ছাত্রীকে নিয়ে এক শিক্ষক বানিয়েছেন ব্যঙ্গ কবিতা। সে কবিতা আবৃত্তি করে সহপাঠীসহ অনেকেই ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। আর এর প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়য়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়া সাঙ্গুন বিডি ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর নাম সানজিদা আক্তার মিম। সে নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামের মুর্তজা সরকারের কন্যা। নান্দিয়া সাঙ্গুন বিডি ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম। অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের নাম আল আমিন।
নির্যাতনের শিকার সানজিদা আক্তার মিম বলে, বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক মাহবুব আলম তাকে নিয়ে একটি ব্যঙ্গ কবিতা বানিয়েছে। ওই শিক্ষক স্কুলে বিভিন্ন সময় তার সামনে ওই কবিতা আবৃত্তি করেন। এটি শুনে সহপাঠীরাও ওই কবিতা পড়ে তাকে বিরক্ত করে। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে তার কয়েকজন ছেলে সহপাঠী তাকে ব্যঙ্গ করে ওই কবিতা আবৃত্তি করছিল।
ভুক্তভোগী বলে, এ সময় সে তার সহপাঠীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায়। বিষয়টি জেনে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আল আমীন তাকে ডেকে নিয়ে হাতে, পিঠে ও ঊরুতে বেধড়ক বেত্রাঘাত করেন।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর বাবা মুর্তজা সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিন আমার মেয়েকে চরমভাবে নির্যাতন করেছে। আমার মেয়ে হাত-পা নাড়াতে পারছে না। আমি স্কুলে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে মারপিটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি খারাপ আচরণ করেন।’
অভিযুক্ত শিক্ষক আল আমিন বেধড়ক মারপিটের কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি ওই ছাত্রীকে মাত্র দুটি বেত্রাঘাত করেছেন। ওই ছাত্রীর শরীরে এত আঘাত কোথা থেকে এল? জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরা দুষ্টুমি করেছিল। প্রধান শিক্ষক সামান্য শাসন করেছেন। তিনি বিষয়টি স্থানীয়ভাবে দেখবেন বলে জানান।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।