেই জেনে নিতে পারবেন।আপনি যদি রোমানিয়াতে কাজের ভিসায় যেতে চান। তাহলে আপনার রোমানিয়া ভিসা পেতে প্রায় তিন মাস বা চার মাস এর মতো সময় লাগবে।
রোমানিয়া কাজের ধরন যোগ্যতা ও বেতন
আপনি রোমানিয়া ভিসা নিয়ে গেলে সেখানে অনেক ধরণের কাজ করতে পারবেন। যেমন- কারখানা শ্রমিক, হোটেল, কাঠমিমিস্ত্রির কাজ ইত্যাদি।যারা উক্ত যেশের জন্য প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তাদের জন্য রোমানিয় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় খুব সহজে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন পাবেন।আপনি বাংলাদেশি টাকায় ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৫ লক্ষ টাকার মতো আয় করতে পারবেন। উক্ত কাজের বেতন আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী পাবেন।যারা রোমানিয়া যেতে চান তাদের রোমানিয়া ভিসা খরচ সম্পর্কে জানা অতি জরুরী আপনি যদি রোমানিয়াতে যেতে চান তাহলে আপনার 4 থেকে 9 লাখ টাকার মতন খরচা হবে। এটি একটি ধারণা দেওয়া হলো এর চেয়ে একটু কম বা বেশি ও হতে পারে।
ইউরোপে পড়াশুনা করতে কোন দেশে কত টাকার ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টস লাগবে
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে তা নিয়ে আরো কিছু কথা। ইউরোপের উচ্চশিক্ষার একটি অবিছেদ্য শর্ত হলো আপনি আর্থিক সাবলম্বী কিনা। আপনি আপনার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন কিনা। ভিসা আবেদনের আগে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট দেখাতে হবে যা আপনার প্রমাণ দেবে আপনি আসার পর পড়াশোনার খরচ বা থাকা খাওয়ার খরচ বহন করতে সক্ষম হবেন। আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হলো কোন দেশের জন্য কি পরিমান টাকার ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে স্টুডেন্ট কাউন্সিলর কে বা এমবিসি। কোন দেশের ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্ট তা মূলত এক বছরের থাকা-খাওয়ার জন্য ওই দেশের Living expenses এর 12 মাসের সমপরিমাণ টাকা দেখাতে হবে। যেমন ধরুন জার্মানিতে এক মাসে 670 ইউরো খরচ হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে ১২* ৬৭০ =৮০৪০ ইউরো একবছরের দেখাতে হবে। দেশভেদে কেমন হবে ব্যাংক স্টেটমেন্ট তার উপর একটা সংরক্ষিত বর্ণনা আমি দিচ্ছি।
আশাকরি ইউরোপে পড়তে ইচ্ছুক ভাই-বোনদের কাজে আসবে। প্রথমেই বলে নেই ব্লক একাউন্ট এর ব্যাপারে। ভক একাউন্ট সম্পর্কে অনেকের ধারণা নাও থাকতে পারে ব্লক অ্যাকাউন্ট হচ্ছে নরমালি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যে একাউন্ট থেকে আপনি চাইলেও নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ছাড়া সব টাকা একত্রে তুলতে পারবেন না। আর বিশেষ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টাকা ব্লগ করা হতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার বিচার প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি থেকে কনফার্ম admission letter পাওয়ার পর সাধারণত এ ব্লক একাউন্ট করতে বলা হয়। এম্বাসিতে ভিসা আবেদনের সম্পূর্ণ টাকা ব্লক করতে (ইমিগ্রেশন রুলস অনুযায়ী) ভিসা নিশ্চিত হওয়ার পর বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে ব্লক একাউন্ট এর টাকা গুলো ওই দেশের ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে। যেখানে আপনি পড়াশোনা করতে আবেদন করেছেন। টাকা ট্রান্সফার এর ব্যাপারে এমবিসি ও ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল অফিস আপনাকে সাহায্য করবে। টেনশন করার কোন কারন নাই।
কোন কোন দেশে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে ?
- ১#জার্মানি এর ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে। টাকার পরিমান ৮০৪০ ইউরো। বাংলাদেশী টাকায় ৮ লক্ষ ৪ হাজার প্রায়।( কম বেশি হতে পারে দর অনুযায়ী )
- ২# নরওয়ে এর ক্ষেত্রে ব্লক একাউন্ট দেখাতে হবে। টাকার পরিমান ৯২০০০ নরওয়েজিয়ান ক্রোনা=১২৫০০ ইউরো = ১৩ লক্ষ টাকা।
- #ব্রিটেন এর ক্ষেত্রে ১০০০০ পাউন্ড.= ১২ লক্ষ টাকা
- #সুইডেনের ক্ষেত্রে ৮৭৫০০ সুইডিশ ক্রোনা =১০.৫ লক্ষ টাকা।
- #ফিন্লান্ডের ক্ষেত্রে ৬৭২০ ইউরো ( বেশি দেখাতে পারলে সমসা নাই )
- #আয়ারল্যান্ড এর ক্ষেত্রে ৮০০০ ইউরো = ৮ লক্ষ টাকা।
- #অস্ট্রিয়া এর ক্ষেত্রে ৬৫০০ ইউরো = ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
- #পোল্যান্ড ৫৫০০ USD . ৪ লক্ষ টাকা প্রায়।
- # লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, এস্তোনিয়া ৪৫০০-৫০০০ ইউরো = ৪.৫ -৫.০ লক্ষ টাকা।
- #ইতালির ক্ষেত্রে ৭ লক্ষ টাকা।
- # বেলজিয়াম + নেদারল্যান্ড এর ক্ষেত্রে ৭৫০০ ইউরো =৭.৫ লক্ষ টাকা।
- # পর্তুগালের জন্য ৫০০০ ইউরো =৫ লক্ষ টাকা।
- #স্পেন এর ক্ষেত্রে ৬ লক্ষ।
- # রোমানিয়া , বুলগেরিয়া এর ক্ষেত্রে ৪ লক্ষ টাকা।
- # সাইপ্রাস এর ক্ষেত্রে ৫০০০ ইউরো = ৫ লক্ষ টাকা।
গ্রিসে কিভাবে যাবেন শ্রমিকরা?
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে তা তো জেনেছেন এবার কিছু পরামর্শ । অবৈধ পথে ইউরোপে প্রবেশ করার অন্যতম গেটওয়ে বা দুয়ার হচ্ছে গ্রিস।বিভিন্ন সময় অনেক বাংলাদেশি অবৈধ পথে গ্রিসে প্রবেশ করেছে। তাদের অনেকে সে দেশে অবৈধভাবে বসবাস করছেন।আবার অনেকে ইউরোপের অন্য কোন দেশে যাবার আশায় গ্রিসে ঢুকেছে। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, এ সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী গ্রিস বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর চার হাজার শ্রমিক নেবে।এসব শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে ‘সিজনাল ওয়ার্কার’ বা মৌসুমি শ্রমিক হিসেবে কাজ করবেন।
কেন এবং কীভাবে বাংলাদেশি অভিবাসীদের গন্তব্য হয়ে উঠল লিবিয়া
আশা করছি আপনি জানতে পেরেছেন যে, ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে। শুধু নতুন শ্রমিক নয়, নতুন সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রিসে অবস্থানরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের পর্যায়ক্রমে বৈধ করা হবে । “মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, অবৈধ পথে যাতে কেউ না যায়। ঐ পথ যাতে লোকজন পরিহার করে,” বলেন মি. সালেহীন।বৈধ পথে যারা যাবেন তারা পাঁচ বছরের জন্য ভিসা পাবেন। তাদের বেতন-ভাতা সে দেশের আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।গ্রিসে কাজের জন্য লোকের চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী তারা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায়।এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) বিশ্বজিত কুমার পাল বিবিসি বাংলাকে বলেন, যারা বৈধভাবে আছে তাদের সর্বনিম্ন মজুরী ঘণ্টায় পাঁচ ইউরো। তবে ব্যক্তির কাজের দক্ষতার উপরও মজুরী নির্ভর করে। “বৈধ পথ না থাকায় অবৈধ পথে মানুষ যাচ্ছে। অবৈধ পথে যাচ্ছে কেন? নিশ্চয় সেখানে চাহিদা আছে। সেখানে যদি তার কাজের সুযোগ না থাকে, তাহলে কেন যাচ্ছে?” বলেন মি. পাল।
আশা করছি আপনি আজকের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে, ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে।