গর্ভাবস্থায় প্রথম ৪ মাসের সতর্কতা

গর্ভকালীন অবস্থায় ৪ মাসে সর্তকতা

গর্ভকালীন অবস্থায় ৪ মাসে সর্তকতা

 মা ডাকটি অতি মধুর।  আপনি যখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন আপনার বাচ্চা আপনার হাতের  মত পড়ে। চার মাসের বাচ্চা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে ও তার অনুভূতিগুলো তৈরি  হচ্ছে।  আপনি জন্মের পর দেখতে পারবেন,  বাচ্ছার মা হওয়ার স্বাদ বুঝতে পারবেন, তার   শক্তি  পাবেন    এবং তার শব্দ শুনতে পারবেন। 
আপনি যখন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন আপনার দুধ বড় হওয়ার সাথে সাথেই বুকের বোঁটা চারিদিকে কালো রংয়ের চামড়াও বাড়তে শুরু করে।
এই কাল সে জায়গাটা আপনার বাচ্চার জন্মের পর তাকে  বুক খুঁজে দিতে সাহায্য করবে। বাচ্চার সুবিধা হবে  বোটা মুখে পড়তেও দুধ পেতে। সময় আপনি খেয়াল করতে পারবেন আপনার খুব খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে যাচ্ছে এবং বুক ভারী হয়ে যাচ্ছে।
এসময় আপনার শরীরের চামড়া হয়তো পাল্টাতে পারি।  গর্ভকালীন অবস্থায় অনেক কালো হয়ে যায় আবার অনেকে অনেক সমস্যা হয়ে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন ধরনের কালচে দাগ পড়েছে ডেলিভারি হওয়ার পর সেগুলো আবার ঠিক হয়ে যায়।
এছাড়াও আপনার তলপেটে বিভিন্ন ধরনের লম্বা দাগ পড়ে থাকে।  তবে আপনার শরীরের যত্ন বাহিরের   রোদ বেশি লাগে  তাহলে আরো বেশি পরিমাণে  শরীরের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ ও পেটে দাগ পড়ে যায়। এজন্য আপনাকে সর্ব শরীর ঢেকে চলতে হবে।  বরংচ আপনি সবসময় সব সময় ছায়া।    গর্ভকালীন অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে তবে ডেলিভারি হওয়ার পর এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না ।
গর্ভকালীন অবস্থায় এছাড়াও আপনার শরীরের চামড়ার রোগ হয়ে যায় ।  এজন্য আপনি কখনো ভারী  করতে যাবেন না।  ভারি কাজ করার জন্য আপনার পেটে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হতে পারে।  আপনাকেও খেয়াল রাখতে হবে যেন বসে পড়া ও উঠে দাঁড়াল খুব সাবধানে করতে হবে।  বসে বসে কাজ করা ও দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করা বুঝে-শুনে করতে হবে এবং সঠিক সময়ে বিশ্রাম নিতে হবে। গর্ভকালীন অবস্থা সঠিক সময়ে  বিশ্রাম নেওয়ার খুবই জরুরী।
প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পর এক ঘন্টা বিশ্রাম নিয়ে নিন প্রয়োজন হলে বলবে আরো এক ঘন্টা বিশ্রাম করতে পারে।  এবং শরীর  যদি বেশি ক্লান বা  অসুস্থ নাগিন তাহলে সাথে সাথে শুয়ে পড়ো। একজন মায়ের পেটে বাচ্চা জন্ম দেওয়া যেমন তেমনই একজন মায়ের একটি বাচ্চা লালন পালন করা তেমন কঠিন এরই নাম হচ্ছে মা।

গর্ভকালীন অবস্থায় সর্তকতা  মেনে চলার লক্ষণগুলো জেনে নিনঃ

 গর্ভকালে  আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। এর জন্য ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই এবং  দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।
এই সময় আপনার শরীর খুবই ক্লান্ত এবং দুশ্চিন্তা অনেক খারাপ লাগতেই পারে এটা আপনাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে। যেমনঃ বমি বমি ভাব, বদহজম, ঘন ঘন প্রস্রাব, শ্বাসকষ্ট, ইত্যাদি।

গর্ভকালীন অবস্থায়  যে বিপদগুলো হলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তা জেনে নিনঃ

  • জ্বর হওয়া
  •  মাথা   ব্যাথা   হওয়া
  •  পেট ব্যথা  হওয়া
  • চোখে ঝাপসা দেখা ও চোখের নিচে কালো দাগ পড়া
  •  আপনার যোনী থেকে তরল  চুঁইয়ে পড়া
  • প্রসব করার সময় জ্বালাপোড়া করা
  •  আপনি যখন 5 মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন  যদি   বাচ্চা  নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়
  • আপনার যদি প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হয় বা রক্তপাতের সঙ্গে যন্ত্রণা হয়

 দুর্বল  ও ক্লান্ত লাগা

আপনার শরীরে রক্তের প্রচুর পরিমাণে অতিরিক্তআয়রন এর প্রয়োজন হয় ।  যখন আপনি  গর্ভকালীন অবস্থায় থাকেন। আয়রন আপনার গর্ভে শিশুর বিকাশে সাহায্য   করে যাতে  অকাল  প্রসব  না হয় ।  বাচ্চা  সুস্থ হয়ে জন্মাতে পারে। আপনার রক্তপাতের পরিমাণ কম করতে ও কি আয়রন সাহায্য করে প্রসবকালে। তবে আপনি যদি বেশি পরিমাণে আয়রন যুক্ত খাবার খেতে পারেন তাহলে আয়রন পেতে পারে আপনার শরীরে।
পর্যাপ্ত আয়রনের অভাব হলে আপনার শরীরে যথেষ্ট অক্সিজেন পাবে না মনে রাখতে হবে।  একে আয়রনের অভাব জনিত রোগ সত্তা বলা হয়।  এর জন্য আপনি  দুর্বল  ও ক্লান্ত অনুভব করবেন।

তাই আপনাকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে আয়রন যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।  আয়রন যুক্ত খাবার এর তালিকা জেনে নিনঃ

ছোলা , ডিম, ডাল, বিন,
মাছ, মাংস, মুরগি,
সবজি  লাল শাক, সবুজ শাক, পুঁইশাক,  গুর
কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম,
ছানা
গর্ভকালীন অবস্থায় পরিমাণমতো আয়রন পাওয়ার জন্য এই খাবারগুলো আপনাকে খেতে হবে।
কমলা লেবু, পাতিলেবু, আমলকির, ইত্যাদি,  লেবুজাতীয়  যে  কোন ফলের মধ্যে আয়রন পেতে পারেন। আপনার শরীরকে সাহায্য  করবে।
গর্ভকালীন অবস্থায় সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে আপনি আয়রন ট্যাবলেট নিয়ে খেতে পারেন। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ট্যাবলেটগুলো আপনি খাওয়ার জন্য নিবেন ট্যাবলেট এর সঙ্গে আপনি যে কোনো ফলের রস খাবেন।  সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গর্ভকালীন মহিলাদের দেওয়া হয় সেগুলো অনেক ভালো কাজ করে । এই আইন যুক্ত ট্যাবলেট গুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তাই আপনি সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র যে ট্যাবলেটগুলো দিয়ে থাকি সেটা  ট্যাবলেট গুলো  আপনি অবশ্যই খাবেন।।
আপনি চেষ্টা করবেন খাবারের সঙ্গে ট্যাবলেট খাওয়ার সময় দুধ ছাড়া চা বা কফি খেতে হয় কারণ ঈশ্বর পানীয় জলের আয়রন শুকিয়ে নিতে সাহায্য করো। আহরণের সময় আপনার ক্যালসিয়ামের ওষুধ দেয় তার থেকে অন্য সময়ে আপনার আয়রনের ট্যাবলেট খানাভ

গর্ভকালীন অবস্থায় এই সময় যৌন সক্ষম কি নিরাপদ তা জেনে নিনঃ

গর্ভকালীন অবস্থায় আপনি কি যৌন সক্ষম এর ব্যাপারে নিশ্চিত।  এই সময় আপনি ভুলেও কখনো আগের মতোই যৌন সক্ষম বজায় রাখতে পারবেন না।  যৌন সক্ষম এর ফলে গর্ভপাত হয় না।
তবে আপনার যদি পেটে জ্বালা যন্ত্রণা হয় বা রক্তপাত হয় আপনার এর আগের গর্ভ অবস্থায় সমস্যা হয়ে থাকে। তাহলে আপনি আগে ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী সঙ্গে যোগাযোগ করে নিন। সে ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের আগে পর্যন্ত যৌন সক্ষম না করা বেশি নিরাপদ হবে।
আপনার যদি শরীর অসুস্থ হয়ে থাকে বা অস্বস্তি লাগে তাহলে যৌন সক্ষম এর ব্যাপারে একটু নিশ্চিত থাকুন। আপনি  চাইলে  অন্য ভাবে  যৌন সক্ষম ভালোবাসার প্রকাশ মিটিয়ে নিতে পারেন না।  এর পরিবর্তে আপনি অন্য ভাবে আদর সোহাগ করতে পারেন।  আপনার কেমন বোধ করছে তা আপনার স্বামীকে অবশ্যই জানান।
যদি আঠালো তরল নিঃসরণ হয় স্রাব বা চুলকানি থাকে তাহলে শোনো শোনো সময় কনডম ব্যবহার।  কনডম ব্যবহার করে নিরাপদ থাকবে।  যদি আপনি কোন রকম দেখতে পান তাহলে অবশ্যই আপনাকে খুব দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় সব সময় কনডম ব্যবহার করা  শ্রেয়।এটা আপনাকে আপনার শিশুকে যৌন সক্ষম এইচ আই ভি ফলে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে। সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে আপনাকে এগুলো দিতে পারে।
সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যে কোনোপ্রকারের যৌন সঙ্গমের ফলে আপনার সংক্রমণ হতে পারে৷
এইসব সংক্রমণের ফলে আপনি এবং আপনার গর্ভস্থ শিশু খুব অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন৷ ডাক্তার আপনার সংক্রমণ পরীক্ষা করবেন এবং সেইগুলি সামলাতে আপনাকে সাহায্য করবেন৷ আপনার স্ত্রী যোনির চারিপাশে ফুসকুড়ি বা প্রস্রাব করতে গিয়ে যন্ত্রণার মত উপসর্গের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়৷
 কোনোরকম উপসর্গ ছাড়াও আপনার সংক্রমণ হতে পারে৷ সুতরাং আপনার ডাক্তারের সঙ্গে সবকটা অ্যাপয়েন্টমেন্টে দেখা করা শ্রেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *