ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক কে ছিলেন?
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক: ইসলাম মতে এই ধর্মের কোন প্রবর্তক নেই। পৃথিবী প্রথম মানুষ ছিলেন আদম (আঃ)। যাকে ঈশ্বর/আল্লাহ নবুয়ত দিয়েছিল। ফলে তিনি ছিলেন দুনিয়ার প্রথম নবী। তারপর একের পর এক নবী এসেছেন এবং এভাবে নবী মূসা(আঃ)[মোজেজ], নবী ঈসা(আঃ)[যিশু] হয়ে সর্বশেষ নবী হলে নবী মুহাম্মদ(সাঃ)
তবে অনেকেই ইসলামের মূল প্রবর্তক হিসেবে নবী ইব্রাহীম( আঃ) কে মনে করেন। নবী ইব্রাহীম (আঃ) কে মুসলিম জাতির পিতা বলা হয়
তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে মৃতজীব, রক্ত, শূকরের গোশ্ত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারোর নামে যবেহকৃত জীব এবং কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে, আহত হয়ে, ওপর থেকে পড়ে গিয়ে বা ধাক্কা খেয়ে মরা অথবা কোন হিংস্র প্রাণী চিরে ফেলেছে এমন জীব, তোমরা জীবিত পেয়ে যাকে যবেহ করে দিয়েছো সেটি ছাড়া। আর যা কোন বেদীমূলে যবেহ করা হয়েছে (তাও তোমাদের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও শর নিক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য নির্ণয় করাও তোমাদের জন্য জায়েয নয়। এগুলো ফাসেকীর কাজ। আজ তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কাফেররা পুরোপুরি নিরাশ হয়ে পড়েছে। কাজেই তোমরা তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় করো।
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছি, আমার নিয়ামত তোমাদের প্রতি সম্পূর্ণ করেছি এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছি কাজেই তোমাদের ওপর হালাল ও হারামের যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা মেনে চলো। তবে যদি কোন ব্যক্তি ক্ষুধার জ্বালায় বাধ্য হয়ে ঐগুলোর মধ্য থেকে কোন একটি জিনিস খেয়ে নেয় গুনাহের প্রতি কোন আকর্ষণ ছাড়াই, তাহলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহকারী।
(সূরা মায়েদা আয়াতঃ৩)
ইসলাম কোন গতানুগতিক ধর্ম নয়, যা কোন ব্যক্তি কেন্দ্রিক প্রবর্তন করা হতে পারে।ইসলাম ছাড়া অন্যান্য যত ধর্ম দেখা যায়-প্রতিটি ধর্মের-ই একজন প্রবর্তক দেখা যায়, যে কারণে অধিকাংশ মানুষের ধারনা ইসলামকেও কেউ না কেউ আবিষ্কার করেছে।
আল্লাহপাক আমাদেরকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান অর্জনে তাওফিক দান করুন।
ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা, যাঁকে আমরা মুসলিমরা ডাকি আল্লাহ নামে। আল্লাহ একটি আরবী শব্দ, যার ইংরেজি অনুবাদ The God. বাংলায় অনুবাদ করতে গেলে ঈশ্বর বলা যেতে পারে, তবে তার পূর্বে একটি The আর্টিক্যাল ধরে নিতে হবে।
তবে পৃথিবীতে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে ব্যক্তির নাম শুনতে চাইলে হযরত আদম (আ) এর নাম বলতে হবে। আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মতে, তিনি হচ্ছেন মানব জাতির আদি পিতা, অর্থাৎ আল্লাহর সৃষ্ট সর্বপ্রথম মানুষ, এবং সেই সাথে সর্বপ্রথম নবী। তাঁর হাত ধরেই পৃথিবীর মাটিতে ইসলামের পদচারণার সূচনা। স্রষ্টার সৃষ্ট প্রথম মানব হিসেবে আদম (আ) এর কথা হিন্দু শাস্ত্রেও পাওয়া যায়, যেখানে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে মনু।
তাঁর পর পৃথিবীতে অনেক নবী এসেছেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নূহ (আ), ইবরাহীম (আ), ইউসুফ (আ), ইউনূস (আ), সুলায়মান (আ), দাঊদ (আ), মুসা (আ), ঈসা (আ), মুহাম্মাদ (স) প্রমুখ।
তবে সর্বপ্রথম ইসলাম বা মুসলিম নামের প্রচলন হয় নবী ইবরাহীম (আ) এর মাধ্যমে। ইসলামের জন্য তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে মুসলিম জাতির পিতা বলা হয়ে থাকে। আসলে, পৃথিবীতে ইসলাম প্রবর্তনের ব্যাপারে, অর্থাৎ আল্লাহ বা স্রষ্টার বাণী প্রচারের ব্যাপারে প্রত্যেক নবীরই অবদান রয়েছে।
শ্রীকৃষ্ণ এবং গৌতম বুদ্ধও আল্লাহর নবী হতে পারেন বলে অনেক স্কলার ধারণা করে থাকেন। তবে পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে পৃথিবীর সকল প্রধান ধর্মগ্রন্থ যেমন বেদ, তোরাহ, বাইবেল, কুরআন ইত্যাদি গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে দেখতে পাওয়া যায়, এ সকল ধর্মগ্রন্থগুলোতে সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে এবং মানুষের জীবন বিধানের ব্যাপারে প্রায় একই ধরণের কথা বলা রয়েছে, যা প্রমাণ করে এ সকল ধর্মগ্রন্থগুলোর মূল উৎস একই।
মুহাম্মাদ (স) হলেন সর্বশেষ নবী। তাঁর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের পূর্ণতা লাভ হয়, অর্থাৎ তাঁর মাধ্যমে মানব জাতির জন্য আল্লাহ সর্বশেষ ও পূর্ণাঙ্গ বিধান প্রেরণ করেন। সেই সাথে পূর্বের সকল বিধানকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। অর্থাৎ ইসলামের ফাইনাল ভার্শন চলে আসার পর আল্লাহ পূর্বের সকল ভার্শনকে বাতিল করে দিয়ে ফাইনাল ভার্শনটিকে একমাত্র ভ্যালিড ভার্শন হিসেবে জারি করেন, যা পৃথিবীর শেষ সময় পর্যন্ত বহাল থাকবে।