ওযু ছাড়া কি মোবাইলে কুরআন পড়া যাবে ?
ওযু ছাড়া কি মোবাইলে কুরআন পড়া যাবে
ওযু ছাড়া কি কুরআন পড়া যাবে :মোবাইলের স্ক্রিনে দৃশ্যমান কোরআন মাজিদ স্থায়ী নয়। কিছু আলোকরশ্মির মাধ্যমে তা দৃশ্যমান হয়। সুতরাং তা ওজু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে। সমকালীন বিখ্যাত ফকীহ শাইখ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের, শাইখ সালেহ ফাওযান প্রমুখ এমনই ফতোয়া দিয়েছেন।
দেখুন-(আলইসলাম,সুওয়াল-জওয়াব,ফতোয়া নং:১০৬৯৬৬১)
এছাড়া এর ওপরে গ্লাসের আবরণও থাকে। এ কারণেও কেউ কেউ বলেন তা ওজু ছাড়া স্পর্শ করা যায়।
অপরদিকে কিছু গবেষক আলেমের মতে,কোরআন মাজিদের যথাযথ মর্যাদা রক্ষার্থে মোবাইলের স্ক্রিনে দৃশ্যমান অংশও বিনা ওজুতে স্পর্শ করা যাবে না।
সারকথা,বিষয়টি যেহেতু মতভেদপূর্ণ। তাই স্ক্রিনে দৃশ্যমান কোরআনের আয়াত বিনা ওজুতে স্পর্শ না করাই শ্রেয়।
ওযু ছাড়া কি কুরআন পড়া যাবে
ওযু ছাড়া কুরআন পড়া জায়েজ।
ওযু ছাড়া কুরআন থেকে যা মুখস্ত তা পড়া জায়েজ।
ওযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা জায়েজ যদি উপরে কোন পর্দা দেওয়া থাকে, নতুবা বৈধ নয়। অর্থাৎ আপনি পড়তে পারবেন কিন্তু আরবি লেখাগুলি স্পর্শ করতে পারবেন না।
ওযু ছাড়া কুরআন ক্রয়-বিক্রয়, উঠিয়ে রাখা, নামানো, মুভ করা বৈধ।
অপবিত্র অবস্থা (নারীদের মাসিক অবস্থায়) তারা কুরআন পাঠ করতে পারবেন মুখস্ত অংশ, স্পর্শ করে পাঠ করতে পারবেন না।
মুসলিম ব্যতীত অন্য ধর্মালম্বীরা স্বভাবত নাপাক, তাই তারা কুরআন পাঠ করতে পারেন না, তবে এক্ষেত্রে কঠোর হওয়া যাবে না, কারন তারা কুরআন পড়ে, জেনে শুনেই তো মুসলিম হবেন।
অতিরিক্ত একটা ভূল ধারণা দূর করি, কুরআন
কোরান হাদীস কম জানায় সহজভাবে একটা উদাহরণ দেয়।
পায়খানায় যেতে গেলে কেউ কি ওজু করে যায়, বা পায়খানা থেকে বের হলে কারও ওযু থাকে? অবশ্যই থাকে না। কিন্তু পায়খানা প্রশ্রাবের বিষয়ে দোয়া আছে। অর্থ্যাৎ ওযু না থাকলেও প্রয়োজনে পড়া যায়। আর কোরান হাদিসের কথা বাদই দিলাম সম্মান প্রদর্শনের জন্য হলেওতো ওযু ছাড়া কোরান ধরা ঠিক না। কারণ ওযু বলতে পবিত্রাকে বুঝানো হয়েছে। একটা ঐশী গ্রন্থকে কেন আমরা ওযু ছাড়া ধরবো!!!!!
হাত থেকে পড়ে গেলে কিছুই করতে হবে না, আপনার কোন পাপও হবে না, কারন আপনার তো আর কুরআনকে অপমান করার ইচ্ছা ছিল না, তাই মসজিদের হুজুরকে 500 টাকা, কিংবা মসজিদে 5 কেজি চাল, কিংবা 100 বার তওবা (যেটি আপনার এলাকায় প্রচলিত) কোন কিছুই করতে হবে না।
অজু ছাড়া কুরআন মুখস্থ বা স্পর্শ ব্যতীত তেলাওয়াত জায়েজ আছে। কিন্তু কুরআন শরীফ স্পর্শ করা জায়েজ নয়। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে,
” উহাকে (কুরআন) পবিত্রতা ব্যতীত স্পর্শ করতে পারবে না।” (সূরা ওয়াকেয়া;79)
হাদিসে বর্ণিত আছে, পবিত্র ব্যক্তি ই কুরআন স্পর্শ করবে। (নাসায়ী শরীফ)
স্পর্শ করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মুখে তেলাওয়াতের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই ওজু ছাড়া কুরআন না ধরে মুখস্থ তেলেওয়াত করতে পারবে।
পক্ষান্তরে যদি কারো উপর গোসল ফরজ হয়। (পুরুষের স্বপ্নদোষ বা স্ত্রী মিলনের মাধ্যমে, নারীদের পিরিয়ড বা অন্য কোনোভাবে) এমতাবস্থায় কুরআন পবিত্রতা ব্যতীত মুখে পড়াও জায়েজ নেই । তেলাওয়াতের পূর্বে গোসল করে পবিত্র হতে হবে।
ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল সাঃ বলেছেন হায়েজ এবং যুনুবি ( যার উপর গোসল ফরজ) ব্যক্তি কুরআনের কোনো অংশ ই পড়বে না। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, বায়হাকী)
যেহেতু গোসল ফরজ ব্যক্তির উপর স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও অজুহীন ব্যক্তির নিষেধাজ্ঞা আসে নি। তাই অজু ছাড়া কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে। এবং বিজ্ঞ উলামায়ে কেরাম এই মত ই পেশ করে থাকেন।
তবে সর্বাবস্থায় কুরআন অজুর সাথে তেলাওয়াত করা উত্তম।
সূত্রঃ আল —হিদায়া।
যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না”। ___ সূরা ওয়াকিয়া ৫৬:৭৯।
অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে কি যাবে না এ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে, এখনো হচ্ছে। আসুন দেখে নেই সত্যিই অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে কি-না।
আল কুরআনের যে আয়াতের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় বলে বলা হচ্ছে যে, ‘অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না’ সেটি সূরা ওয়াকিয়ার ৭৯নং আয়াত। এ আয়াতে আল্লাহ্ সুব্হানাহু ওয়া তাআ’লা বলেন,
“যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না”। ___ সূরা ওয়াকিয়া ৫৬:৭৯।
কুরআনের কোন একটি আয়াতকে বিছিন্নভাবে উপাস্থপন করা হলে অনেক সময় তা থেকে ভুল অর্থ বের হতে পারে। সূরা ওয়াকিয়ার ৭৯নং আয়াতের ক্ষেত্রে এমনটিই দেখা যাচ্ছে। অথচ সূরা ওয়াকিয়ার ৭৭-৮০ আয়াত পর্যন্ত দেখলে যে কেউ বুঝতে পারবে এখানে আল্লাহ্তাআ’লা কি বুঝাতে চেয়েছেন।
আল্লাহ্তাআ’লা বলছেন,
“নিশ্চয়ই ইহা সন্মানিত কুরআন, যাহা সুরক্ষিত আছে কিতাবে। যাহারা পূত-পবিত্র তাহারা ব্যতীত অন্য কেহ তাহা স্পর্শ করে না। ইহা জগতসমূহের প্রতি পালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ”। ___ সূরা ওয়াকিয়া ৫৬:৭৭-৮০।
একটি বিষয় এ ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, একই বিষয়ের উপর কুরআনের অন্যান্য আয়াতগুলিও সামনে রাখতে হবে যাতে করে ভুল অর্থ করা থেকে বেচে থাকা যায়। যেমন সূরা আশ-শুয়ারার ২১০-২১২ আয়াত সমূহ। শানে নুযুলও এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আয়াতটি নাযিলের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অবহিত করে। সুতরাং এখানে সূরা ওয়াকিয়ার ৭৯নং আয়াতটিকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। সূরা ওয়াকিয়ার ৭৭-৮০ আয়াতগুলির শানে নুযূল কি? তা হচ্ছে, মক্কার কাফির মুশরিকরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে গণক, যাদুকর ইত্যাদি বলতো। তারা বলে বেড়াতো শয়তান কুরআন নিয়ে এসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে পড়ে শিখিয়ে দেয়। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেটা অন্যদের জানায়। কাফিরদের এই প্রচারণার উত্তর আল্লাহ্তাআ’লা কুরআনের বেশ কয়েক যায়গায় দিয়েছেন। তার মধ্যে সূরা ওয়াকিয়ার এ আয়াতগুলি এবং সূরা আশ্-শু’আরার কয়েকটি আয়াত।
যেখানে আল্লাহ্তাআ’লা বলেন,
“শয়তানরা উহাসহ(কুরআন) অবতীর্ণ হয় নাই। উহারা এই কাজের যোগ্য নহে এবং উহারা ইহার সামর্থ্যও রাখে না। উহাদিগকে তো শ্রবণের সুযোগ হইতে দূরে রাখা হইয়াছে।” ___ সূরা শু’আরা ২৬:২১০-২১২।
সুতরাং এখানে এটা স্পষ্ট যে সূরা ওয়াকিয়ায় ‘সুরক্ষিত গোপন কিতাব’ বলতে আল্লাহ্তাআ’লা ‘লওহে মাহফুজ’-এর কুরআনকে বুঝিয়েছেন। সূরা ওয়াকীয়ার ৭৯নং আয়াতে ‘মুতাহ্হারুন’ শব্দটির, নিষ্পাপ এবং অজু-গোসল করে পবিত্র, এ দুটি অর্থ হয়। তাই এ আয়াতে মুতাহ্হারুন বলতে আল্লাহ্তাআ’লা কি নিষ্পাপ সত্তা, নাকি অজু-গোসল করে পবিত্র হওয়া সত্তা বুঝিয়েছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইব্নে কাসীর(র) এ আয়াতের তাফসীরে ‘মুতাহ্হারুন’ বলতে ‘নিষ্পাপ ফেরেশতা’ বলেছেন। মুফতি শফি(র) তাঁর তাফসীর গ্রন্থ মা’আরিফুল কুরআনে এ আয়াতের তাফসীরে লিখেছেন, ‘পাক-পবিত্র কারা? বিপুল সংখ্যক সাহাবী ও তাবেঈ তাফসীরবিদদগণের মতে এখানে ফেরেশ্তাগণকে বোঝানো হয়েছে, যারা পাপ ও হীন কাজকর্ম থেকে পবিত্র।
হযরত আনাস, সায়ীদ ইব্ন জুবায়ের ও ইব্ন আব্বাস(রা) এই উক্তি করেছেন(কুরতুবী, ইব্ন কাসীর) ইমাম মালিক(র) ও এ উক্তিই পছন্দ করেছেন (কুরতুবী)’। আর পৃথিবীর কুরআন তো সুরক্ষিত নয়, যে কেউ যখন-তখন তা ধরতে ও পড়তে পারে। সূরা ওয়াকিয়ার ৭৯নং আয়াত যখন নাযিল হয় তখন কুরআন আজকের মত বই আকারে ছিল কি? ছিল না! যদি না থাকে তাহলে স্পর্শ করার প্রশ্ন অবান্তর।
পবিত্রতা বলতে আমরা দুই প্রকার পবিত্রতার কথা বুঝি। একটি হচ্ছে বাহ্যিক নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জন, আরেকটি হচ্ছে কুফুরী, শিরক থেকে পবিত্রতা অর্জন। যেমন আল্লাহ্তালা বলেন,
<<>> “হে মু’মিনগণ! মুশরিকরা তো অপবিত্র; সুতরাং এই বৎসরের পর তাহারা যেন মসজিদুল হারামের নিকট না আসে।” ____ সূরা তাওবা ৯:২৮।
মুশরিক কাকে বলে? যিনি আল্লাহ্র সাথে কাউকে শরীক করেন তিনি হচ্ছেন মুশরিক। যেমন যিনি আল্লাহ্র প্রতি ঈমান এনেছেন তিনি মু’মিন, যিনি সালাত আদায় করেন তিনি মুসাল্লী, যিনি সফরে থাকেন তিনি মুসাফির, যিনি হিজরত করেছেন তিনি মুহাজির ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় আল্লাহ্র সত্তা, গুনাবলী এবং এখতিয়ারের সাথে কোন জিনিস, মানুষ, প্রাণী বা বস্তুকে প্র্ত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট করাই হচ্ছে আল্লাহ্র সাথে শরীক করা। আল্লাহ্র সাথে কোন কিছুকে শরীক করার এই কাজটিই শির্ক। শির্ককারী মানে মুশরিক। ঈমানদার কি কখনো মুশরিক হতে পারে? পারে! আল্লাহ্তাআ’লা তো তা-ই বলেন,
“তাহাদের অধিকাংশ আল্লাহে বিশ্বাস করে, কিন্তু তাঁহার শরীক করে (অর্থাৎ মুশরিক ব্যতীত কিছুই নয়)।” ___ সূরা ইউসুফ ১২:১০৬।
ঈমানদার মুশরিক হওয়ার পর যদি বুঝতে পারে সে শিরকে লিপ্ত এবং সে তা থেকে এখন মুক্ত হতে চায়, তাহলে তাকে তাওবা করে নতুন করে কালেমার সাক্ষ্য দিতে হবে। যদি এ কাজটি সে না করে তাহলে সে যতই অজু করুক তার নাপাকী যাবে কি?
আল্লাহ্তাআ’লা কুরআনকে মানব জাতির হিদায়েতের জন্য নাযিল করেছেন, শুধু মুসলমানদের জন্য নয়। এখন একজন অমুসলিম যদি ইসলাম সম্পর্কে জানতে চান, কুরআন পড়ে দেখতে চান তাহলে তাকে কি কুরআন পড়তে দেয়া যাবে না? মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ আছে যেমন মিসর, লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান ইত্যাদি যেখানে অনেক খৃষ্টান বসবাস করেন এবং তাদের মাতৃভাষা আরবী। তারা যদি মনস্থির করেন আগে কুরআন পড়ে দেখবেন তারপর বুঝে ইসলাম গ্রহন করবেন, তাদেরকে তাহলে কি উত্তর দেয়া যাবে? ধরুন তাদেরকে বলা হল আপনারা অজু করে আসুন। এখন বলুন তাদের এই অজু কি তাদের পবিত্র করতে পারবে? কারণ এটা একটা বাহ্যিক কাজ মাত্র, তারা তো অন্তর থেকে তখনও আল্লাহ্তাআ’লাকে মেনে নেয়নি? আর অজুর হুকুম তো শুধু মুসলমানদের জন্যে।
ডা. মরিস বুকাইলি একজন ফরাসী চিকিৎসক যিনি বাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান বইটির লেখক। বইটিতে তিনি দেখিয়েছেন কুরআনে কোন ভুল নেই এবং আজকে বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত কোন প্রতিষ্ঠিত সত্য কুরআনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। বাইবেলে বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিষয়ে যা বলা হয়েছে তাতে ভুল রয়েছে। তিনি যখন এই বই লিখেন তখন প্রথমে বিভিন্ন ভাষায় কুরআনের অনুবাদের উপর নির্ভর করেন। পরবর্তীতে কুরআনকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য তিনি আরবী ভাষা শিখেন এবং কুরআনের অনুবাদগুলিকে যাচাই করেন। পরে তিনি ইসলামকে তার জীবন ব্যবস্থা হিসাবে গ্রহন করেন। আল্হামদুলিল্লাহ্ এখন তিনি একজন মুসলিম। এখন বলুনতো তাকে যদি কুরআন ধরতে না দেওয়া হতো তাহলে কি তিনি কুরআন নিয়ে এ গবেষনা করতে পারতেন এবং ইসলাম কবূল করতেন? এখন আমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনার পরেও মুশরিক তাদের অবস্থা কি? আল্লাহ্তাআ’লা তো বলেছেন, তারা যেন মসজিদুল হারামের কাছে না আসে, তার মানে তারা হজ্জ করতে পারবে না তাই নয় কি? কিন্তু তারা কি আল্লাহ তা’আলার এই আদেশ মানছেন?
ঈমানদারদের মধ্যে যারা মুশরিক, তারা মুশরিক হওয়ার পর আদৌ কি ঈমানদার থাকে? আর মুশরিকদের ঠিকানা কোথায় হবে বলুন তো?
মুশরিকদের সম্পর্কে আল্লাহ্তাআ’লা বলেন,
“কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফরী করে তাহারা এবং মুশরিকরা জাহান্নামের অগ্নিতে স্থায়ীভাবে অবস্থান করিবে; উহারাই সৃষ্টির মধ্যে নিকৃষ্ট।” ___ সূরা বায়্যিনা ৯৮:৬।
যারা নিজেদেরকে ঈমানদার হিসাবেই মনে করছে অথচ তারা মুশরিক যাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম, তাদের অজু করে কুরআন ধরলেই কি আর পড়লেই কি, কোন তফাৎ আছে কি?
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“যখন কুরআন পাঠ করিবে তখন অভিশপ্ত শয়তান হইতে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করিবে।” ___ সূরা নাহ্ল ১৬:৯৮।
শয়তানের এক নম্বর কাজ হচ্ছে মানুষকে কুরআন তথা আল্লাহ্র হিদায়তের নূর থেকে দূরে রাখা। যে কারণে কেউ কুরআন পড়লে অর্থ বুঝার ব্যাপারে সে যেন শয়তানের খপ্পরে পড়ে না যায়, ধোকা না খায়, তাই আল্লাহ্তাআ’লা তাঁর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলেছেন। তাই তো আমরা দেখতে পাই অনেকে কুরআন পড়ে ভিন্ন অর্থ বুঝে, যে অর্থ আল্লাহ্তাআ’লা বুঝাতে চাননি। আবার অনেকে আছেন কুরআনের অর্থ বোঝার ব্যাপারে উদাসীন। তাদের কথিত মুরুব্বী, পীর ইত্যাদিরা কুরআনের যে অর্থ করে সেটাকেই মেনে নেয়, অন্য আলিমবৃন্দ তার কি অর্থ করেছে তা যাচাই বাছাই করে দেখে না। কিন্তু যদি তাদের জিজ্ঞেস করেন ভাই কুরআন কি বুঝে পড়েন? তাহলে তারা আপনাকে উত্তর দিবে প্রথমতঃ মুরুব্বীদের নিষেধ আছে, দ্বিতীয়তঃ যেহেতু তারা আরবী ভাষা জানেন না সেহেতু তারা সরাসরি অর্থ বুঝতে পারেন না।