হাই প্রেসার এর লক্ষণ ও প্রতিকার
হাই প্রেসার এর লক্ষণ ও প্রতিকার
আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব হাই প্রেসার এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। প্রত্যেক মানুষেরই বিভিন্ন ধরনের কাজের চাপের জন্য এবং বিভিন্ন টেনশনের কারণে হাই প্রেসারের সমস্যা এবং লক্ষণ দেখা দেয় তাই তাদের জন্য করণীয় কি সেগুলো জেনে নিন।
হাই প্রেসার এর লক্ষণ জেনে আপনি নিয়ন্ত্রণে থাকুন যার ফলে আপনি হাই পেশার থেকে নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারবেন সে বিষয়গুলো জেনে নিন। আমাদের শরীরে যদি কোন রকম একটু সমস্যা দেখা দেয় অনেকে আমরা ধারণা করে ফেলি যে আমার মনে হয় হাই প্রেসারের সমস্যা হচ্ছে কিন্তু সত্যিকারে আমরা অল্পতেই বুঝতে পারি না যে আমাদের হাইপেশার না অন্য কোন সমস্যা সঙ্গে সঙ্গে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি এবং ডাক্তারের চেম্বারে চলে যাই কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি কিভাবে জানতে পারবেন আপনার হাই প্রেসার এর লক্ষণ গুলো সেগুলো আজকে এই আলোচনাতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
হাই প্রেসার ও উচ্চ রক্তচাপে সমস্যাগুলো সববয়সী লোকদেরই হয়ে থাকে। বর্তমান যুগে পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়াচ্ছে যে হাই প্রেসার এর কোন বয়স সীমা করা লাগেনা যে কোন বয়সের হাই প্রেসারের সমস্যা বর্তমান যুগে দেখা দেয় তাই তারা বিভিন্ন টেনশনের মধ্যে থাকেন কিভাবে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখবেন আজকে তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা জেনেনিন হাই প্রেসার এর লক্ষণ প্রতিকার ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
চলুন তাহলে জেনে নেই হাই প্রেসার এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
হাই প্রেসার কিঃ
হাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চরক্তচাপ হলে জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্যসমস্যা এর মাধ্যমে শরীরে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়। রক্তের স্রোত রক্ত নালীর মধ্যে চাপের সৃষ্টি করে তাকে রক্তচাপ বলে। সারা বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ সাইলেন্ট কিলার হিসেবে পরিচিত রয়েছে। বাংলাদেশ এ সমস্যায় অনেক লোক ভুগছেন।
হাই ব্লাড প্রেসার মাপার জন্য দুটি মান ব্যবহার করা হয় জেনে নিন। সিস্টোলিক পেশার যার সংখ্যা বেশি থাকে। ডায়াস্টোলিক প্রেসার যার সংখ্যা কম থাকে। একজন সুস্থ মানুষের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত চাপ থাকে 120 পয়েন্ট আসে মিলি কার মালিক
তবে কারো যদি এই মান বেশি হয় 144 থেকে 90 এর থেকেও বেশি হয় তবে বুঝতে হবে তার হাই ব্লাড প্রেসার রয়েছে।
হাই প্রেসারের কারণ জেনে নিনঃ
হাই ব্লাড প্রেসারের কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত চিন্তা মানসিক চাপ অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়ার কারণে হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বেশি পরিমাণে পরিশ্রম করার ফলে আপনার শরীরের উচ্চরক্তচাপের সৃষ্টি হতে পারে এই সমস্যাগুলো যদি আপনার দেখা দেয় সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।হাই প্রেসার ও উচ্চ রক্তচাপ দুই ভাবে বাড়াতে পারে যেমন একিউট হাই ব্লাড প্রেসার ও ক্রনিক হাই ব্লাড প্রেসার
একিউট হাই ব্লাড প্রেসারঃ
এ ধরনের প্রেসার হঠাৎ কোন উত্তেজনা বা অন্য কোন কারণে বাড়তে পারে। যদি কোনো কারণে শট খেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে যার ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্রমিক হাই ব্লাড প্রেসারঃ
ক্রমিক হাই ব্লাড প্রেসারের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে রক্ত প্রেসার বাড়ে না। দীর্ঘদিন রক্ত প্রেসার থাকার কারণে এটি হার্ডের বেশি ক্ষতি করতে সাহায্য করে। কারণ রক্তনালিতে তখন বেশি রক্তের চাপ সৃষ্টি হয় যার ফলে রক্তনালীগুলো শক্ত হয়ে যায়, ফলে রক্তনালী ভেতরের দেয়াল শক্ত করে ফেলে ।
উচ্চ রক্তচাপের মূল কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন, বাড়তি মানসিক চাপ, টেনশন, ঘুম কম হওয়ার কারণে, মদ পান করা, ধূমপান করা ইত্যাদি এসবের কারণে উচ্চরক্তচাপ দেখা দিতে পারে।
হাই প্রেসার এর লক্ষণঃ
হাই প্রেসার এর লক্ষণ বড় একটি ক্ষতিকর দিক এটি তেমন কোনো উপসর্গ দেখা যায় না তবে এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা থেকে ধারণা করা যায় আপনার হাই প্রেসারে আছে কিনা। এগুলো বুঝতে পারলে পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজের সঠিক যত্ন নিতে পারবেন।
মাথা ব্যাথাঃ
হাই প্রেসার এর সাধারন একটি লক্ষ্য হচ্ছে মাথা ব্যাথা করা। যদি অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা শুরু হয় সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার হাই প্রেসারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। হাই প্রেসারে কারণ উচ্চ রক্তচাপ যদি 120 থেকে 180 হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাই প্রেসার এর চিকিৎসা করানো খুবই দরকার। আপনার যদি হাই প্রেসারের কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে হাইপেশারের মাথা ব্যাথা কমানো খুবই কষ্টকর এবং কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চোখে ঝাপসা দেখাঃ
হাই প্রেসার এর লক্ষণ হচ্ছে চোখে ঝাপসা দেখা। যদি অতিরিক্ত চোখে ঝাপসা দেখেন তবে আপনাকে বুঝে নিতে হবে হাই প্রেসারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে সে ক্ষেত্রে আপনাকে নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। অতিরিক্ত মাথা ব্যাথা শুরু হলে আপনার চোখে ঝাপসা দেখা দিতে পারে যার ফলে আপনার হাই প্রেসারের সমস্যা দিন দিন বেড়ে যেতে পারে। এরকম সমস্যা যদি দেখা দেয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শে থেকে চিকিৎসা করানো দরকার।
বুকে ব্যথাঃ
হাই প্রেসার এর লক্ষণ বুকে ব্যথা আপনার যদি বুকে ব্যথা শুরু হয় সে ক্ষেত্রে বুঝে নিতে হবে হাই পেসার ব্লাড প্রেসার উচ্চরক্তচাপ এগুলো বুকে ব্যথার সমস্যা দিতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে বুকে ব্যথা হতে পারে। এটি সাধারণ বুকে ব্যথার মত হতে পারে না অতিরিক্ত বুকে ব্যথা হতে পারে তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অবসাদ ও ক্লান্তিঃ
আপনি যদি দীর্ঘদিন শুয়ে বসে থাকে সেক্ষেত্রে সেটা ভালো লক্ষণ না। এর কারণে আপনার হাইপেশারে উচ্চ রক্তচাপের ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই কখনো শুয়ে বসে দিন কাটাবেন না একটু হাঁটাচলা করার চেষ্টা করবেন। অবসাদ ও ক্লান্তি দেহের প্রতিটি অশোক এর সাথে জড়িত। তাই হাই প্রেসারের রোগীরা ক্লান্তিতে ভুগে থাকেন। কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা এগুলো কে অবহেলা করে থাকেন সেক্ষেত্রে তাদের সমস্যাগুলো দিন দিন বেড়ে যায়। তাই আমি বলবো আপনারা হাইপেশার রক্তচাপ ইত্যাদি এসব ফলে কখনো ঘরে বসে থাকবেন না। আপনি যদি এই সমস্যাগুলো নিয়ে বসে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে এনে বরঞ্চ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করুন।
নাক দিয়ে রক্ত পড়াঃ
দীর্ঘদিন ধরে হাইপেশার ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি যন্ত্রণা নিয়ে অনেকদিন রয়েছে সেক্ষেত্রে আপনার নাক দিয়ে রক্ত চলাচল করতে পারে তাই এসব কখনো অবহেলা না করে বরঞ্চ চিকিৎসক করে ফেলুন। হঠাৎ করে একটি মানুষের যদি নাক দিয়ে রক্ত পড়ে সেটা কিন্তু সত্যিকারে স্বাভাবিক সমস্যা নয়। তাই এসব সমস্যাকে কখনো অবহেলা করা ঠিক না।
ঘাড় ব্যথাঃ
হাই প্রেসার এর লক্ষণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ঘাড়ে ব্যাথা। যখন ঘাড়ে ব্যথা শুরু হবে আপনাকে বুঝে নিতে হবে হাই প্রেসারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে এসব নিয়ে কখনো অবহেলা করবেন না। ঘাড় ব্যথা যদি হাই প্রেসারের কারণে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এই বিষয় কিন্তু অবহেলা করার কোনো কারণ নেই।
বমি বমি ভাবঃ
হাই প্রেসার এর আরো কিছু লক্ষণ রয়েছে সেটা হচ্ছে বমি বমি ভাব হওয়া। আপনার শরীরে যদি হাইপেশার হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার বমি বমি ভাব হবে। হাই প্রেসারের সমস্যা হলে বমি বমি ভাব যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এটি একেবারেই স্বাভাবিক নয় আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যদি বেশি পরিমাণে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যেতে থাকে সে ক্ষেত্রে বমি হতে পারে এজন্য অবশ্যই কখনো অবহেলা করবেন না বরঞ্চ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করুন।
ঘুম না হওয়াঃ
হাইপেশার যদি হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার ঘুম একেবারেই হবে না বরঞ্চ ক্লান্তি লাগবে অস্থির লাগবে ঘুম ঘুম ভাব লাগবে ইত্যাদি এসব হলে আপনাকে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে হাই প্রেসারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
হাঁপিয়ে ওঠাঃ
যদি কোন মানুষ অল্পতেই হাঁপিয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝে নিতে হবে হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দিচ্ছে অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে মানুষ হাপিয়ে ওঠে বুক ধড়পড় করে ইত্যাদি এসব হলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে হাই ব্লাড প্রেসার হচ্ছে। হাই ব্লাড প্রেসার হলে কখনো অবহেলা করবেন না। বরঞ্চ আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসা পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে।
হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা হাঁপিয়ে ওঠা বুক ধরফর ধরফর করা এসব উচ্চ রক্তচাপের কারণে হতে পারে তাই এটাকে কখনো অবহেলা করবেন না।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়াঃ
আপনার শরীরের যদি হাই ব্লাড প্রেসারের অতিরিক্ত সমস্যা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনি সাথে সাথে অজ্ঞান হতে পারেন। হাই ব্লাড প্রেসার রোগীর এত পরিমাণে দুর্বল হয়ে যায় যারা নিজেকে কখনো সামলিয়ে রাখতে পারে না বরঞ্চ তারা হেলেদুলে পড়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এসব সমস্যা কখনো অবহেলা করা উচিত না। হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীরা কখনো উত্তেজনা হতে যাবেন না।
যার ফলে আপনার বড় ধরনের একটি ক্ষতি হতে পারে।
হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ঃ
হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখার জরুরী কিছু কারণসমূহ উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তে জানানো হয়েছে। হাই ব্লাড প্রেসার যদি আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারেন তাহলে মৃত্যুর আশঙ্কা বেশি রয়েছে তাই আপনাকে অবশ্যই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হবে। নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ব্লাড প্রেসার ঠিক রাখার জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবেঃ
আমাদেরকে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে সেটা হচ্ছে আমাদের শরীরের ওজন যদি বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই ওজন কমাতে চেষ্টা করুন।শরীরের বাড়তি ওজন ও শরীরে অতিরিক্ত চর্বি থাকার কারণে হাইপেশার ব্লাড প্রেসার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই শরীরকে নিয়ন্ত্রণ রাখার চেষ্টা করুন।
তাই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে স্বাভাবিক থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার ব্লাড প্রেসার হাই পেশার রক্তচাপ এগুলো দেখা দিতে পারবে না। তাই সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন সঠিক নিয়মে কিছুক্ষণ হাঁটার চেষ্টা করুন তাহলে আপনার শরীরের বাড়তি ওজন এবং চর্বি জাতীয় সমস্যার রয়েছে সেই সমস্যার দূর হতে সাহায্য করবে। এর মধ্যে আরেকটি কারণ হচ্ছে সেটি হচ্ছে বাড়তি ওজন কমানোর জন্য এবং চর্বি কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে পারবেন।
জ্যাক ফুড ও বাহিরের খাবার পরিহার করতে হবেঃ ডেজার আইটেমের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট তাই ডেজার্ট খাবারগুলোকে এড়িয়ে চলুন। ড্রেজার খাবারে রয়েছে চিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার তাই ড্রেজার আইটেম যে খাবারগুলো রয়েছে সে খাবারগুলোকে পরিহার করার চেষ্টা করুন। যার ফলে নিয়ন্ত্রণ থাকবে।কখনো বাহিরের খাবার খেতে যাবেন না বাহিরের খাবার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যে কোন খাবার খেতে হলে অবশ্যই আপনাকে ঘরে তৈরি করে খেতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করাঃ
আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের বাড়তি ওজন ও অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করবে। আপনার শরীরের ওজন যদি ঠিক থাকে এবং শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে রাখতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার হাইপেশার ব্লাডপ্রেসার রক্তচাপ এসবের সমস্যা হবে না
এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা হবে না তাই এসব রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। হাঁটাচলা ব্যায়াম করার মাধ্যমে যদি কোনো ভাবে কাজ না হয় সে ক্ষেত্রে ডায়েট সার্চ করতে পারেন যার ফলে আপনার অতিরিক্ত চর্বি এবং অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়া যাবে নাঃ
হাই প্রেসার এর মূলত কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত মানসিক চাপ নেওয়ার ফলে হাই প্রেসার এর নিয়ম মাত্রা দিন দিন বেড়ে যায় তাই আপনাকে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্যই মানসিক চাপ থেকে নিরাপদ থাকতে হবে। তাই যতটা সম্ভব হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য অবশ্য আপনাকে মানসিক চাপ মুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে। এর হার্ট ব্যায়াম ইত্যাদি এসব আপনার হাই হাইপেশার নিয়ম।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন ঃ
পটাশিয়াম আপনার শরীরের লবণ এর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে। শরীরের অতিরিক্ত লবণ দেহের ক্ষতি করতে পারবেনাভ।
পটাশিয়াম রক্তনালী প্রাচীনতম শহর থেকে মুক্ত করতে সহায়তা করে হাই ব্লাড প্রেসার কমাতে সহায়তা করে তাই যারা হাই ব্লাড প্রেসারে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে বেশি বেশি পটাশিয়াম সমুদ্র খাবার গ্রহণ করা খুবই জরুরী।
একটানা শুয়ে বসে না থাকাঃ
হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে আপনি যদি রেগুলার একটানা শুয়ে বসে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা অবশ্যই দেখা দিতে পারে এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে ।তাই কখনো এক্কেবারে শুয়ে বসে থাকবেন না। বসে থেকে কিছু করার চেষ্টা করুন অথচ হাঁটাচলার মধ্যে কিছু করার চেষ্টা করুন ইত্যাদি।
মেইন কথা হলো আপনারা শরীরকে একটুও নাড়া চাড়া দিয়ে চলার চেষ্টা করুন যার ফলে আপনার শরীরের হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দেখা দিবে না এবং উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেবে না। ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন হাঁটাচলা করার চেষ্টা করুন ইত্যাদি এসব করলে কখনো প্রেসার এর ঝুঁকি রয়েছে সে ঝুঁকি থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
মদ পান ও ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবেঃ
হাই প্রেসার হাই ব্লাড প্রেসার উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি এসবের সবথেকে বড় ক্ষতি করার কারন হচ্ছে ধূমপান ও মদ্যপান করা। কিছু কিছু লোক রয়েছেন যারা মদ পান ও ধূমপান করে থাকে তাদের মধ্যে অনেকেই হাইপেশার ব্লাড প্রেসার রক্তচাপে ভুগে থাকেন। তাই আজকে তাদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা হাইপেশার রক্ত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য আপনাকে অবশ্যই মদপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।ভ
মদপান ও ধূমপান করার ক্ষেত্রে আপনার শরীরের অতিরিক্ত চর্বি এবং শরীরের ওজন বৃদ্ধি হয় এজন্য আপনাকে এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।
হঠাৎ করে যদি প্রেসার বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে করণীয় কি জেনে নিনঃ
কিছু কিছু লোক রয়েছেন যাদের হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা তারা অবশ্যই সবসময়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর যে কোন ঔষধ সেবন করবেন। ঔষধ খাওয়ার পরেও যদি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ না আসে অতিরিক্ত মাত্রা বেড়ে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বেড রেস্টে থাকতে হবে।
হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের কে অবশ্যই বেড রেস্টে থাকার প্রয়োজন। হাই ব্লাড প্রেসারে যদি সমস্যা দেখা দেয় জরুরি যে কাজটি করবেন সেটা হচ্ছে তেতুল বা লেবুর শরবত খেতে হবে। এবং মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো হচ্ছে লেবুর ও তেঁতুলের শরবত এবং মাথায় ঠান্ডা পানি যার ফলে আপনার হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
শেষ কথাঃ
ইতিমধ্যে আমরা আলোচনা করেছি যে হাই ব্লাড প্রেসার এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত উপরে উল্লেখ করা হয়েছে আপনারা আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন।
মনোযোগ দিয়ে পড়ার পর বুঝতে পারবেন যে আয় হাই ব্লাড প্রেসার হাইপেশার রক্তচাপ ইত্যাদি কোন কোন কারনে হচ্ছে এবং এর লক্ষণগুলো জেনে নিতে পারবেন এবং এর সমাধানও জেনে নিতে পারবেন তাই আমাদের এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।