রাজধানীর কোনো কোনো বাজারে খোলা সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তা সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না তেলের বাজার। তেলের এই লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ৪ সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
বুধবার (৯ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে মিল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- সকল সরবরাহ আদেশে (এসও) প্রাইস লেখা থাকতে হবে, এখন পর্যন্ত যত এসও আছে আগামী ২৪ মার্চের মধ্যে ক্লিয়ার করতে হবে, তেল কোথাও পাচার হচ্ছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা এবং তেল সরবরাহে ব্যবহৃত ট্রাকগুলো থেকে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা।
এছাড়া মিল গেটে সরেজমিনে গিয়ে সাপ্লাই, ডেলিভারি, আমদানি ইত্যাদি বিষয়ে পাঠানো তথ্য যাচাই করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের টিমের সঙ্গে অন্যান্য সংস্থার যৌথ টিম।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল বিপণণকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। তাদের প্রস্তাবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। আর ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮৭০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়।
নতুন এই দর ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়। কিন্তু গত ২ মার্চ সচিবালয়ে নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, বিপণনকারী কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের দাম আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, সামনে রমজান মাস। তাই এখন সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো যাবে না। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রীর দাম না বাড়ানোর এ নির্দেশের পর ওইদিন বিকালেই সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম অটোমেটিকভাবে আরেক দফা বেড়ে যায়।