৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান শিখন অভিজ্ঞতা ১ | আকাশ কত বড় (PDF)
৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান শিখন অভিজ্ঞতা ১ : ভোরে আকাশের রঙ যেমন থাকে, দুপুরেও কি তাই? আবার সন্ধ্যার আকাশের কথাই ধরো না কেন! দিনের আকাশ যেমন সকাল দুপুর বিকেলে এত রঙ পাল্টায়, রাতের আকাশ কি তাই? দিন বা রাতের কোন সময়টার আকাশ তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? তোমার পাশের বন্ধুর সাথে তোমার চিন্তা শেয়ার করো। কোন সময়ের আকাশ ওর সবচেয়ে প্রিয়? দেখো তো এবার ওর প্রিয় আকাশকে তুমি আঁকতে পারো কিনা! চাইলে পোস্টার কাগজে কাগজ কেটে ডিজাইনও করতে পারো!
৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান শিখন অভিজ্ঞতা ১
প্রথম সেশন
শুরুতেই চল, আমাদের মাথার ওপর আকাশটা দেখি। আকাশের দিকে তাকালে আমরা কী কী দেখতে পাই? চট করে নিচের ছকে লিখে ফেলো! (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৬)
দিনের আকাশে যা দেখি: সূর্য, পাখি, মেঘ, রঙধনু, ঘুড়ি, উড়োজাহাজপ্লেন।
রাতের আকাশে যা দেখি: চাঁদ, তারা, গ্রহ, উপগ্রহ, মেঘ, চন্দ্রগ্রহণ।
প্রশ্ন: সকাল, দুপুর, বিকেলে আকাশ এত রং পাল্টায় কেন? দিন বা রাতের কোন সময়টার আকাশ তোমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৬)
উত্তর: মূলত আকাশ হল আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। এই বায়ুমণ্ডল যে রং ছড়াবে, আকাশও সেই রং ধারণ করবে। সূর্যরশ্মি পৃথিবীতে আসে এই বায়ুম-ল ভেদ করে। এ সময়ে পৃথিবীতে বিভিন্ন রঙের আলো বিভিন্নভাবে বিক্ষেপিত হয়। আলোর এই বিষ্ফোরণের কারণেই আকাশ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রং ধারণ করে।
আমার পছন্দের আকাশ: আকাশ বিভিন্ন সময়ে বৈচিত্রময় রূপ ধারণ করে। এর মধ্যে আমার কাছে দিনের বেলায় পরিস্কার নীল আকাশ সবচেয়ে ভালো লাগে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশন
আমাদের ছায়াপথের মতো মহাবিশ্বে আরো অনেক গ্যালাক্সি আছে, কিন্তু এই সংখ্যাটা কত হতে পারে? আর এই একেকটা গ্যালাক্সিতে মোট কতগুলো নক্ষত্র থাকতে পারে আন্দাজ করো তো? অনেক অনেক নক্ষত্র যখন গ্যালাক্সিতে একসাথে থাকে তাকে কেমন দেখাতে পারে অনুমান করতে পারো? পাশের সহপাঠীর সাথে আলাপ করে দেখো, এবার দুইজন মিলে তোমাদের অনুমান খাতায় লিখে বা এঁকে রাখো। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
আমাদের অনুমান
গ্যালাক্সির সংখ্যা: কোটি কোটি।
গ্যালাক্সিতে মোট নক্ষত্রের সংখ্যা: অসংখ্য।
Quick Notes
১. গ্যালাক্সি কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
উত্তর: গ্যালাক্সি হলো অসংখ্য নক্ষত্রের সমষ্টি। মহাকর্ষ বলের কারণে গ্যালাক্সির নক্ষত্রগুলো আটকে থাকে।
২. গ্যালাক্সি দেখতে কেমন? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
উত্তর: গ্যালাক্সি দেখতে সাধারণত একটি থালার মত। এছাড়াও উপবৃত্তাকার, কুণ্ডালাকার ও সর্পিলাকারও হতে পারে।
৩. একেকটা গ্যালাক্সিতে সূর্যের মত কতগুলো নক্ষত্র থাকে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
উত্তর: প্রায় এক বিলিয়ন (একশ কোটি)।
৪. মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
উত্তর: প্রায় এক ট্রিলিয়ন (লক্ষ কোটি)।
ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান আকাশ কত বড়
৫. মিল্কিওয়ে কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
উত্তর: আমাদের আবাসস্থল পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে অবস্থিত, সেটিই হচ্ছে মিল্কিওয়ে।
এবার দুজন মিলে তোমাদের বিজ্ঞান বইয়ে গ্যালাক্সি সম্পর্কে যা লেখা আছে তা পড়ে জানার চেষ্টা করো, গ্যালাক্সি দেখতে আসলে কেমন হয়? একেকটা গ্যালাক্সিতে সূর্যেরমতো কতগুলো নক্ষত্র থাকে? মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে? আগে যা লিখে বা এঁকে রেখেছিলে বইয়ের সাথে মিলিয়ে দেখো তো তোমাদের অনুমান সঠিক কিনা! যা জানলে তাও ছকে লিখে ফেলো!
এবার দুজন মিলে তোমাদের বিজ্ঞান বইয়ে গ্যালাক্সি সম্পর্কে যা লেখা আছে তা পড়ে জানার চেষ্টা করো, গ্যালাক্সি দেখতে আসলে কেমন হয়? একেকটা গ্যালাক্সিতে সূর্য্যের মতো কতগুলো নক্ষত্র থাকে? মহাবিশ্বে মোট গ্যালাক্সির সংখ্যা কত হতে পারে? আগে যা লিখে বা এঁকে রেখেছিলে বইয়ের সাথে মিলিয়ে দেখো তো তোমাদের অনুমান সঠিক কিনা! যা জানলে তাও ছকে লিখে ফেলো! (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৮)
আমাদের অনুমান
গ্যালাক্সির সংখ্যা: কোটি কোটি।
গ্যালাক্সিতে মোট নক্ষত্রের সংখ্যা: অসংখ্য।
বিজ্ঞানীদের অনুমান
গ্যালাক্সির সংখ্যা: প্রায় এক ট্রিলিয়ন (লক্ষ কোটি)।
গ্যালাক্সিতে মোট নক্ষত্রের সংখ্যা: প্রায় এক বিলিয়ন (একশ কোটি)।
বিগ ব্যাং তত্ত্ব কি বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে? নাকি শুধুই মানুষের কল্পনা? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৯)
উত্তর: বিগ ব্যাং তত্ত্ব মহাবিশ্বের উৎপত্তি সম্পর্কে প্রদত্ত একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। এটি মহাবিষ্ফোরণ তত্ত্ব নামেও পরিচিত। এটি মানুষের কল্পনা নয়, বরং বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত।
বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে কি বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ৯)
উত্তর: হ্যাঁ, বিগ ব্যাং তত্ত্বের সপক্ষে বিজ্ঞানীরা কোনো প্রমাণ পেয়েছেন। নিচে তা বর্ণনা করা হলো-
বিজ্ঞানীরা যখন দেখলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে শুধু গ্যালাক্সি আর গ্যালাক্সি তখন তারা সেগুলোকে নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন এবং অবাক হয়ে আবিস্কার করলেন একটি থেকে আরেকটি দূরে সরে যাচ্ছে। যার অর্থ একসময়ে সেগুলো আরো কাছাকাছি ছিল। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, আজ থেকে ১৪ বিলিয়ন (১ হাজার ৪০০ কোটি) পুরো এই বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটি বিন্দুতে ছিল। প্রকাণ্ড এক বিষ্ফোরণের পর সেই বিন্দুটি প্রসারিত হয়ে বর্তমান বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে রূপ নিয়েছে। আর সেই বিষ্ফোরণটির নামই হচ্ছে বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্ব।
Quick Notes
৬. নক্ষত্রের জ্বালানিও কি ফুড়িয়ে যেতে পারে? নক্ষত্রের জ্বালানী ফুড়িয়ে গেলে তার আসলে কী হয়? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১০)
উত্তর: হ্যাঁ, নক্ষত্রের জ্বালানিও ফুড়িয়ে যেতে পারে। নক্ষত্রের জ্বালানি হলো হাইড্রোজেন। এই হাইড্রোজেন নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়ার শক্তি তথা আলো উৎপন্ন করে। আর নক্ষত্রের জ্বালানি অর্থাৎ হাইড্রোজেন ফুড়িয়ে গেলে সেটি ফুলে ফেঁপে নিষ্প্রভ হয়ে মৃত্যুবরণ করবে। আলোহীন নিষ্প্রভ নক্ষত্রের এই অবশেষকে বলা হয় হোয়াইট ডোয়ার্ফ (White dwarf)।
চতুর্থ সেশন
অন্যদের ছবি আর গল্পের সাথে নিজেদেরটা মিলিয়ে দেখো, তোমার শিক্ষককেও দেখাও।
বৃশ্চিক নক্ষত্রমণ্ডলী: তারার বিন্যাসগুলোর মধ্যে ধনুকের মত দেখতে নক্ষত্রমণ্ডলীকে বৃশ্চিক নক্ষত্রম-লী বলে। বৃশ্চিক বা কাঁকড়াবিছা একটি বিষাক্ত প্রাণী। দেবতারা কালপুরুষকে শায়েস্তা করার জন্য একে প্রেরণ করেন। এর কামড়েই কালপুরুষের মৃত্যু হয়।
কালপুরুষ: কালপুরুষ ছিল বিখ্যাত এক যোদ্ধা ও শিকারী। অহংকারে তার মাটিতে পা পড়ত না! সে দাবি করত যে, পৃথিবীর সকল প্রাণীই সে শিকার করতে সক্ষম। তার এত অহংকারে দেবতারা ক্ষুদ্ধ হলেন। তারা একটি বৃশ্চিক বা কাঁকড়াবিছাকে পাঠালেন কালপুরুষকে শায়েস্তা করার জন্য। আর সেই কাঁকড়ার কামড়েই কালপুরুষের মৃত্যু হলো। দেবতারা মানুষকে অহংকারের পরিণাম দেখানোর জন্য কালপুরুষ আর বৃশ্চিক দুজনকেই আকাশে স্থান দিলেন। যাতে আকাশে তাকালেই মানুষ এর থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে।
সপ্তর্ষিমণ্ডল: সপ্তর্ষিমণ্ডল উত্তর আকাশের একটি নক্ষত্রমণ্ডল, এটি দেখতে অনেকটা প্রশ্নবোধক চিহ্নের মত। ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী মতে, সাতজন ঋষিকে বলা হয় সপ্তর্ষি। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই সপ্তর্ষিকে নিয়ে যে নক্ষত্রমণ্ডল কল্পনা করেছিলেন তার নাম সপ্তর্ষিমণ্ডল।
Quick Notes
৭. নেবুলা কী? (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৩)
উত্তর: নেবুলা হচ্ছে মহাজাগতিক ধূলিকণা ও গ্যাসের সমন্বয়ে সৃষ্ট এক সুবিশাল মহাজাগতিক মেঘ। নেবুলা থেকেই নতুন নতুন নক্ষত্রের জন্ম হয়।
আকাশের এই বারো ভাগের ধারণা বহু প্রচীন। সভ্যতার বিভিন্ন সময়ে মানুষ তার নানা কাজে এর ব্যবহার করেছে। তোমাদের বইয়ে এরকম দুই ধরনের ব্যবহারের কথা বলা আছে; বাংলা বর্ষপঞ্জি বা ক্যালেন্ডার, এবং জ্যোতিষবিদ্যা বা ভাগ্য গণনা। তোমার বন্ধুদের সাথে দলে বসে এই দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করো, আলোচনার সময় নিচের প্রশ্নগুলো মাথায় রাখতে পারো। তোমরা একমত হবার পর উত্তরগুলো পরের পৃষ্ঠার ছকে লিখে রাখো। একমত না হতে পারলে সেটাও লিখে রেখো! (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৪)
পঞ্চম সেশন
আগের দিনের আলোচনা থেকে তোমরা কি কোনো অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার শনাক্ত করতে পেরেছো? তোমাদের পরিবার কিংবা আশেপাশের মানুষদের মাঝে এমন কাউকে দেখেছো যারা এই ধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন? এসব ক্ষেত্রে তোমার দায়িত্ব কী হওয়া উচিত? বন্ধুরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নাও এবং পরের পৃষ্ঠার ছকে লিখ। দলীয় মতামত শিক্ষকসহ ক্লাসে বাকিদের সাথেও শেয়ার করো, দেখো অন্য দলগুলো তোমাদের সাথে একমত হয় কিনা। (বিজ্ঞান অনুশীলন বই: পৃষ্ঠা ১৪)
উত্তর: আগের দিনের আলোচনা থেকে আমরা কিছু অবৈজ্ঞানিক চর্চা বা কুসংস্কার শনাক্ত করতে পেরেছি। আমাদের আশেপাশের অনেকেই এ ধরনের কুসংস্কারে বিশ্বাস করেন। এসব ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্ব হল, তাদের বোঝানো। তাদের এ বিষয়ে অবগত করা যে, এগুলোর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই।
Quick Notes
সেশনের শুরতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জেগেছিল। ‘আকশ কত বড়’ – এ কাজ শেষে যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলাম, তা নিচে বর্ণনা করা হলো-
৮. আকাশ কী?
উত্তর: আকাশ হচ্ছে ভূপৃষ্ঠ থেকে বাইরে দিকে অবস্থিত অংশবিশেষ। বায়ুমণ্ডল এবং মহাশূন্যও এর অংশ।
৯. আকাশ কী দিয়ে তৈরি?
উত্তর: আকাশ বায়ুমণ্ডল দিয়ে গঠিত, যা পৃথিবী এবং তার বাইরের মধ্যে একটি বায়বীয় বাধা তৈরি করে। বায়ুমণ্ডল গ্যাস দ্বারা তৈরি। এর প্রধান উপাদান নাইট্রোজেন। এছাড়া এতে রয়েছে ২১ শতাংশ অক্সিজেন এবং ১ শতাংশ জলীয় বাষ্প। কার্বন মনোঅক্সাইড এবং আর্গনের মত অন্যান্য গ্যাসের চিহ্নগুলোও বায়ুমণ্ডলের অংশ।
১০. আকাশ নীল দেখায় কেন?
উত্তর: আলোর বিক্ষেপণের কারণে আকাশ নীল দেখায়। কোনো কণিকার ওপর আলো পড়লে সেই কণিকা আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, যাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে। যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, সে আলোর বিক্ষেপণ তত বেশি। বেগুনি ও নীল আলোর তরঙ্গদৈঘ্য সবচেয়ে কম। তাই আকাশে এই আলো দুটির বিক্ষেপণ বেশি হয়। আবার আমাদের চোখ বেগুনি অপেক্ষা নীল বর্ণের প্রতি অধিক সংবেদনশীল। তাই আকাশ নীল দেখায়।
১১. নক্ষত্রের জন্ম হয়েছিল কীভাবে?
উত্তর: বিগ ব্যাংয়ের পর মহাকাশে থাকা হাইড্রোজেন কোথাও কোথাও একত্রিত হয়ে একটা গ্যাসপিণ্ডের আকার নেয়, এই গ্যাসপি-কে বলা হয় নেবুলা। সেই নেবুলাতে যদি যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস থাকে তাহলে মহাকর্ষ বলের কারণে যখন সংকুচিত হতে থাকে তখন তার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাপমাত্রা বাড়তে বাড়তে এতই বেড়ে যায় যে, তার প্রভাবে হাইড্রোজেন একটি অন্যটির সাথে নিউক্লিয়ার ফিউশন নামে একটি বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচুর শক্তি জন্ম দিতে থাকে। সেই নক্ষত্র থেকে আলো বের হতে থাকে এবং আমরা বলি নক্ষত্রের জন্ম হয়েছে।
১২. মহাকাশের শেষ সীমা কোথায়?
উত্তর: মহাকাশের কোনো সীমা নেই। বিজ্ঞানীদের মতে বিগ ব্যাং অর্থাৎ অত্যন্ত ঘনবস্তু থেকে সম্প্রাসারণের মাধ্যমে মহাকাশের সৃষ্টি হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত সম্প্রসারণ হয়েই চলছে। তাই মহাকাশের কোন শেষ বা সীমা নেই।
১৩. গ্যালাক্সি কী?
উত্তর: গ্যালাক্সি হলো অসংখ্য নক্ষত্রের সমষ্টি। মহাকর্ষ বলের কারণে গ্যালাক্সির নক্ষত্রগুলো আটকে থাকে।
১৪. মেঘ কীভাবে তৈরি হয়?
উত্তর: সূর্য পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে এবং ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত পানিকে বাষ্পীভূত করে। বাষ্পীভূত পানি বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উঠতে থাকে এবং শীত ও ঘনীভূত হয়ে মেঘে পরিণত হয়।
উপরে দেওয়া ‘উত্তরমালা’ অপশনে ক্লিক করে ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান শিখন অভিজ্ঞতা ১ উত্তরসহ সংগ্রহ করে নাও।