ঝিঙে ফুল কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর (PDF)
ঝিঙে ফুল কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : কবিতাটির পাঠ পরিচিতি জেনে নাও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় কবির প্রকৃতিপ্রেমের পরিচয় পাওয়া যায়। পৌষের বেলাশেষে সবুজ পাতার মাঝে জাফরান রং নিয়ে ঝিঙে ফুল মাচার ওপর ফুটে আছে। তাকে বোঁটা ছিঁড়ে চলে আসার জন্যে প্রজাপতি ডাকছে, আকাশে চলে যাওয়ার জন্যে ডাকছে তারা।
কিন্তু সে মাটিকে ভালোবেসে মাটি-মায়ের কাছেই থাকবে। এ কবিতাটিতে প্রকৃতির প্রতি কবির ভালোবাসা ঝিঙে ফুলকে কেন্দ্র করে চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।
ঝিঙে ফুল কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : আবদুর রবের একমাত্র ছেলে ফয়সাল। লেখাপড়ায় সে বেশ ভালো। ফয়সালের মামা তাকে ঢাকায় এনে লেখাপড়া করাতে চান। কিন্তু ফয়সাল গ্রামের এ চমৎকার পরিবেশ ছেড়ে কোলাহলপূর্ণ ঢাকায় যেতে চায় না।
ক. ‘হিয়া’ অর্থ কী?
খ. ‘চাই না ও অলকায়’— এর দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. ফয়সালের মামার চাওয়া ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার প্রজাপতির ডাকের সঙ্গে কীভাবে সম্পর্কিত— ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘ফয়সাল এবং ঝিঙে ফুলের ইচ্ছা যেন একই সূত্রে গাঁথা।’ উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
প্রশ্নের উত্তর
ক. ‘হিয়া’ শব্দের অর্থ— হৃদয়।
খ. ‘চাই না ও অলকায়’ বলতে কবি পৃথিবীর সুন্দর প্রাকৃতিক শোভা ছেড়ে না যাওয়ার দিকটি বুঝিয়েছেন। প্রকৃতির সৃষ্টি অনন্ত অক্ষয়; তা কখনো পুরোনো হয় না। কিন্তু মানুষ যা তৈরি করে তা কৃত্রিম, অল্পদিনেই তার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। পৃথিবীর চেয়ে সুন্দর জায়গা আর কোথাও হতে পারে না। প্রশ্নোক্ত উক্তি দ্বারা কবি এ কথাই বুঝিয়েছেন।
গ. ভালো সুযোগ-সুবিধা দিতে চাওয়ার দিক দিয়ে উদ্দীপকের মামার সাথে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার প্রজাপতির মিল রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে আকর্ষণ করে। প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে যখন মানুষের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে তখন মানুষ তার চিরচেনা বৈচিত্র্যময় অপরূপ প্রকৃতি ছেড়ে কোথাও থাকতে পারে না। উদ্দীপকের ফয়সালের মামা ফয়সালকে গ্রাম ছেড়ে শহরে আনতে চান।
সেখানে তাকে তিনি লেখাপড়া করাবেন। কিন্তু ফয়সাল গ্রামের প্রকৃতির ছোঁয়া, বিশাল খোলা আকাশ, দিগন্তবিস্তৃত মাঠ ছেড়ে কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে যেতে চায় না। ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতায় প্রজাপতিও ঝিঙে ফুলকে তার কাছে যাওয়ার জন্যে আহ্বান করলে ঝিঙে ফুল মাটির মমতা ছেড়ে যেতে চায় না। তাই উদ্দীপকের ফয়সালের মামা ও কবিতার প্রজাপতির সাথে মিল রয়েছে।
ঘ. নিজ পরিবেশে স্নেহের বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে চাওয়ার দিক দিয়ে ফয়সাল এবং ঝিঙে ফুলের ইচ্ছা যেন একই সূত্রে গাঁথা ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার ঝিঙে ফুল প্রকৃতির কোলে সৌন্দর্য ছড়াতে চায়। তাকে আকাশ, প্রজাপতি সবাই ডেকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ঝিঙে ফুল ভালোবাসে মা-রূপ মাটিকে। সে নিজের মতো করে বাঁচতে চায়, প্রকৃতির হাতে লালিত হতে চায়। উদ্দীপকের ফয়সালের মনোভাব প্রকৃতির সান্নিধ্যঘেঁষা। তার মামা তাকে শহরে লেখাপড়া করাতে চান, কিন্তু সে গ্রামের চমৎকার পরিবেশ ছেড়ে কোলাহলপূর্ণ শহর ঢাকাতে যেতে চায় না।
উদ্দীপকের ফয়সাল ও ঝিঙে ফুল যেন অভিন্ন সত্তা-বিশেষ। মা-মাটিকে ছেড়ে কেউ যেতে চায় না। তারা তাদের নিজের প্রকৃতিতে আপন সত্তার অধিকার ধরে রেখে বাঁচতে চায়। তাই ফয়সাল ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার ঝিঙে ফুলের ইচ্ছা যেন একই সূত্রে গাঁথা।
নিজে অনুশীলন করো
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : নওফেল সাহেব স্কুলশিক্ষক। গ্রামেই থাকেন তিনি। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা শিখিয়েছেন। সন্তানরা অনেকদিন থেকেই দেশের বাইরে থাকে। নওফেল সাহেব গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে বিভোর থাকেন। নদী, গাছপালা, গ্রামের সবকিছুই তাঁর অতি আপন। গ্রাম ও জন্মভূমির কাছে তিনি ঋণী। সন্তানরা অনেকবার তাকে বিদেশে নিয়ে যেতে চাইলেও তিনি যাননি। একাকী গ্রামের গাছপালা, ফুল ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকেন। তাদের কাছে মনের কথা ব্যক্ত করেন।
ক. কাকে বিদ্রোহী কবি বলা হয়?
খ. ‘সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ফিঙে-কুল’- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. নওফেল সাহেবের দেশ ছেড়ে না যাওয়ার ইচ্ছা ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার আলোকে যাচাই করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : মায়ের আদুরে দুলালি রিতা। বয়স দু বছর, মায়ের কোল আলো করে ভরে রেখেছে সে। মায়ের কোলে সে বসে আছে, তার মামি তাকে ডাকে, ‘চলে এসো আমার কাছে।’ সে রাজি হয় না। তার বাবা বলেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।
ক. ঝিঙে ফুলকে কে ডেকে যায়?
খ. ‘ভালোবাসি মাটি-মায়’– একথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের রিতার মাতৃকোল ছেড়ে না যাওয়ার বিষয়টি কীভাবে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার সাথে সম্পর্কযুক্ত? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে মায়ের কোলে শিশু এবং পল্লি-প্রকৃতিতে ঝিঙে ফুলের সৌন্দর্য অভিন্ন’— উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : সোবহান সাহেবের পুত্র শিমুল। সে অত্যন্ত মেধাবী ছেলে। গ্রামের মেধাবী ছাত্র হিসেবে সে সবার কাছে আদর পায়। তার মামা চায় সে শহরে গিয়ে লেখাপড়া করুক। শিমুলও চায় মামার সাথে শহরে গিয়ে লেখাপড়া করতে। গ্রামে পড়ে থেকে জীবনকে সে নষ্ট করতে চায় না। পুত্রের এ মানসিকতা দেখে বাবা হতাশ হয়ে পড়েন।
ক. ‘মশগুল’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘চলে আয় এ অকূল!’— ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের শিমুলের সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার ঝিঙে ফুলের মানসিকতার পার্থক্য কোথায় তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের শিমুলের মামা এবং ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার প্রজাপতির আহ্বান যেন একই সূত্রে গাঁথা”— উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : টুম্পা বাড়িতে এবার কয়েকটি কুমড়ো গাছ লাগিয়েছে। একসময় গাছে ফুল ধরে, হলুদ রঙের কুমড়ো ফুলগুলো মাচার ওপর হাওয়ায় দোল খায়। তা দেখে টুম্পার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। তার সব বন্ধুর কাছে ফুলের গল্প করে সে।
ক. ঝিঙে ফুলকে বোঁটা ছিঁড়ে আসার জন্যে কে ডাকে?
খ.’ ‘ভালো এই পথ-ভুল!’— কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের কুমড়ো ফুলের সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার মিলগুলো ব্যাখ্যা করো।
ঘ. টুম্পা ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কবি একই মনোভাবের অধিকারী – বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : নবনিতা বৃক্ষমেলা থেকে একটি ফুলের গাছ এনে উঠানে লাগালো। কিছুদিন পর গাছটিতে ফুল ধরে। গাছটিতে ফুল ধরলে উঠানের পরিবেশটা পরিবর্তন হয়ে যায়। নবনিতা সবাইকে বলে কেউ যেনো গাছ থেকে ফুল না ছেঁড়ে।
ক. ‘ঝিঙে ফুল’ কী রঙের?
খ. ভালোবাসি মাটি মা’য়— এ কথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধরো?
ঘ. নবনিতা ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কবির মনোভাব একই— বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সুমন তার কৃষক বাবাকে কাজে সহায়তা করে। বাবা সবজি চাষ করেন। বাঁধাকপি, গাজর, লাউ ফলান তিনি। লাউয়ের মাচায় সাদা ফুলগুলো এবং কচি লাউ ঝুলে আছে। সুমনের এসব দেখে খুব ভালো লাগে। সবুজ গাছে সাদা ফুল আর সবুজ লাউয়ের দৃশ্য সে ভুলতে পারে না। সে মনে মনে স্থির করে এ মাটির আকর্ষণ ত্যাগ করে বিদেশে যাওয়া ঠিক নয়।
ক. ফিঙে-কুল কী রঙের?
খ. ‘শ্যামলী মায়ের কোলে সোনামুখ খুকু রে’— একথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সুমনের মনোভাব ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার বিষয়বস্তুর সাথে কীভাবে সম্পর্কিত? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. গ্রামের প্রতি সুমনের আকর্ষণ, দেশ ছেড়ে বিদেশে না যাওয়ার বাসনা যথার্থ কি না তা ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার আলোকে যাচাই করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ :
কাজল বিলের কালো পানি
টলোমলো বেশ,
মধ্যিখানে শাপলা মেয়ে
মুখে হাসির রেশ।।
বুক ভরা পাখা মেলে
হেসে ওঠে ভোরে যদি যাও কাজল বিলে
সাথে নিও মোরে।।
ক. ঝিঙে ফুল কোন দেশে ফোটে?
খ. ‘ সবুজ পাতার দেশে ফিরোজিয়া ঝিঙে ফুল।’-লাইনটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার কোন ভাব প্রকাশ পেয়েছে-ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপক ও ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতা একই আবেগে রচিত।’ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর?
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : সিহাব ঢাকা শহরে বড় হয়েছে। গ্রাম তার মোটেও ভালো লাগেনা। তার ধারণা গ্রাম মানে ময়লা, কাদা, ধূলা, বালি আর সাদা-মাটা মানুষের সমারোহ। প্রতি বছর তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেলেও সে শহরেই থেকে যায়। সে বলে, ওখানে মানুষ যায় নাকি?
ক. ‘গুল্মে পর্ণে’ অর্থ কী?
খ. ‘ঝিঙে ফুলদ্ধ কবিতাটি কোন ধরনের তা বুঝিয়ে লেখ?
গ. উদ্দীপকের সিহাবের মনোভাব ‘ঝিঙে ফুল কবিতার বিষয়বস্তু ঠিক উল্টো চিত্র – ব্যাখ্যা কর।
ঘ. গ্রাম ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য সিহাবের মনে দাগ কাটতে পারেনি – ঝিঙে ফুল কবিতা অবলম্বনে এ উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : আনিকার বাবা-মা বিদেশে থাকে। আর আনিকা তার দাদা দাদির সাথে গ্রামে থাকে। তার বাবা মা তাকে বিদেশে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু আনিকা কখনোই যেতে চায় না। সে বাংলা মা ও তার সৌন্দর্য ছেড়ে কোথাও যেতে চায় না।
ক. ‘অলকা’ কী?
খ. ‘বোটা ছিড়ে চলে আয়’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার সাদৃশ্যগত দিকটি আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বাবা-মা যেন ‘ঝিঙে ফুল’ কবিতার প্রজাপতি ও তারার প্রতিনিধিত্ব করে।”মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।
উপরে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে এই প্রশ্নের উত্তরগুলো ডাউনলোড করে নাও।