আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে বেকারত্বের সমস্যা টা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে কিন্তু এই বেকারত্বের মাঝেও অনেকেই সোনার হরিণ চাকরিটি খুঁজে পেয়েছেন। হয়তোবা চাকরিতে পেয়েছেন কিন্তু সে চাকরি তো আপনার মনের মত হচ্ছে না যতটুকু পরিশ্রম করছেন তার তুলনায় বেতন অনেক কম পাচ্ছেন। বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির সাথে আপনি জান বেতন পাচ্ছেন তা সমান হারে সামঞ্জস্য হচ্ছে না ফলে দেখা যায় যা ইনকাম করি মাস শেষ হওয়ার আগেই বাজেট ঠিক হয়ে যায় কোন খাতে কত টাকা খরচ হবে। এমতাবস্থায় কিভাবে বাড়তি খরচ মেটানো সেই চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
অনেক সময় আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় কিভাবে এই সংসারে ঘানি টানবো। যদি এই চাকরির পাশাপাশি আরও কিছু করা যেত তাহলে হয়তো আরেকটু বেশি ইনকাম করা যেত এবং সংসারের খরচ টা আরো ভালোভাবে করা যেত। পাশাপাশি ভবিষ্যতে জন্য কিছু সঞ্চয় করা যেত এবং মনে যে সফল হওয়ার বাসনা সেটাও পূরণ হতো। কিন্তু কি করব কি করলে সেই স্বপ্নটা পূরণ হবে বা আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসবে।
যদি আপনার মনে এমন হাজারো প্রশ্ন খেলা করে তবে আপনাকে আমাদের সরল মানুষ ডটকম ওয়েবসাইটে স্বাগতম। এখানে আজকে আমরা কিছু ব্যবসা আইডিয়া খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো যেটার মাধ্যমে আমরা চাইলে চাকরির পাশাপাশি এক্সট্রা ইনকাম জেনারেট করতে পারব।
১. একটি ব্লগ সাইট চালু করুন
যদি আপনি একটি চাকরি করেন এবং আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে চাকরির পর তাহলে একটি ব্লগ সাইট চালু করতে পারেন। যেখানে আপনি মানুষ দের কে সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করবেন। অথবা আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে মানুষদের কে শেখাবেন। ব্লগ সাইট চালু করে সেটাকে যখন আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করবেন তখন সেখান থেকে আপনি একটু ভালো ইনকাম করতে পারবেন। আর এই ব্লগ সাইট একটা সময় আপনাকে ভালো সাপোর্ট দেবে কারণ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করা এমন একটা পদ্ধতি যে যখন আপনি ঘুমিয়ে থাকবেন তখন ও সেখান থেকে ইনকাম হবে। দেখুন আপনি আপনি একটি বিষয়ে দক্ষ এবং সে বিষয়ে একটি আর্টিকেল লিখে আপনার ওয়েবসাইটে রেখে দিলেন কিন্তু যে সে বিষয়ে দক্ষ নয় সে যে কোন সময় আপনার আর্টিকেলটি পড়তে পারে হোক তখন আপনি ঘুমিয়ে থাকুন অথবা ভ্রমণে থাকুন। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আরও অনেক প্রক্রিয়ার হয়েছে যেভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় যেমন এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পনসর্শিপ, স্পেস ভাড়া দেওয়া ইত্যাদি।
২. একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করুন
অবশ্য সময়টাকে কাজে লাগানোর জন্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ইউটিউব এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা টা দিন কে দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আপনি হয়তো খেয়াল করবেন ইউটিউব থেকে অনেকেই অলরেডি সফলতা পেয়েছেন এবং তাদের সফলতার মাত্রা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কখনো কি ভেবেছেন যে তারা যেভাবে ইউটিউবিং করছে আমিও তো ইচ্ছা করলে সেই রকম করতে পারি। যদি এমনটাই ভাবেন তাহলে ঠিক ভেবেছেন। ইউটিউবিং এমন একটি পেশা যেটাকে ফুলটাইম পেশা হিসেবে না নিয়ে পার্টটাইম পেশা হিসেবে নিয়ে ভালো মানের অর্থ উপার্জন করা যায়। ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন আরো কয়েকটা পদ্ধতি রয়েছে তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম পদ্ধতি হলো গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে মনিটাইজ করা এবং অন্যান্য পদ্ধতি গুলো হচ্ছে যেমন স্পনসর্শিপ ।
শুধুমাত্র অর্থ উপার্জন নয় বরং একটা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিচিতি ও বাড়াতে পারবেন। আপনার ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি পাবে আপনি যে ক্যারিয়ারের সাথে যুক্ত থাকুন না কেন সেখানেও আপনার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এছাড়া যদি আপনি কোন ব্যবসার সাথে যুক্ত থাকেন তাহলে আপনার ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করার জন্য ইউটিউব চ্যানেল বেশ জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে। একটা উদাহরণের মাধ্যমে বলা যাক ধরুন আপনার একটি ইলেকট্রনিক্স এর শপ রয়েছে যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স এর প্রোডাক্ট বিক্রি করেন। এখন যদি আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করে সেখানে আপনার দোকানে কি কি প্রোডাক্ট রয়েছে তা প্রমোশন করেন বা প্রকাশ করেন অথবা ইউটিউবে আপলোড দেন তাহলে এক্ষেত্রে আপনার কাস্টমার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আর এই পদ্ধতিটা বর্তমানে অনেক ব্যবসায়ী অনুসরণ করছে।
আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল খুলে অর্থ উপার্জন করতে চান এবং এ সম্পর্কে জানতে চান তবে ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে সেখান থেকে আপনি শিখে নিতে পারেন অথবা নিচের বাটনে ক্লিক করে প্রিমিয়াম টিউটোরিয়াল কিনে দেখতে পারেন কারন প্রিমিয়াম টিউটোরিয়াল গুলোতে অনেক হিডেন টিপস এন্ড ট্রিকস দেয়া থাকে যা সাধারনত ফ্রি টিউট্রিয়াল গুলোতে থাকে না।
৩. ওয়েবসাইট তৈরি করার ব্যবসা
একটা সময় আমরা মোবাইলে কথা বললেই অবাক হতাম যে কিভাবে এত দূর থেকে কোনো তার অথবা এ ধরনের কোন কিছু ছাড়াই কথা বলে! কিন্তু এখন আমরা মোবাইলে একজন আরেকজনের ফেস দেখে দেখে কথা বলি তার পরেও আমরা অবাক হই না বরং এগুলো এখন আমাদের কাছে সহজ হয়ে গিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির প্রসারের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশেষ করে ব্যবসায় পরিচিতি বৃদ্ধি করার জন্য বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মাধ্যম গুলোর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা সময় ডিজিটাল মাধ্যম বলতে আমরা শুধুমাত্র রেডিও এবং টেলিভিশন কে বসতাম কিন্তু এখন এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওয়েবসাইটের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুধুমাত্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নয় অনেক সময় বিভিন্ন পরিচিত তারকাগণ এবং ফ্রিল্যান্সারদের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হয়। আপনি যদি একটু ভাল চাকরি পেতে চান অনেক সময় একটি পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট আপনাকে একটা ভাল চাকরি পেতে সহায়তা করতে পারে। আর আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন আপনার ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য একটা ওয়েবসাইট অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
একটা প্রতিষ্ঠান জন্য ওয়েবসাইট এর প্রয়োজনীয়তা বর্তমানে অনেকেই অনুধাবন করছেন আর এটা কিভাবে কোথায় কত টাকা খরচ করে করতে হয় এটা খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আপনি যদি কিভাবে ওয়েবসাইট চালু করতে হয় এটা শিখে তারপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ধারে দাঁড়িয়ে যে বলেন তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে ওয়েবসাইট চালুর কথা তাহলে তারা এক কথায় রাজি হয়ে যাবে। প্রথম অবস্থায় হয়তো আপনি তো আমার একটা কাজ পাবেন না তবে দুই একজনের কাছ থেকে কাজ পেলে পরে আপনার পরিচিতি দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং এখান থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় এটা শেখার জন্য ইউটিউব মামুর কাছে যেতে পারেন কারণ তার কাছে হাজার হাজার ভিডিও রয়েছে যেখান থেকে আপনি অনায়াসেই কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় শিখতে পারবেন। এছাড়াও যদি আপনি মনে করেন একটি টিউটোরিয়াল সিরিজ্ কিনে শিখবেন সেটাও করতে পারেন। সাধারণত ফ্রী টিউটোরিয়াল এর তুলনায় পেইড টিউটোরিয়াল গুলো মানসম্মত হয়। এবং এখানে অনেক গুপ্ত পরশি পরামর্শ প্রদান করা হয় যা সাধারণত ফ্রি টিউট্রিয়াল গুলোতে থাকে না। তাই আপনি একটি প্রিমিয়াম কৌর স্কিনে সেখান থেকে কিভাবে ওয়েবসাইট বানাতে হয় সেটা শিখে তারপরে আপনি এই নতুন ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
৪. অনলাইনে শিক্ষকতা শুরু করুন
আপনি যদি একজন ভাল স্টুডেন্ট হন এবং পড়াতে ভালোবাসেন তবে আপনি একটি অনলাইন লার্নিং অ্যান্ড টিচিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন। যেখানে আপনি যে সকল বিষয়ে দক্ষ সেই সকল বিষয়ে শিক্ষা দিবেন। এছাড়া যারা শেখাতে ভালবাসে তাদের কেউ আপনি হায়ার করে নিতে পারেন অথবা তাদের সহায়তা নিতে পারেন। আমাদের দেশের টেন মিনিট স্কুল একটি জ্বলন্ত উদাহরণ অনলাইন টিচিং দেওয়ার ক্ষেত্রে। এ ধরনের একটি প্লাটফ্রম তৈরি করে আপনি আপনার চাকরির পাশাপাশি একটা ভালো অঙ্কের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন বলে আশা রাখছি। কিভাবে অনলাইন স্কুল চালু করবেন এ সম্পর্কে আপনি ইউটিউবে সার্চ করে ধারণা নিতে পারেন। একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবার প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারেন।
৫. শুরু করুন এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি অন্য কারো প্রোডাক্ট সম্পর্কে গুনো গান করবেন অর্থাৎ এটার ভালো-মন্দ দিক তুলে ধরবেন। আর সেটি করতে পারেনএকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে। ধরুন একজন ব্যক্তি একটি ল্যাপটপ কিনতে চাচ্ছে এখন তার বাজেটের মধ্যে কোন ল্যাপটপটি ভালো হবে বুঝতে পারছি না এর জন্য সে গুগোল এ সার্চ করলে। একটা পর্যায়ে এসে আপনার ওয়েবসাইটে এসে পৌঁছালো আপনার আর্টিকেল পড়ে সে সন্তুষ্ট হল এরপর সে প্রোডাক্ট কেনার সিদ্ধান্ত নিলেন। যদি আপনি আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে সেই প্রোডাক্ট বা ল্যাপটপ থেকে নাম ঠিকানা দিয়ে দেন তাহলে সে সেখান থেকে সে পণ্যটি কিনে নেবে। এক্ষেত্রে আপনি এমন একটি লিংক শেয়ার করবেন যেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। এ সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে আপনি নিচের লিঙ্ক থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
৬. শুরু করুন গ্রাফিক ডিজাইন ক্যারিয়ার
আমরা ডানে বামে যেদিকে তাকাই বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ফেস্টুন সাইনবোর্ড দেখতে পাই। আর এর প্রত্যেকটাই গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ। আপনি চাইলে আপনার চাকরির পাশাপাশি গ্রাফিক ডিজাইন করে ও ভালো মানের অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও যারা ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবছেন ভবিষ্যতে কি করা যায় তারাও চাইলে গ্রাফিক ডিজাইন শিখে ফুল টাইম ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
গ্রাফিক ডিজাইন শিখে অনেক ধরনের ক্লিয়ার করা যেতে পারে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বব্যাপী গ্রাফিক ডিজাইন এর কদর বেড়েই চলেছে। আপনি একটা ছোট্ট টং দোকান খুলে সেখানে কম্পিউটার নিয়ে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার ফেস্টুনে অর্ডার নিয়ে কাজ গুলো পার্ট টাইম হিসেবে করে দিতে পারেন। আর এটা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ শিখে নিতে হবে। চাকরির পাশাপাশি কিভাবে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন এ ক্যারিয়ার গড়বেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচের লিংকে ক্লিক করে ঘুরে আসতে পারেন।
আমাদের বাংলাদেশ ওয়েব ডিজাইন গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট এমাউন্টের অর্থের বিনিময়ে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন। কিন্তু যদি আপনি চাকরিজীবী হন তাহলে আপনার পক্ষে আলাদা সময় বের করা সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ট্রেনিং এ অংশ নিয়ে আপনার দক্ষতা টা বাড়িয়ে নিতে পারেন। ভালো মানের মেন্টর এর কাছ থেকে গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে চাইলে নিচের লিংকটিতে ঘুরে আসতে পারেন।
৭. শুরু করুন একটি অনলাইন স্টোর
আমরা অনেকেই amazon.com এর নাম শুনে থাকবো। amazon.com এর সিইও বর্তমানে সারা বিশ্বের এক নম্বর ধনী ব্যক্তি। তিনি এক সময় অনলাইন স্টোর চালু করেছিলেন এবং বর্তমানে তিনি জ্বলন্ত সফল ব্যক্তি। আর তিনি তার amazon.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শুধুমাত্র বই বিক্রি করতেন প্রাথমিক অবস্থায়। বই বিক্রি করে সেই amazon.com প্রতিষ্ঠানটি এখন সারা বিশ্বের এক নম্বর ধনী প্রতিষ্ঠান।
আমরাও চাইলে ছোট্ট পরিসরে একটি অনলাইন স্টোর চালু করতে পারি যেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করব। আর এই কাজটি ইচ্ছা করলে আমরা চাকরির পাশাপাশি করতে পারব। আপনি যে কোন পণ্য নিয়েই এই ব্যবসাটি চালু করতে পারেন হতে পারে সেটা দই, মিষ্টি, বই, আচার ,কাপড় চোপড় ইত্যাদি