Blog
1 min read

স্ট্রেচ মার্ক কি, কেন এবং কোথায় হয়? স্ট্রেচ মার্ক দূর করার উপায় কি?

স্ট্রেচ মার্ক সাধারণত অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, হরমোনজনিত সমস্যা এবং নারীদের গর্ভধারণের সময় স্কিনের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয় স্কিনে। স্ট্রেচ মার্ক দেখতে লম্বাকৃতির এবং ফাটা দাগের মতোই দেখায়। কখনো কখনো রঙ পাল্টে তা ফ্যাঁকাসে বা লালচে অথবা বেগুনী রঙেরও হয়।

স্ট্রেচ মার্ক কি, কেন এবং কোথায় হয়?

স্ট্রেচ মার্ক সাধারণত অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি, হরমোনজনিত সমস্যা এবং নারীদের গর্ভধারণের সময় স্কিনের আয়তন বেড়ে যাওয়ায় স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয় স্কিনে। স্ট্রেচ মার্ক দেখতে লম্বাকৃতির এবং ফাটা দাগের মতোই দেখায়। কখনো কখনো রঙ পাল্টে তা ফ্যাঁকাসে বা লালচে অথবা বেগুনী রঙেরও হয়।

বাড়তি ওজনের কারণে শরীরের চামড়ার আয়তন বেড়ে যায়। তখন ত্বকের টানটান ভাব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ত্বকের কোলাজেনের ফাইবার ছিঁড়ে যায় এবং ত্বকে এমন দাগের সৃষ্টি হয়। ত্বকের ভেতরকার স্তরটি তখন দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ফেটে গিয়ে এমন দাগ সৃষ্টি করে। এছাড়া, স্টেরয়েড জাতীয় ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এবং কোলাজেন ফাইবারের সমস্যা হলে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়।

শরীরের বিভিন্ন অংশেই এই দাগ দেখা দিতে পারে। তবে বিশেষ করে পেট, কোমর, হাত, ঘাড়, উরু এবং এমনকি নারীদের স্তনেও এই দাগ দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পুরুষদের ঘাড় এবং হাঁটুর পেছনের অংশে এই দাগ দেখা দেয়। এই দাগে কোন জ্বালাপোড়া বা চুলকানি থাকে না; তবে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট করে ।

স্ট্রেচ মার্ক দূর করার কার্যকরী উপায় কি?

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং নিয়মিত ব্যায়াম করলেই দূর করা সম্ভব। তবে ব্যস্ততার কারণে হয়তো নিয়মিত রুটিন মেনে চলাটা সম্ভবপর হয় না। তখন বাধ্য হয়েই নিতে হয় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অথবা ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক প্রোডাক্টের ব্যবহার। তবে এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ব্যবহারে স্ট্রেচ মার্ক দূর হবার সম্ভাবনা প্রবল এবং ডাক্তাররাও সেগুলোই ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই –

ভিটামিন এ (ট্রেটিনইন, রেটিন-এ, রেটিনক এসিড)

ভিটামিন এ কম্পাউন্ডের রেটিনয়েড স্কিনের কোলাজেনের মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি স্ট্রেচ মার্ক, রিঙ্কেলস ও কুঁচকে যাওয়া ভাব দূর করে। তবে রেটিনয়েড ব্যবহারে ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক। কেননা, ত্বকের ধরণ অনুযায়ী এটি সাময়িক সময়ের জন্য ত্বকে লালচে ভাব ও ইরিটেশন করতে পারে। ভিটামিন এ সম্পন্ন দাগ দূর করে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার একটি কার্যকর ক্রিম হচ্ছে বায়োজিনের Mesotech MaxWhite -Strong Skin Action. আর স্কিনে কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে আছে – Dermofuture Active Collagen in Gel.

কোকোয়া বাটার ও শিয়া বাটার

কোকোয়া এবং শিয়া দুটি বাটারই স্কিনের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যা স্কিনের স্ট্রেচ মার্ক ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে অত্যন্ত কার্যকর। পাশাপাশি এই দুটি উপাদান স্কিনকে করে নরম, কোমল ও মসৃণ। কোকোয়া বাটার ও শিয়া বাটারের গুণসম্পন্ন বেশ কয়েকটি প্রোডাক্ট আছে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসের বিশ্বমানের ডার্মো কসমেটিকসে। তবে দাগ নির্মূলে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য – Mesotech Reoil Skin Nutrition.

এছাড়াও, বায়োজিনে আছে Scarsilc Advanced Silicone Gel for Scars এবং Dermedic Melumin Depigmenting Anti Dark Spot Night Cream স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে দারুণ কার্যকরী।

ট্রিটমেন্ট

তবে শুধু প্রোডাক্টই নয় বরং সর্বাধুনিক ট্রিটমেন্টেও শরীরের স্ট্রেচ মার্ক দূর করা সম্ভব। তবে সেজন্য নিতে হবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অথবা ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ। ডার্মোরোলার এবং মাইক্রোনিডলিং দুই ফর্মুলাতেই স্ট্রেচ মার্কের ট্রিটমেন্ট করা সম্ভব। চলুন মাইক্রোনিডলিং ফর্মুলা সম্পর্কে জেনে নেই –

মাইক্রোনিডলিং ফর্মুলা

ইলেক্ট্রোপোরেশন পদ্ধতিতে মাইক্রোনিডলিং ফর্মুলায় স্ট্রেচমার্ক দূর করার কার্যকর সিরাম ত্বকে প্রয়োগ করা হয়। এসব সিরামে থাকে একটিভ উপাদান যা ত্বকের স্ট্রেচ মার্ক রিমুভ করতে অত্যন্ত কার্যকর। ডার্মাটোলজিস্ট স্বীকৃত এমনই একটি স্ট্রেচ মার্ক রিমুভাল সিরাম হচ্ছে Global Meso Cocktail. এই থেরাপির প্রথম সেশন থেকেই স্ট্রেচ মার্কের দাগ ম্লান হতে শুরু করে। আর ধীরে ধীরে ত্বক হয় দাগহীন, মসৃণ এবং ফ্রেশ।

তাহলে এবার কমেন্ট করে জানিয়ে দিন স্ট্রেচ মার্ক দূর করতে আপনার কাছে কোনটা বেশি কার্যকর

স্ট্রেচ মার্ক বা ফাটা দাগ দূর করার উপায়

যদিও স্ট্রেচ মার্ক বা ফাটা দাগ বাহির থেকে খুব একটা দেখা যায় না। তারপরেও এটা দেহের সৌন্দর্য একেবারে মাটি করে দেয়। অনেক কারণে এই দাগ হয়ে থাকে। তকের সমস্যা, মোটা থেকে শুকিয়ে গেলে এই দাগ হয়ে থাকে।

বিশেষ করে আফটার প্রেগনেন্সিতে এই দাগ প্রকট আকার ধারণ করে। তবে অল্প একটু যত্ন নিলে কিন্তু এই দাগ আর হবে না। বা থাকবে না। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে দূর করবেন ফাটা দাগ।

এখন বাজারে স্ট্রেচ মার্ক বা ত্বকের ফাটা দাগ দূর করার জন্য অনেক রকম জেল, ক্রিম, লোশন পাওয়া যায়। এই প্রোডাক্টগুলো স্ট্রেচ মার্ক বা সেলুলেট জেল নামে বেশী পরিচিত। আপনি চাইলে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। অথবা বাড়িতে নিজেই কিছু কিছু উপাদান দিয়ে দূর করতে পারেন এই দাগ।

কিছু টিপস : গ্লাইকলিক অ্যাসিডযুক্ত বিভিন্ন বিউটি পণ্য যেমন টোনার, ক্লিনজার ও ময়শ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করুন। এই অ্যাসিড ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করুন। দিনে ৩ বার ফাটা দাগের উপর ম্যাসেজ করুন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ক্রিম না পেলে সাপ্লিমেন্টও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টটি দিনে ৩ বার খেতে হবে। (অবশ্যই ডক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী)

প্রতিদিন তিনবার ফাটা স্থানের উপর ডিমের সাদা অংশ ৫-১০ মিনিটের জন্য ম্যাসেজ করুন। যতদিন দাগটি নির্মূল না হয় ততদিন এই পদ্ধতিটি করে যাবেন। শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে লেবুর একটি টুকরা নিয়ে দাগের উপর ১৫ মিনিট ধরে ম্যাসেজ করুন। এতে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।

ফাটা দাগ নির্মূলে বিভিন্ন ধরণের তেল একসাথে মিশিয়ে দাগের উপর প্রতিদিন ১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন। উপকার পাওয়া যাবে।
চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে তা প্রতিদিন ফাটা দাগের উপর প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট ম্যাসেজ করুন।
এর জন্য আরেকটি প্রসেজ এ্যাপ্লাই করতে পারেন। এটি হল একটি আলু নিয়ে তা মোটা করে ২ টুকরা করে ফাটা দাগের উপওে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এর রস ভালো মত লাগলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন স্থানটি।

ঘৃতকুমারির পাতা নিয়ে এর ভেতর থেকে জেলী সদৃশ অংশটি বের করে দাগের উপরে লাগিয়ে ২ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এপ্রিকট ফলের বিচি ফেলে দিয়ে এর পেস্ট বানিয়ে দাগের উপর ১৫-২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন প্রতিদিন দুইবার।

প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিমের সাদা অংশ, দই, বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তরমুজের বীজ খাবেন। এগুলো আপনার ত্বককে জলযোয়িত রাখবে। শরীরের ফাটা দাগ নির্মূলে সহায়তা করবে।

Rate this post