আসছালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্ধ আসা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা আজকে আমরা সমাজে প্রচলিত একটি কমন অপরাধ নিয়ে আলোচনা করবো। যেটা হলো পরকীয়া যা অধিকাংশ নারী পুরুষ এই অপরাধে জরিত। অনলাইনের যোগ তাই এখন পরকীয়ার হার বেরে গেছে খুব অল্প সময়ে নারী পুরুষ এই অপরাধে জরিয়ে পড়তেছে। তাই আজকে আমরা স্ত্রী পরকীয়া করলে বোঝার উপায় |পরকীয়া নারী চেনার উপায় | স্ত্রী পরকীয়া করলে করণীয় শেয়ার করবো।
স্ত্রী পরকীয়া করলে বোঝার উপায়
- সঙ্গী যদি ফোন/ইন্টারনেটে আসক্ত হয়ে পড়েন
- সঙ্গী যদি আপনার ও পরিবারের পেছনে কম সময় ব্যয় করেন
- সঙ্গীর মুখে নতুন কোন নাম
- কারণে/অকারণে রেগে যাওয়া
- আপনার সাথে যৌ*নসম্পর্কে উদাসীনতা
- আপনার প্রতিদিনের রুটিন খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করা
- সঙ্গী যদি হঠাৎ নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে উঠেন
পরকীয়া নারী চেনার উপায়
- লজ্জাহীন নারী এমন কিছু নারী আছে আপনার চোখের দিকে এমন ভাবে তাকাবে মনে হবে আপনার মনের সব কথা বুঝে ফেলেছে। এইসব নারী থাকে সাবধান।
- কিছু মেয়ে আছে পুরুষ মানুষ দেখলে নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য, চুল ওড়ান এইসব বার এদিক সেদিক করতে থাকে। যাতে পুরুষ সহজে আকৃষ্ট হয়।
- নানাত ভাবে কথা বার্তা বলবে। ভিবিন্ন স্টাইলে কথা বলে পুরুষের মন জয় করার চেষ্টা করে।
- বারবার একা একা দেখা করার ফাঁক খুজে। তা একান্ত একাকি কাউকে সাথে না নিয়ে।
- গভীর রাতে এস এম এস করবে -রাত ১/২ টায়।
- যে সব নারী নেশাগ্রস্ত এইসব নারী থেকে সাবধান। এরা নেশা অবস্থায় সব কিছু হারিয়ে ফেলে।
- অসৎ নারীরা সুযোগ ফেলে যৌ*ন আলাপ শুরু করে দিবে। সেই উত্তেজনার বশে পুরুষ যদি মাত্রাতিরিক্ত কিছু করেও ফেলে, বিপদ কিন্তু পুরুষেরই। এই নারী কিন্তু অবলীলায় দোষ চাপিয়ে দিতে পারে পুরুষের ঘাড়ে।
স্ত্রী পরকীয়া করলে করণীয়
প্রিয় পাঠক প্রথমে দরকার আপনার কথাগুলো আসলে ধারণাপ্রসুত বা শুধুই সন্দেহ কিনা এই টা বুঝার। যদি তাই হয় তাহলে তো আপনার সন্দেহ দূর করে নিলেই সমাধান হয়ে গেল। আর যদি কথাগুলো বাস্তব হয় তাহলে প্রথমত আপনি আপনার স্ত্রীর সঙ্গে ধৈর্যের পরিচয় দিন।
তার ভুল বা অন্যায়গুলো খুঁজে খুঁজে বের করে প্রতিটির জন্য কড়া শাসন করবেন না, এসব বিষয়ে বারবার খোঁচাখুঁচি করবেন না। কারণ, এর মাধ্যমে তার মধ্য থেকে লজ্জাবোধ দূর হয়ে যাবে – যা তার সংশোধনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। তাই শাসন বা জিজ্ঞাসাবাদ হতে হবে ভারসাম্যপূর্ণ।
এর সঙ্গে তার প্রতি আন্তরিকতা, হৃদ্যতা ও ভালোবাসার প্রকাশ অব্যাহত রাখুন। তার কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে যথাসাধ্য আরও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করুন। আপনি অফিসে বা বাড়ীর বাইরে থাকাকালীন সময়ে কয়েকবার ফোনে তার খোঁজ নিন, তার সঙ্গে কথা বলুন। কেননা, আল্লাহর ভয়ের অভাব থাকলে অধিকাংশ সময় স্ত্রীরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজের একাকিত্ব দূর করতে অথবা স্বামীর অনাকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের কারণে।
পাশাপাশি আপনি বিজ্ঞ কোন আলেমের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে নিয়মিত কিছু নসীহত শুনাতে পারেন। ঘরে প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে দশ থেকে পনেরো মিনিটের তালীম চালু করুন।
বাড়ীর আশপাশে কোথাও ভালো আলেমদের বয়ান হলে পর্দার সঙ্গে সেখানে নিয়ে যেতে পারেন। অথবা আপনিও আপনার বাসায় এ ধরনের ইসলামী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেন।
মোবাইল ব্যবহারে কিছু কড়াকড়ি আরোপ করা যেতে পারে। আপনি তাকে বাইরে যেতে এবং কোন পুরুষের সঙ্গে ফোনে বা সরাসরি কথা বলতে পুরোপুরি নিষেধ করে দেবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনার পরিবারস্থ কোন মহিলা – যেমন আপনার মা, বোন, শাশুড়িকে আপনার বাসায় এনে কিছুদিন রাখতে পারেন। এই সাথে সাথে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দুআ-মুনাজাত চালিয়ে যান। ইনশাআল্লাহ, ঠিক হয়ে যাবে সবকিছু। আশা করছি আল্লাহ আপনাকে হতাশ করবেন না।