ব্যাথার ঔষধের নাম কি – ব্যাথার জন্য ঔষধের কাজ | ব্যাথার ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে নিয়ে এলাম ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ব্যাথার ঔষধ খাবার নিয়ম এবং ব্যাথার ঔষধের নাম কি ও ব্যাথার রোগের ঔষধ।
আশা করি আপনাদের অনেক উপকার হবে আমাদের দেওয়া সঠিক তথ্যটি থেকে ।
ব্যাথার ওষধু | ব্যাথার ঔষধের নাম কি
☠️☠️ রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষুধ গ্রহন করবেন না। ☠️☠️
প্রিয় পাঠক-পাঠিকাবৃন্দ এখানে আমরা আপনাদের ঔষধ বা রোগের ঔষধগুলোর ব্যাপারে প্রাথমিক ধারণা দিচ্ছি। আপনার মূল সমস্যা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে রেজিস্টার চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ সম্পর্কে সম্পূর্ন না জেনে শুধুমাত্র সাইট থেকে প্রাথমিক ধারণা নিয়ে কোনো ঔষধ গ্রহন করে আপনার শারীরিক কোনো সমস্যা হলে Educationblog.com এর কোনো অ্যাডমিন দায়ী নয়।
ব্যাথার ওষুধের নাম কি
ওষুধের নামঃ প্রাথমিক ব্যাথার কারণে আপনি প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করতে পারেন। মধ্যম পরিমাণ ব্যাথার কারণে
ও ১২ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ঔষধ গ্রহন করতে পারেন (তবে ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ দীর্ষস্থায়ীভাবে সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
দীর্ষস্থায়ীভাবে ব্যবহারের ফলে তলপেটে ব্যাথা এবং কিডনিতে সমস্যা হতে পারে)।
প্রচন্ড ব্যাথার কারণে আপনি ন্যাপ্রক্সেন (ন্যাপ্রক্সেন-৩৭৫/ ন্যাপ্রক্সেন-৫০০ বা ন্যাপ্রক্সেন আইভি ইনজেকশন) জাতীয় ঔষধ সেবন করতে পারেন।
এর পরেও ব্যাথা না কমলে ব্যাথার মূল কারণ কি তা জানার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং তার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।
ব্যাথার জন্য ঔষধের কাজ
পার্শপ্রতিক্রিয়াঃ প্যারাসিটামল জাতীয়়় ওষুধ সাধারণত তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ দীর্ঘস্থায়ীভাবে সেবন না করাই ভালো। কারণ এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ডাইক্লোফেনাক ও ন্যাপ্রক্সেন জাতীয় ঔষধে সাধারণত বমি বমি ভাব, পাকস্থলীতে গোলযোগ, বুকে জ্বালাপোড়া এবং গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে। তাই ডাইক্লোফেনাক ও ন্যাপ্রক্সেন জাতীয় ঔষধ সেবন করার পর সব সময় গ্যাস্ট্রিকর জন্য ওমেপ্রাজল/ ইসোমিপ্রাজল/ প্যানটোপ্রাজল/ রেবিপ্রাজল জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করবেন।
ব্যাথার ঔষধ খাওয়ার নিয়ম
যাদের ক্ষেত্রে গ্রহন করা যাবেনাঃ গর্ভাবস্থায় প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ ব্যাবহারে তেমন কোনো সমস্যা হয়না। ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ঔষধ গর্ভাবস্থায় ব্যাবহার করা যাবেনা। ন্যাপ্রক্সেন জাতীয় ঔষধ গর্ভাবস্থায় প্রখম দিকে ব্যবহার করা যাবে। তবে গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে এবং শিশুকে দুগ্ধ দেওয়ার সময়ে ন্যাপ্রোক্সেন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার না করাই ভালো।
যাদের প্যারাসিটামল, ন্যাপ্রোক্সেন এবং ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ঔষধের কোন উপাদানের প্রতি শারীরিক সংবেদনশীলতা রয়েছে তারা এ ধরনের ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকুন।