Class 7 - ডিজিটাল প্রযুক্তি
1 min read

৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানি কাজ ৫ pdf

৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানি কাজ ৫ : মূল্যবোধ একটি মানবিক গুণ বা দোষ। মানবিক গুণের কারণেই আমরা মানুষ হিসেবে ভালো চরিত্রের অধিকারি হয়ে থাকি। আবার দোষের কারণেই আমরা মানুষ হিসেবে খারাপ চরিত্রের অধিকারি হয়ে থাকি। তাই বলা যায়, মানুষের ভেতরের ভাল এবং মন্দ উভয় ধরনের আচরণকেই মূল্যবোধ বা (Values) বলা হয়।

৭ম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুসন্ধানি কাজ ৫

প্রশ্ন-১: কেন আমরা মিথ্যা বলাকে খারাপ মনে করি?
উত্তর: মিথ্যা বলা এক ধরনের পাপ। মিথ্যা কথা বলার মাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে লুকান হয়। মিথ্যা বলার মাধ্যমে কখনো কখনো বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এছাড়া মিথ্যাবাদী ব্যক্তি সর্বদা তার মিথ্যা কথার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি-সাধনের চেষ্টা করে। তাই আমরা মিথ্যা বলাকে খারাপ মনে করি।

প্রশ্ন-২: মিথ্যা বলা খারাপ এটা আমরা কীভাবে, কার কাছ থেকে, কবে জানলাম?
উত্তর: আমরা আমাদের শৈশব থেকেই জেনে আসছি যে, মিথ্যা বলা খারাপ কাজ। পরিবার থেকে মা-বাবা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিশিক্ষক আমাদের মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেন।

প্রশ্ন-৩: এরকম আর কী কী বিষয় আছে যেগুলো সাধারণত আমরা সবাই পছন্দ বা অপছন্দ করি?
উত্তর: আমাদের সমাজে এমন অনেক কাজ আছে, যেগুলো আমরা সবাই পছন্দ করি। যেমন— বড়দের সম্মান করা, ছোটদের ¯েœহ করা, অন্যের উপকারে এগিয়ে আসা ইত্যাদি। অপরদিকে এমন কিছু কাজও রয়েছে, যা আমরা সবাই অপছন্দ করি। যেমন— বড়দের সাথে বেয়াদবি করা, ছোটদের সাথে রূঢ় আচরণ করা এবং অন্যের বিপদে এগিয়ে না আসা।

প্রশ্ন-৪: এগুলোকে আমরা কী বলতে পারি?
উত্তর: এধরনের কাজগুলোকে আমরা মূল্যবোধ বলতে পারি।

যেসব বৈশিষ্ট্য আমরা সাধারণত পছন্দ করি:
১। সত্য কথা বলা
২। সময়ানুবর্তিতা
৩। বড়দের সম্মান করা
৪। ছোটদের স্নেহ করা
৫। অন্যের বিপদে সাধ্যমত সাহায্য করা

যেসব বৈশিষ্ট্য আমরা সাধারণত অপছন্দ করি:
১। মিথ্যা কথা বলা
২। অলসতা
৩। বড়দের অসম্মান করা
৪। ছোটদের সাথে রূঢ় আচরণ করা
৫। অন্যের বিপদে নির্লিপ্ত থাকা

অনুসন্ধানী কাজ-৫

বিষয়বস্তু: সময়ের সাথে সাথে এবং স্থানভেদে মূল্যবোধের পরিবর্তন।
কিছু অনুসন্ধানের প্রশ্ন (উদাহারণ):

● বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ বড়দের সম্মান করা নিয়ে কী ধরণের মূল্যবোধ ধারণ করে? আর আগে বাংলাদেশের মানুষ বড়দের সম্মান করা নিয়ে কী ধরনের মূল্যবোধ ধারণ করত?
উত্তর: বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ বড়দের সম্মান করার ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ বড়দের দেখলে সালাম দেয় না, সম্মান দিয়ে কথা বলতে চায় না এবং তর্ক করতে দ্বিধাবোধ করে না। তবে অতীতে বাংলাদেশের মানুষের মূল্যবোধ এমন ছিল না। তখন তারা সর্বদা বড়দের শ্রদ্ধা করত এবং তাদের সাথে কখনোই তর্ক করত না।

● বাংলাদেশের মানুষ বড়দের সম্মান করা নিয়ে যে মূল্যবোধ ধারণ করে অন্যদেশের মানুষও কী একই মূল্যবোধ ধারণ করে নাকি ভিন্ন রকম?
উত্তর: পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই বড়দের সম্মান করার প্রবণতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তবে চীন, জাপান, কানাডা ইত্যাদি দেশের মানুষেরা এখনো বড়দেরকে বিশেষ সম্মানের চোখে দেখে এবং তাদের সাথে ভাল আচরণ করেন।
প্রশ্নে যে মূল বিষয়বস্তুগুলো রয়েছে:-

● তথ্য উৎস: বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ইন্টারনেট, কোর্সটিকা ওয়েবসাইট এবং শ্রেণিশিক্ষক।
● তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি: ইন্টারনেটে কোর্সটিকা ওয়েবসাইট ভিজিট করব এবং শ্রেণিশিক্ষকের সহায়তা নেব।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: শিক্ষার্থীরা, বিশেষ কিছু সমস্যার কারণে আমরা ওয়েবসাইটে ছকটি তৈরি করতে পারছি না। তবে আমাদের পিডিএফ উত্তরমালায় তোমরা এই উত্তরটি ছক আকারেই পাবে।

– তথ্য সংগ্রহের ছক –

১. বাংলাদেশে স্বেচ্ছাসেবা:
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে অন্যকে সেবা করার প্রবণতা যায়। দেশের যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতীতে (অগ্নিকাণ্ড, ঝড়-বন্যা) তরুণরা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে মানুষকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।

২. জাপানে সময়ানুবর্তিতা:
জাপান এমন একটি দেশ যেখানে সময়ানুবার্তিতাকে খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। সেখানে সবাই যথা সময়ে নিজ নিজ কাজ করে। ছাত্ররা এক মিনিট দেরীতে স্কুলে যায় না। আবার চাকরীজীবিরা অফিসে সামান্যতম দেরী করে না। এমনকি এক মিনিট দেরীতে ট্রেন ছেড়েছে এমন অভিযোগও সেখানে নেই।

৩. চৌর্যবৃত্তি:
সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের চোরদের নিয়ে একটি জরিপে দেখা গেছে, আফ্রিকার সাব-সাহারান দেশগুলোতে চুরির মাত্রা বেশি। এই জরিপে ১৩৪টি দেশের ১৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্বীকার করেছেন যে তারা গত ১২ মাসের মধ্যে কখনো না কখনো অন্যের অর্থ বা সম্পদ চুরি করেছেন। (সূত্র: কালের কণ্ঠ)

৪. ডেনমার্কের পরিচ্ছন্নতা:
ডেনমার্ক ২০২২ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন দেশ হিসেবে শীর্ষস্থান অর্জন করে। সুন্দর এ দেশটির নাগরিকরা পথে ঘাটে ময়লা আবর্জনা ফেলে না, রাস্তার পাশের দেয়ালে দাগাদাগি করে না। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ডাস্টবিন না থাকা সত্ত্বেও এখানকার জনগণ পরিবেশের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে অনেক সচেতন।

৫. জার্মানিতে শুভেচ্ছা জানানো:
জার্মানিতে কোন সমাবেশ বা পারিবারিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলে, রুমের প্রত্যেকের সাথে করমর্দন (হ্যান্ডশেক) করা একটি ঐতিহ্য। এমনকি সেখানে যদি কোন শিশুও উপস্থিত থাকে, তাহলে তার সাথেও করমর্দন করতে হবে।

● তথ্য বিশ্লেষণ: ওপরে ছকে উল্লেখিত তথ্যগুলো আমি পত্র-পত্রিকা, ইন্টারনেট, কোর্সটিকা ওয়েবসাইট এবং শ্রেণিশিক্ষকের সহায়তায় সংগ্রহ করেছি। তথ্যগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে আমি তা একত্রিত করেছি। এ তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে জানতে পেরেছি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা মূল্যবোধ প্রচলিত রয়েছে। এসব মূল্যবোধের মধ্যে যেমন ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তেমনি রয়েছে নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য।

● ফলাফল বা সিদ্ধান্ত: উক্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে আমি বেশ কিছু সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। তা হল—
১. প্রতিটি দেশের মানুষের মধ্যেই মূল্যবোধ রয়েছে।
২. মূল্যবোধ ভালও হতে পারে, আবার খারাপও হতে পারে।
৩. ব্যক্তির ভাল মূল্যবোধ সমাজের উপকার করে। অপরদিকে খারাপ মূল্যবোধগুলো
● উপস্থাপন: শিক্ষার্থীরা নিজেদের মত করে স্বতস্ফূর্তভাবে উপস্থাপন করবে।

উত্তরমালা

Rate this post