পানিসম বা তুল্য জলাঙ্ক কাকে বলে?

কোনাে বস্তুর তাপমাত্রা একক পরিমাণ (1°) বাড়াতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়ােজন হয়, সে তাপ দিয়ে যতটুকু পানির তাপমাত্রা এক ডিগ্রি (1°) পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায় তাকে ওই বস্তুর পানিসম বলে।

পদার্থবিজ্ঞান (Physics) বিষয়ের প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। আলোক নল কি?
উত্তরঃ একগুচ্ছ অপটিক্যাল ফাইবারকে আলোক নল বলে। চিকিৎসকরা মানবদেহের ভেতরের কোনো অংশ দেখার জন্য এরূপ আলোক নল ব্যবহার করেন। এন্ডোসকপির সাহায্যে শরীরের ভেতরের অংশের ছবি তুলতে এ নল ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-২। হল বিভব কি?
উত্তরঃ কোন তড়িৎবাহী পরিবাহককে চৌম্বক ক্ষেত্রে স্থাপন করলে তড়িৎ প্রবাহ ও চৌম্বকক্ষেত্র উভয়ের সাথে লম্ব বরাবর যে বিভব পার্থক্যের সৃষ্টি হয় তথা ভোল্টেজ উৎপন্ন হয় তাই হল বিভব।

প্রশ্ন-৩। স্থিতিস্থাপকতা কাকে বলে?
উত্তরঃ বল প্রয়োগে যদি কোনো বস্তুর আকার বা আয়তন বা উভয়ের পরিবর্তন ঘটে, তাহলে বস্তুর যে ধর্মের জন্য প্রযুক্ত বল সরিয়ে নেওয়ার পর বস্তুটি তার আগের অবস্থা ফিরে পায়, তাকে স্থিতিস্থাপকতা বলে।

প্রশ্ন-৪। প্রতিফলক দূরবীক্ষণের সুবিধা কি?
উত্তরঃ প্রতিফলক দূরবীক্ষণের সুবিধাগুলো নিচে তুলে ধরা হলো–

  • লক্ষ্যবস্তু থেকে বেশি পরিমাণ আলাে পাওয়ার জন্য দূরবীক্ষণ যন্ত্রে বড় উম্মেষের অভিলক্ষ্য ব্যবহার করতে হয়। প্রতিসারক দূরবীক্ষণের অভিলক্ষ্যে ব্যবহৃত বড় উম্মেষের লেন্স বেশি পরিমাণ আলােকরশ্মি শােষণ করে বলে প্রতিবিম্বের ঔজ্জ্বল্য হ্রাস পায়। অপরদিকে, প্রতিফলক দূরবীক্ষণের অভিলক্ষ্যের বড় উম্মেষের অবতল দর্পণ আলাে শােষণ করে না বলে প্রতিবিম্ব বেশি উজ্জ্বল হয়।
  • এই যন্ত্রের প্রতিবিম্ব রঙিন ত্রুটি ও গােলীয় ত্রুটি মুক্ত হওয়ায় তা অনেক বেশি স্পষ্ট হয়।

প্রশ্ন-৫। পরবশ কম্পন কাকে বলে?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর ওপর আরোপিত পর্যাবৃত্ত স্পন্দনের কম্পাঙ্ক বস্তুর স্বাভাবিক কম্পনের কম্পাঙ্কের চেয়ে ভিন্নতর হলে বস্তুটি প্রথমে অনিয়মিতভাবে কম্পিত হয় পরে আরোপিত কম্পনের কম্পাঙ্কে কম্পিত হতে থাকে। এই ধরনের কম্পনকে পরবশ কম্পন বলে।

প্রশ্ন-৭। নিয়ন্ত্রিত বিভাজন বা নিউক্লিয় রিঅ্যাকটর কাকে বলে?
উত্তরঃ নিউক্লিয় বিভাজন থেকে উৎপন্ন তাপশক্তিকে তড়িৎশক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য এমন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, যাতে অতি অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়ে সমগ্র প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় এবং যাতে দীর্ঘ সময় ধরে সমহারে শক্তির সরবরাহ পাওয়া যায়। একে নিয়ন্ত্রিত বিভাজন বা নিউক্লিয় রিঅ্যাকটর বলা হয়।

প্রশ্ন-৮। হিমায়ন পদ্ধতি বা রেফ্রিজারেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ যে পদ্ধতির সাহায্যে কোনাে বস্তু বা স্থান শীতল করে এর শীতলতা বজায় রাখা যায়, তাকে হিমায়ন পদ্ধতি বা রেফ্রিজারেশন বলে। হিমায়ন প্রক্রিয়ায় নিম্ন তাপমাত্রা হতে তাপ শােষণ করে উচ্চ তাপমাত্রায় তাপ স্থানান্তর করে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *