মোবাইল ফোনের ভাইব্রেশন এর সাথে আমরা সকলেই পরিচিত। ফোনে কোন কল বা নোটিফিকেশন আসলে এটি অনবরত ভাইব্রেট করে ফলে আমরা কল বা নোটিফিকেশন সম্পর্কে জানতে পারি।
আমরা সকলেই জানি মোবাইল ফোন একেক সময় একেক ধরণের ভাইব্রেশন করে।
যেমন, মোবাইলে কল আসলে এক ধরনের ভাইব্রেশন বা কম্পন, নোটিফিকেশন আসলে এক ধরনের আবার এলার্মের সময় দেখা যায় আরেকধরনের কম্পন হচ্ছে!
কখনো কি খেয়াল করেছেন বা ভেবে দেখেছেন কেন বা কিভাবে এমন হয়?
স্মার্টফোনে ভাইব্রেটরগুলো উপরের ছবিতে দেখানো মত একটি ছোট উপাদান দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে। এই কম্পন সৃষ্টির জন্য মোবাইলে দুই ধরণের মোটর রয়েছে:
- eccentric rotating motor (ERM) এবং
- linear resonant actuator (LRA)
কম্পন যেমনি হোক না কেন, কম্পনের প্রক্রিয়াটি সফ্টওয়্যার বা হার্ডওয়্যার থেকে প্রাপ্ত কোন সংকেত দিয়ে শুরু হয কিংবা স্ক্রিনে টাচ করা মাধ্যমে শুরু হয়।
মোবাইলে কোন কল বা নোটিফিকেশন আসলে অথবা স্ক্রিনে টাচ করলে হার্ডওয়্যার থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত (ইলেকট্রিক্যাল সিগনাল) মাইক্রো প্রসেসরে চলে যায়। বিভিন্ন টাচ সেন্সেশনের জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম করা থাকে।
আপনার ফোনের কাজের উপর মাইক্রোপ্রসেসর সিদ্ধান্ত দেয় যে ঠিক কি ধরনের ভাইব্রেশন প্রয়োজন এবং সে অনুযায়ী সিগনাল প্রেরণ করে। ফলে আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন রকম কম্পন অনুভব করি।
একটি ফোন কত ফ্রিকোয়েন্সিতে কম্পন করে?
ফোন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির ব্যবহৃত কম্পন মোটর স্পেসিফিকেশনগুলি বিশ্লেষণ করে জানা যায় বর্তমানে মোবাইল ফোনে ভাইব্রেশন মোটরের ফ্রিকোয়েন্সি প্রায় 160 হার্জ এবং 180 হার্জ এর মধ্যে।
মোবাইল কম্পন কি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে?
আমাদের মোবাইল ফোনের ভাইব্রেশন গুলি কিন্তু মোটেও ঝুকিমুক্ত নয়। এটি আমাদের দেহের কিছু না কিছু ক্ষতি করে।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মোবাইল ফোনের কম্পনের কারণে মাথা-ব্যথা, পেটের সমস্যা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে ফেলতে পারে।এছাড়াও এ কম্পন স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
তাই আমাদের সকলের স্মার্টফোন ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।