কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ । কোরবানির ওয়াজিব নাকি সুন্নত

কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ । কোরবানির ওয়াজিব নাকি সুন্নত

কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ  / কোরবানির ওয়াজিব নাকি সুন্নত

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ, কুরবানী ওয়াজিব না সুন্নত ।সমাজে অনেকেই আছেন যারা আদৌ জানেন না কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত আজকের তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা আপনারা জেনে নিন কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ ওয়াজিব নাকি সুন্নত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব মনোযোগ দিয়ে সঙ্গে থাকুন।

অনেক মুসলিম কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ ও কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত এসব বিষয় জানেন না আজকে তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা জেনেনিন কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত ও কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ।

চলুন তাহলে দেখে নেই কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ ও কুরবানি ওয়াজিব না সুন্নত।

সূচিপত্রঃ

  • কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ/ কুরবানী ওয়াজিব না সুন্নত
  • কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত
  • কোরবানি অর্থ কি
  • কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ /কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার দলিল
  • কুরবানী দেওয়া যাবে  ওয়াজিব
  • শেষ কথাঃ কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ- কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত

 কোরবানি অর্থ কিঃ

কুরবানী হলো আরবি শব্দ কুরবানির অর্থ হচ্ছে  নৈকট্য অর্জন করা।  ইসলাম শরীয়তের পরিভাষায় এর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহতালার নৈকট্যঅর্জন করতে পারে তাকেই কোরবানি  বলে।  জিলহজ্ব মাসের 10 তারিখ কোরবানি ঈদ পালন করা হয়। কোরবানির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্ট হন।

 

অনেক মুসলিমরা রয়েছেন যারা এখনো জানেন না কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত। আপনাদের জানানোর জন্য আজকের এই আলোচনায় জেনে নিন কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত।

কোরবানি ওয়াজিব না সুন্নতঃ

সমাজে অনেক লোক রয়েছেন যারা কুরবানী ওয়াজিব না সুন্নত কোরবানি অজিত নাকি ফরজ কিছুই জানেন না তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা। জেনে করবা সুন্নত ।কুরবানী ওয়াজিব না সুন্নত এ নিয়ে ওলামা একরাম এর মাঝে মতভেদ রয়েছে একদল ওলামা একরামের বলেন কুরবানী করা সুন্নত সুন্নতে মুয়াক্কাদা আরেকদল ওলামা একরাম বলেন কোরবানি ওয়াজিব।  বেশিরভাগ লোকেরই বলে থাকেন কুরবানী করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার কিছু সতর্কতাঃ জেনে নিনঃ

  • কোরবানি দিতে হলে আপনাকে মুসলমান হতে হবে অমুসলিমরা কোরবানি দিতে পারবে না।
  • কেউ যদি মানসিকভাবে অসুস্থ থাকেন তাহলে কুরবানী ওয়াজিব হবে না, বিবেক সম্পদ থাকতে হবে।
  •  কোরবানি দেওয়ার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে, কোরবানি দেওয়ার জন্য অপ্রাপ্তবয়স্ক লোকদের কোরবানি অজিত হবে না।
  • কোরবানি দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই স্বাধীন ব্যক্তি হতে হয়, কোন দাসের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না।
  • যাকাত ফরয এরকম সম্পদের মালিক হতে হবে কোরবানি দেওয়ার জন্য।
  • উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো তে যদি কোন ব্যক্তির কোন কিছুর সাথে মিলে যায় তবে তিনি এ কোরবানি করতে পারবেন এবং কোরবানি জায়েজ হবে।

কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ- কোরবানি হওয়ার দলিলঃ

কোরবানি দেওয়ার ব্যাপারে অনেক আলেমদের মধ্যে দুই প্রকার মত বিরোধ রয়েছে। একজন আলেম বলে কোরবানি সুন্নতে মুয়াক্কাদা স্যার সংখ্যা বেশি। আবার অন্য জন আলেম বলেন কুরবানী করা ওয়াজিব। এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য আপনাদের সঙ্গে আজকে আলোচনা করেছি কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ ও কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেবো সকলেই আমাদের এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়েন নীল।

 

কিছু কিছু আলেম বলে কুরবানী করা ওয়াজিব আবার কিছু কিছু আলেম বলেন কুরবানী করা সুন্নত এই দুটি শর্ত দিয়ে থাকেন। প্রথমটি হচ্ছে যে ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদ রয়েছে সেই ব্যক্তি । অন্যদিকে তাকেই মুসাফির হয়ে যাবে না এই দুটির মধ্যে একটি যদি পূরণ করতে না পারেন তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না।

 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম   বলেছেন , তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তির সামর্থ্য রাখে সে যেন কোরবানি করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আরও বলেন সামর্থ্য থাকার পরেও যদি সে কুরবানীর না করে তাহলে সে যেন আমাদের ঈদগাহের না আসেন। এই হাদিসের আলোকে আলেমগণ কোরবানি করা ওয়াজিব বলেছেন।

 কুরবানী দেওয়া  যাদের উপর ওয়াজিবঃ

প্রত্যেকটি ইবাদতের মধ্যে আরো একটি ইবাদত রয়েছে সেটি হচ্ছে কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রতি বছর কোরবানি দিতেন। নবীজি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন কোরবানির দিন কোরবানির উত্তম আমল নেই।

কোরবানির দিন সব থেকে বড় উত্তম একটি কাজ হচ্ছে কুরবানী দেওয়া। কেয়ামতের দিন কোরবানির পশু কে শোষণ ও সূরা সহবাস করা হবে এবং কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহতালার কাছে তা কবুল হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেছেন তাই তোমরা আনন্দ সাথে কুরবানী করে। যাদের উপর যাকাত ওয়াজিব তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব।

কোরবানি যাদের উপর ওয়াজিব জেনে নিনঃ

সকল মুসলিমদেরকে এ কথা বলা হয় যে প্রাপ্ত বয়স্ক লোক এবং সুস্থ-সবল রোগ কোরবানির দিনগুলোতে সাড়ে সাত ভরি সোনা সাড়ে 52 ভরি রুপা ও পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব করা হয়েছে।

  •  টাকা পয়সা সোনা রুপা এগুলো কোন একটি যদি পৃথকভাবে নিসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু সব মিলিয়ে সাড়ে 52  ভরি রুপার সমপরিমাণ সম্পদ রয়েছে তাহলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে।
  •   51  ভুক্ত পরিবারের মধ্যে একাধিক ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তাদের ওপর আলাদা আলাদা করে কোরবানি ওয়াজিব করা হয়েছে।
  •  কুরবানী দেওয়ার জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করা ওয়াজিব। পরিবারের অন্য সদস্য এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা ওয়াজিব না।
  • যদি কোন ব্যক্তির কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না।
  • যে ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব  নয় সে কোরবানির নিয়তে পশু বিক্রি করলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যায়।

 শেষ কথাঃ কোরবানি ওয়াজিব নাকি সুন্নত/ কোরবানি ওয়াজিব না ফরজ

উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোতে ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত ও কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের  এই পোস্টের মাধ্যমে কুরবানী নিয়ে আপনি বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুঁজে পাবেন তাই আমি বলব আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থাকুন। কুরবানী ওয়াজিব নাকি সুন্নত কুরবানী ওয়াজিব না ফরজ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের এই পোস্টে মনোযোগ সহকারে বিস্তারিত জেনে নিন।

এতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে সময় দেওয়ার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। আজকের এই আলোচনায় খুব অল্প সময়ে ঈদুল আযহার কোরবানি সম্পর্কে সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে আপনারা সকলে আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থাকুন এবং মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ে নিন। এর ফলে আপনার যে সমস্যা গুলো রয়েছে সেগুলো দূর হতে সাহায্য করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *