গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা

গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালামুয়ালাইকুম আজকের আলোচনায় হচ্ছে গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আজকে আমরা জানবো গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। আমরা সবাই সুস্থ থাকতে চাই তাই অবশ্যই সুস্থ থাকার জন্য অনেক কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে পারলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন। সব সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে শাকসবজি খেতে হবে ফলমূল খেতে হবে ইত্যাদি এসব খেলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন।

গাজরে অন্যান্য সবজির তুলনায় একটু বেশি বেশি উপকারী ও পুষ্টিগুণ রয়েছে।  উৎসব পুষ্টিগুণ সমূহ সবজি হচ্ছে গাজর।

চলুন জেনে নেই গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

 সূচিপত্রঃ

  •  গাজরের উপকারিতা
  •  গাজরের অপকারিতা
  • দেহ সুস্থ রাখার জন্য  গাজরের ব্যবহার
  •  চুলের যত্নে  গাজরের ব্যবহার
  •  ত্বকের যত্নের জন্য এবং ত্বক সুন্দর রাখার জন্য গাজর এর ব্যবহার
  •  শেষ কথা

 গাজরঃ

গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগে আরো কিছু তথ্য জানব। জনপ্রিয় সবজি, গাজর শীতকালীন সবজি। গাজর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে যেমন লাল, সাদা, হলুদ,  কমলা ইত্যাদি। ইংরেজিতে গাজর কে বলা হয় carrot এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Doucus carota এটি হচ্ছে শীতকালীন সবজি। সাধারণত শীতকালে পাওয়া যায়। পৃথিবীর সবথেকে বেশি উৎপাদিত হয়  গাজর চীন দেশে। গাজর চাষ উপযোগী স্থান হচ্ছে দোআঁশ মাটি দোআঁশ মাটি ও বেলে মাটি।

গাজর তুলনামূলক দেখতে বেশি আকর্ষণীয় একটি সবজি। গাজরের রঙ দেখতে খুব সুন্দর লাগে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। গাজর আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। গাজর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গাজর  আপনার সৌন্দর্য চর্চার ভূমিকা রাখে।

সাধারণত গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন। গাজর সবজিতে সরাসরি ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিন এ এর কারণে বিটা ক্যারোটিন করে থাকে। গাজর আমরা বিভিন্ন সালাতে ব্যবহার করি এবং গাজর তরকারি হিসেবে ব্যবহার করি গাজর মুখরোচক মজাদার একটি খাবার। তবে গাজর সালাদ বা তরকারি রান্না করে খাওয়ার থেকে আপনি যদি গাজর একেবারে কাঁচা খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে অনেক উপকার হবে।

প্রতি ১০০  গ্রাম  গাজরের রয়েছে ৪১  কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি।৮২৮৫ মাইক্রো গ্র্যাভিটি’র২,৮ গ্রাম খাদ্য-আঁশ৫,৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি২,২ মিলিগ্রাম আয়তন১৩,২ মাইক্রো গ্রাম ভিটামিন-কে 0.04 মিলিগ্রাম ভিটামিন ডি 1.05 মিলিগ্রাম ভিটামিন বি টু পয়েন্ট মাইক্রো গ্রাম 320 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম 12 মিলিগ্রাম ফসফরাস 33 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং 12 মিলি গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম।

 গাজরের উপকারিতাঃ

গাজর খুবই উপকারী একটি খাবার। গাজর আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে গাজর আপনার চেহারা সুন্দর করতে সাহায্য করে। ইত্যাদি। গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ পদার্থ ফাইবার শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দূর করতে সাহায্য করে। আপনার দেহের সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। গাজর আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে থাকে এবং ত্বক উজ্জল করতে সাহায্য করবে।

 দেহের সুস্থতার জন্য গাজর এর ব্যবহারঃ

  •  গাজর আপনার হজম শক্তি কে  বৃদ্ধি করতে সক্ষম। গাজর ডায়রিয়ার সমস্যা থেকে দূর করতে পারে। তাই আমি বলবো গাজর খুবই উপকারী একটি খাবার।
  •  গাজরের রয়েছে আর গ্লুকোজ মেটাবলিস্ম উন্নতি ঘটায় কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। ডায়াবেটিস রোগীরা গাজর প্রতিনিয়ত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  •  আপনার যদি লিভারের সমস্যা থেকে সে ক্ষেত্রে আপনি গাজর খেতে পারেন। লিভারের সমস্যা দূর করতে পারে একমাত্র ঘরোয়া যে খাবারটা সেটা হচ্ছে গাজর। তাই লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য গাজর খেতে পারেন। কাঁচা গাজর যদি খেতে না পারেন তবে গাজরের স্যুপ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  •  গাজরের ভিটামিন এ গাজী আপনার রাতকানা রোগ থেকে মুক্তি করতে পারবে। গাজর চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনার চোখের দৃষ্টি ভালো রাখবে। তাই গাজর প্রতিনিয়ত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  •  গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্লাইট কেমিক্যালস যার মূল উপাদান হলো এটা কেমন ধরনের ক্যারোলিন ফাইটোকেমিক্যাল দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আপনি কাজ খেতে পারেন। গাজর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গাজর   ক্যান্সার মরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
  • গাজর শরীরের স্বাস্থ্য কমাতে সাহায্য করবে। গাজরের জুস খেলে শরীর থেকে ফ্যাট বা আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারবেন। তাই যাদের শরীর অতিরিক্ত মোটা বা ওজন অতিরিক্ত হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই গাজর খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শরীরচর্চা এবং তার হাঁটাচলার গাজরের জুস খুবই উপকারী।
  • গাজর খাওয়ার সময় মুখে সিলভার নামক একটি যুগের নিসর্গ ঘটে। সিলভা মুখে এসিড এর ভারসাম্য বজায় রাখতে দাঁতের ঘরের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে সক্ষম।
  •  আপনি যদি নিয়মিত গাজর খেতে পারেন তাহলে আপনার হজম শক্তি প্রতিরোধ করবে। আপনার শরীরের যাবতীয় যে রোগ রয়েছে সে রোগ ধ্বংস করতে পারবে একমাত্র গাজন। যাদের  পাইলস রয়েছে তারা অবশ্যই গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • গাজর আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে এবং গাজর রক্তশূন্যতা দূর করে ও গাজর রক্ত পরিষ্কার রাখার জন্য খুবই কার্যকরী। তাই বেশি গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • গাজর ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে পারে এবং শ্বাসনালী নিরাপদ রাখবে গাজর।
  • গাজরের হয়েছে ব্লাড সুগার পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। গাজর আপনার হার্টের সমস্যা দূর করতে পারে।
  • গাজরে আরো রয়েছে ভিটামিন সি শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে কাজে লাগে। এন্টি বডির দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম এর শক্তি গড়িয়ে চলে।
  • গাজরের রয়েছে ক্যালসিয়াম ভিটামিন পাই গাজর আপনার দাঁতকে মজবুত করতে পারে।
  • দেহের চর্বির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে গাজরের রস। তাই ওজন কমানোর জন্য আপনি গাজরের রস খেতে পারেন। যাঁদের অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গিয়েছে তারা অবশ্যই গাজরের রস খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • গাজরের রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ডাইরেক্ট ফাইবার যা ধর্মনগর ওপর কোনো কিছু আরোহন  পড়তে দেখায় না ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থেকে যায়।
  • গাজর খাওয়ার ফলে আপনার প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমে যাবে।
  • যাদের গ্যাস্টিকের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন এবং যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা গাজর খেতে পারেন গাজরের সঙ্গে যদি কয়েক কোয়া রসুন খেতে পারেন তাহলে আরো বেশি উপকারে আসবে।
  • বাচ্চাদের শরীরের পুষ্টির বৃদ্ধি করার জন্য আপনি গাজর খাওয়াতে পারেন। বাচ্চাদের জন্য গাজরের জুস তৈরি করে নিন।
  • গর্ভকালীন অবস্থায় আপনি যদি গাজরের জুস খেতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার অনেক উপকারে আসবে। গ্রীস বাচ্চাদেরকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য গাজরের জুস খেতে হবে তাহলে বাচ্চা বুকের দুধ পাবে। ক্যালসিয়ামের অভাব হবে না আপনার বাচ্চার। তাই নিয়মিত গাজর খাওয়ার অভ্যাস করুন
  •  গাজরে প্রচুর পরিমাণ আপনার অনাগত শিশুর হাড় মজবুত করতে পারে গাজরের রয়েছে খনিজ পদার্থ।
  •  গাজর আপনার সাইবার কোমল পরিষ্কার রাখতে পারে।
  •  গাজর ত্বকের জন্য খুব উপকারী এবং সৌন্দর্য জন্য খুবই উপকারী।
  •  গর্ভকালীন অবস্থায় যদি রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তবে আপনি গাজর খেতে পারেন এবং খিঁচুনি যদি উঠে এবং ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনি গাজর খেতে পারেন।
  • বাচ্চাদের যদি দাঁত ওঠার সময় হয় সে ক্ষেত্রে আপনি গাজরের রস খাওয়ার অভ্যাস করান। বাচ্চাদের দাঁত বের হওয়ার যে কষ্টটা হয় সে কষ্ট হবেনা যদি গাজরের রস  খাওয়াতে পারেন।
  • শরীরে যদি কোথাও কেটে যায় বা আঘাত লাগে সে ক্ষেত্রে গাজর কুচি করে সেখানে পেস্ট করে লাগিয়ে দিতে পারেন। যার ফলে আপনার ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
  •  যদি কারো সর্দি কাশি নিয়ে অসুস্থ থাকেন এবং কানে ব্যথা ইত্যাদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি কাজলের সঙ্গে কলা আদা রসুন 100 সিদ্ধ করে সেই সিদ্ধ পানি দিলে ব্যথা কমে যাবে।

গাজর ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ

  • আপনি যদি আপনার ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি কাজল ব্যবহার করতে পারেন এবং শরীরের সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য অবশ্য গাজর খুবই প্রয়োজনীয়।
  •  তাই জেনে নিন গাজর ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি কিভাবে করে।
  •  গাজরের রয়েছে পটাশিয়াম সুকান্ত ত্বকের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারে।
  • গাজর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস লিংকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
  •  গাজর রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বক ফর্সা করতে সুন্দর করতে সক্ষম।
  • গাজরের পুষ্টি উপাদান প্রচুর পরিমাণে ত্বকের পোড়া ভাব দূর করার জন্য গাজর ব্যবহার করুন।
  • গাজরের নানা ধরনের ফেস প্যাক বানিয়ে মুখে নিয়মিত লাগিয়ে রাখুন।
  • গাজর আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করতে সাহায্য করে।
  • গাজরের রস ও অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আপনার বয়স কত দূর হতে সাহায্য করবে।
  •  আপনার ত্বকে ও অ্যালোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন আপনার বয়স কত দূর হতে সাহায্য করবে ।
  • গাজর আপনার ত্বকের কালো কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
  • ত্বক সুন্দর রাখার জন্য শরীর  সুন্দর রাখার জন্য শরীরের কালো দাগ দূর করার শরিলে পরিমাণ মতো ঘষে ঘষে 10 থেকে 15 মিনিট রেখে দিন তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

চুলের যত্ন গাজরের ব্যবহারঃ

  •  গাজর হচ্ছে শীতকালীন সবজি। আমরা সাধারণত গজল সালাত বা তরকারি ইত্যাদি ভাবে খেয়ে থাকি কিন্তু গাজর দিয়ে আপনি আপনার চুলের যত্ন নিতে পারবেন। গাজরে থাকা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকার কারণে আপনি আপনার চুলের জন্য গাজরের রস ব্যবহার করতে পারেন।
  • গাজরের রস চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য তারপর ধুয়ে ফেলুন। গাজরের রস আপনার চুলকে মজবুত করবে এবং চুলের গোড়া শক্ত রাখবে। গাজরে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।
  • গাজরের রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন এ যা আপনার মাথার তালুর রক্তচাপ বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। তাই চুলের যত্নের জন্য আপনি গাজর ব্যবহার করতে পারেন।
  • সাধারণত গাজর আমরা সবসময় খেয়ে থাকি কিন্তু গাজর দিয়ে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিতে পারবেন।
  •  চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য গাজরের তেল ব্যবহার করুন। গাজার তেল তৈরি করা বেটার বাব্ল গাছ ভালোভাবে এর জলপাই  তেল মিশিয়ে মাথার তালু লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ ওর জন্য তারপর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ব্যবহারে সপ্তাহে 3 থেকে 4 দিন ব্যবহার করুন।
  •  চুলের জন্য গাজর খুবই কার্যকরী তাই আপনি আপনার চুল মজবুত করার জন্য এবং চুলের গোড়া শক্ত করার জন্য গাজর ব্যবহার করতে পারেন।
  • গাজর খুবই খুবই উপকারী একটি খাবার তাই গাজর আমরা সাধারণত সালাদ বা রান্না করে খেয়ে থাকি কিন্তু গাজর দিয়ে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের যত্ন নিতে পারবেন। তাই জেনে নিন গাজর দিয়ে কিভাবে আপনার চুলকে সুন্দর করবেন গাজর দিয়ে আপনি আপনার চুল লম্বা ঘন করতে পারবেন তাই গাজর আপনার চুলের জন্য ব্যবহার করুন।

 গাজরের অপকারিতাঃ

  • গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন তাই গাজরে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ তাই আপনি গাজরের যেই যেই ভালো কাজ গুলো রয়েছে সে কাজগুলো করতে পারবেন। গাজর অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আপনার শরীরের অতিরিক্ত ক্ষতি হতে পারে তাই কখনো গাজর খাওয়ার সময় রান্নার সময় এবং যে কোন কাজে ব্যবহার করার সময় অবশ্যই একটু সাবধানতা অবলম্বন করে তারপর গাজর ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত গাঁজা খাওয়া উচিত না।আমরা জানি যে অতিরিক্ত কোন খাবার খাওয়া উচিত নয় । তাই সে দিকে খেয়াল রেখে অবশ্যই গাজোল পরিমাণ মতো ব্যবহার করুন।
  • গাজোল রয়েছে ভিটামিন এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর পরিমাণে। ফলে আপনি যদি অতিরিক্ত খেতে চান সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর তাই অতিরিক্ত খেতে যাবেন না।
  • গাজরের  অপকারিতা  সম্পর্কে জেনে নিনঃ
  • বাচ্চাদের জন্য অতিরিক্ত গাজর খাওয়া একদমই উচিত না। কারণ গাজর বাচ্চাদের দাঁতের ক্ষতি করে দেয়।
  • অতিরিক্ত গাজর খেতে যাবেন না। অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাবে।
  • অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে আপনার ক্যান্সারের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গরমের দিনে যদি গাজর খেতে যান তবে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে গরমকালে অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্ত চাপের প্রভাব পড়তে পারে।
  • যে সকল মায়েরা তাদের বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তারা কখনো অতিরিক্ত গাঁজা খেতে যাবেন না। কারণ দুধের স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে।
  • অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া বদহজম বমি বমি ভাব পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি। যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা কখনো বেশি পরিমাণে গাজর খেতে যাবেন না।
  • গাজরের কেন্দ্রে থাকা হলুদ অংশটি বিভিন্ন উপাদানের কারণে অনেক সময় দেখা যায় গাজর খাওয়ার ফলে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।

 শেষ কথাঃ

ইতিমধ্যেই আমরা জানতে পেরেছি যে গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ।

উল্লেখিত বিষয়গুলোতে আমরা আলোচনা করেছি গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত। আমরা জানি গাজরের উপকারিতা অনেক কিন্তু অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে আপনার প্রচন্ড ক্ষতি হতে পারে তাই যেকোনো খাবার ই আমরা অতিরিক্ত খেতে যাব না। ঠিক তেমনি গাজর অতিরিক্ত খেতে যাবেন না যার ফলে আপনার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে সব সময় চেষ্টা করবেন রান্না করা গাজরের থেকে কাঁচা গাজর খুবই কার্যকরী। তাই অবশ্যই রান্না করা গাজোল না খেয়ে বরঞ্চ কাঁচা গাজর খাওয়ার চেষ্টা করুন। গাজরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ তাই আপনারা গাজর খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খেতে যাবেন না। আজকের আলোচনায় পর্যন্ত   সকলকে সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন। আর আমাদের এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে তারপর গাজরের উপকারিতা ও অপকারিতা মেনে চলার অভ্যাস করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *