(৩য় অধ্যায়) ৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (PDF)

৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায় : এই অধ্যার পাঠ করলে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কিছু কিছু যন্ত্রপাতি কেমন করে সুরক্ষা করা যায় তা করতে পারব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারব। কম্পিউটারের পিছনে বেশি সময় দিলে কোনো সমস্যা হতে পারে কি-না তা বর্ণনা করতে পারব।

৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৩য় অধ্যায়

প্রশ্ন ১ : মানুষ বৈদ্যুতিক শক অনুভব করলে শরীরে কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে?

উত্তর : মানুষের শরীর বিদ্যুৎ পরিবাহী। বিদ্যুতের ভোল্টেজ ৫০ ভোল্টেজের বেশি হলে আমরা সেটা অনুভব করতে পারি। সুতরাং কেউ যখন ঐ পরিমাণ ভোল্টের বেশি বিদ্যুতের স্পর্শ পান তখন তিনি বিদ্যুতায়িত হন। ৫ বিদ্যুতায়িত হলে মানুষের শরীরে কিছু অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সাধারণত মানুষের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন করতে বা মাংশপেশী ব্যবহার করে হাত-পা কে নাড়াচাড়া করার জন্যে মস্তিস্ক থেকে স্নায়ুর ভিতর দিয়ে সংকেত পাঠানো হয়।

এই সংকেতগুলো এক ধরনের বৈদ্যুতিক সংকেত। এর পরিমাণ খুবই অল্প। কেউ যখন বৈদ্যুতিক শক খায় তখন তার শরীরের ভেতর দিয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। মস্তিষ্ক থেকে পাঠানো ছোট সংকেতগুলো তখন এই বড় বিদ্যুৎ প্রবাহের নিচে চাপা পড়ে যায়। সে জন্যে যখন কেউ বিদ্যুতায়িত হয়, তখন সে তার হাত পা নাড়তে পারে না, বেশিক্ষণ হলে তার হৃদস্পন্দন থেমে যেতে পারে।

প্রশ্ন ২ : কম্পিউটারের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য কোন কোন বিষয়ের প্রতি নজর রাখতে হবে?

উত্তর : কম্পিউটারের নিরাপদ ব্যবহারের জন্য যে সমস্ত বিষয় নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার তার অন্যতম হলো বৈদ্যুতিক সংযোগ। কখনই খোলা তারের প্লাস্টিক সরিয়ে প্লাগে ঢুকিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া উচিত নয়। বৈদ্যুতিক সংযোগ ছাড়াও আর যে বিষয়টির প্রতি নজর দিতে হবে তা হলো, কম্পিউটারে বাতাস প্রবাহ যেন সঠিক থাকে।

কারণ কম্পিউটারের প্রসেসর কাজ করার সময় অনেক গরম হয়ে থাকে। তাই কম্পিউটারের ভেতরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার চেয়ে অনেক গরম হয়।কম্পিউটারের ভেতরের ফ্যান এই গরম বাতাসকে ঠেলে বের করে বাইরের থেকে ঠান্ডা বাতাস টেনে নেয়। সুতরাং নিশ্চিত করতে হবে যেন বাতাস ঢোকার এবং বের হবার পথ কোনো ভাবেই যেন বন্ধ না হয়। এ সমস্ত বিষয় লক্ষ রাখতে অনেক দিন কম্পিউটার ভালো রাখা যায়।

প্রশ্ন ৩ : আইসিটি যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝ?

উত্তর: আইসিটি বা কম্পিউটার এর বিভিন্ন অংশ সঠিকভাবে ব্যবহারের জন্য যে নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয় তা রক্ষণাবেক্ষণ নামে পরিচিত। যেহেতু কম্পিউটার একটি আইসিটি যন্ত্র এবং এর বিভিন্ন অংশ যেমন- মনিটর, কী-বোর্ড, মাউস, সিপিইউ ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। বিশেষ করে মনিটর, কী-বোর্ড ও মাউস পরিষ্কারের নিয়মনীতি অনুসরণ। নিজের ইচ্ছামতো পরিষ্কার করলে আইসিটি যন্ত্রপাতির ক্ষতি হবে। তাই রক্ষণাবেক্ষণের নিয়মনীতি অনুসারে পরিষ্কার রাখা উত্তম।

প্রশ্ন ৪ : কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখতে কোন কোন বিষয়গুলো লক্ষ করতে হবে?

উত্তর: কম্পিউটারকে নিরাপদ রাখতে যে সকল বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
পানি বা তরল : কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় তার খুব কাছাকাছি পানি বা কোনো ধরনের ড্রিংক না রাখা ভালো। পানি বা অন্যান্য পানীয় বিদ্যুৎ পরিবাহী কম্পিউটারের ভিতর ঢুকে গেলে বৈদ্যুতিক সার্কিটগুলো শর্ট সার্কিট হতে পারে। এরকম কিছু হলে সাথে সাথে কম্পিউটার বন্ধ করে দীর্ঘ সময় একটা ফ্যানের নিচে রেখে দিতে হবে যেন পানিটুকু শুকিয়ে যায়।

ধুলোবালি: কম্পিউটারের ফ্যান যখন বাতাস টেনে নেয় তার সাথে ধুলোবালিও টেনে আনতে পারে। ধুলোবালি জমে যদি বাতাস ঢোকার এবং বের হবার পথগুলো বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কম্পিউটার বেশি গরম হয়ে উঠতে পারে। তাই মাঝে মাঝে এ বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

প্রশ্ন ৫ : মনিটর পরিষ্কার করার পদ্ধতি লেখ।

উত্তর: কম্পিউটারের মনিটর পরিষ্কার করতে শুরুতে কম্পিউটারের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। মনিটরের স্ক্রিন বা পর্দাটি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। টিস্যু অথবা পাতলা নরম সুতি কাপড়ে গ্লাস ক্লিনার লাগিয়ে মনিটরের গ্লাসটি পরিষ্কার করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে গ্লাস ক্লিনারের দ্রবণ মনিটরের অফ/অনের বাটন ও মনিটরের পেছনের অংশ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে।

মনিটরের পর্দাটি ভেজা থাকলে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে পর্দাটি হালকাভাবে মুছে পরিষ্কার করতে হবে। মনিটরটি এলসিডি বা এলইডি মনিটর হলে গ্লাস ক্লিনার কিংবা ভেজা কিছু দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না। এক্ষেত্রে শুকনো নরম কাপড় দিয়ে পর্দাটি পরিষ্কার করা উচিত।

প্রশ্ন ৬ : ভাইরাস কী? কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হলে কী কী অসুবিধা হয়?

উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ হয়। ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটার ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। কম্পিউটার ভাইরাস একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এবং একটি থেকে অসংখ্য ভাইরাসে পরিণত হয়। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়, হ্যাং করে, ভাইরাস কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে থাকা তথ্য বা উপাত্তকে নষ্ট করে ফেলে। তাই ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটার ব্যবহারে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।

প্রশ্ন ৭ : কম্পিউটার ভাইরাস বলতে কী বোঝ?
উত্তর : কম্পিউটার ভাইরাস হলো এক ধরনের অজানা ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাহ হয়। মানুষের তৈরি কম্পিউটার ভাইরাস আসলে একটি ছোট প্রোগ্রাম ছাড়া আর কিছুই নয়। আজকাল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক দিয়েও এটি খুব সহজে অনেক কম্পিউটারের মাঝে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

একটা কম্পিউটার থেকে যদি কোনো সিডি বা পেনড্রাইভে করে কিছু একটা কপি করা হয় তাহলে নিজের অজান্তে সেখান থেকে ভাইরাসটাও কপি হয়ে যায়। তাই অন্য কম্পিউটার থেকে কিছু কপি করতে হলে সব সময়ই খুব সতর্ক থাকা উচিত।

ANSWER SHEET

উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *