৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৫ম অধ্যায় : এই অধ্যায় পাঠ করলে আমরা ইন্টারনেট সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব। ওয়েবসাইট সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব। ব্রাউজার ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারব। সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব। সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুঁজে বের করতে পারব।
৬ষ্ঠ শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ৫ম অধ্যায়
প্রশ্ন ১ : ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব বর্ণনা কর।
উত্তর : ইন্টারনেট হলো তথ্যের বিশাল এক ভান্ডার এবং নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক। এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের তথ্য অন্যের কাছে তুলে ধরার জন্য তৈরি ব্যবস্থাটি হলো ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোর জন্য যে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেটা হলো ওয়েব ব্রাউজার। ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ানোকে ব্রাউজিং বলে। ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের পুরো জগৎকে উপভোগ করা যায়। ব্রাউজিং সফটওয়্যার ছাড়া ইন্টারনেটে ব্রাউজ করা যায় না। ব্রাউজারের মাধ্যমেই ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওয়েব ব্রাউজারের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রশ্ন ২ : ওয়েবসাইট কী? ওয়েবসাইট সম্পর্কে লেখ।
উত্তর: ওয়েবসাইট বলতে এমন একটি ব্যবস্থাকে বুঝায় যেখানে ইন্টারনেটে নিজের তথ্য অন্যের সামনে তুলে ধরা হয়। কেউ যদি কারো কাছ থেকে তথ্য নিতে চায়, তাহলে তার ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে সব তথ্য সাজানো থাকে। যারা ওয়েবসাইট তৈরি করে তারা চেষ্টা করে যেন প্রয়োজনীয় সব তথ্য সেই ওয়েবসাইট থেকে সহজে নেয়া যায়। নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট থাকে। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের একটা সহজ নাম থাকে। যেটা দিয়ে ওয়েবসাইটটি সহজে খুঁজে বের করা যায়।
প্রশ্ন ৩ : নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ঠিকানা জানা না থাকলে কোন পদ্ধতির মাধ্যমে তা খুঁজে পাওয়া যায় এবং কিভাবে?
উত্তর: বিভিন্ন তথ্যসমূহ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেটে উপস্থাপন করা হয়। আর ওয়েবসাইট সহজে খুঁজে পেতে বিশেষ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। আর তা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। আমরা যদি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের ঠিকানাটা না জানি তবে সার্চ ইঞ্জিনে কাঙ্ক্ষিত তথ্যের বিষয়বস্তু লিখে সার্চ দিয়ে এই বিষয়বস্তু সম্পর্কিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটের ঠিকানা পাবো। সেখান থেকে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওয়েবসাইটটি বেছে নেব।
প্রশ্ন ৪ : সার্চ ইঞ্জিন কী? এর কাজ বর্ণনা কর।
উত্তর : ইন্টারনেটে কোনো তথ্য খোঁজার জন্য যে বিশেষ এক ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের সাহায্য নিতে হয় সেই সফটওয়্যারগুলোর নামই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিয়ে আমরা বিভিন্ন তথ্য জানতে পারি। যদি আমরা কোনো ওয়েবসাইটের নাম নাও জানি তবুও সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে আমরা সেই ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে পারি। সার্চ ইঞ্জিনের প্রধান কাজ মূলত কোনো কিছু খুঁজে বের করা।
প্রশ্ন ৫ : ওয়েবব্রাউজার বলতে কী বোঝ? কয়েকটি জনপ্রিয় ওয়েবব্রাউজারের নাম লেখো।
উত্তর : ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার। এটি ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট দেখার জন্য দরকার হয়। ইন্টারনেটকে যদি একটি কাল্পনিক জগতের সাথে তুলনা করি, ওয়েবসাইটগুলো তবে সেই কাল্পনিক জগতের তথ্য ভাণ্ডারের ঠিকানা। ইংরেজিতে যাকে বলে ব্রাউজিং। তাই ওয়েবসাইট দেখার জন্যে ঐ বিশেষ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়েব ব্রাউজার’। এ সময়ের জনপ্রিয় কিছু ওয়েব ব্রাউজার হচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, অপেরা, সাফারি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৬ : কোনো তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের সুবিধা উল্লেখ কর।
উত্তর : ইন্টারনেট হলো লক্ষ কোটি কম্পিউটারের নেটওয়ার্ক। এখানে আছে লক্ষ কোটি কম্পিউটার এবং হাজার হাজার ওয়েসবসাইট। ইন্টারনেটে নিজে নিজে তথ্য খুঁজতে গেলে আমরা অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে যাব। এ কারণে যখন আমাদের কোনো তথ্য খোঁজার দরকার হয় তখন আমরা সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্য নেই। সার্চ ইঞ্জিন আমাদের কাঙ্ক্ষিত তথ্য বহনকারী ওয়েবসাইটগুলোর তালিকা আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। ফলে আমরা সহজে ইন্টারনেট তথ্য খুঁজে পেতে পারি।
প্রশ্ন ৭ : সার্চ ইঞ্জিনের ব্যবহার পদ্ধতি উল্লেখ কর।
উত্তর : সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্রথমেই ব্রাউজার ওপেন করে সেটার অ্যাড্রেসবারে যে সার্চ ইঞ্জিনটি ব্যবহার করা হবে তার ঠিকানাটি লিখতে হয়। এরপর Enter চাপ দিলে সার্চ ইঞ্জিনটি চলে আসে। সব সার্চ ইঞ্জিনেই যেটা খোঁজা হবে সেটা লেখার জন্য একটা জায়গা থাকে। সেখানে কাঙ্ক্ষিত বিষয়বস্তুর নামটি লিখতে হবে। তারপর Enter চাপ দিলেই যে যে ওয়েবসাইটে সেই কাঙ্ক্ষিক বিষয়টি থাকতে পারে তার একটা বিশাল তালিকা চলে আসবে। এরপর ঐ তালিকার ওয়েবসাইটগুলোতে ব্রাউজ করে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারব।
উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও