সূরা আল-ইনশিকাক | অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ
সুরা নং – ০৮৪ : আল-ইনশিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ), মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা – ২৫, অবতীর্ণের অনুক্রম – ০৮৩
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি ।
إِذَا السَّمَاءُ انْشَقَّتْ [1]
[1] ইযাস্ সামা-য়ুন্ শাকক্বত্।
[1] যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে,
وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ [2]
[2] অআযিনাত্ লিরব্বিহা-অহুকক্বত্
[2] আর তার রবের নির্দেশ পালন করবে এবং এটাই তার করণীয়।
وَإِذَا الْأَرْضُ مُدَّتْ [3]
[3] অইযাল্ র্আদুমুদ্দাত্।
[3] আর যখন যমীনকে সম্প্রসারিত করা হবে।
وَأَلْقَتْ مَا فِيهَا وَتَخَلَّتْ [4]
[4] অআল্ক্বত্ মা-ফীহা-অতাখল্লাত্।
[4] এবং পৃথিবী তার গর্ভস্থিত সবকিছু বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শুন্যগর্ভ হয়ে যাবে।
وَأَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَحُقَّتْ [5]
[5] অআযিনাত্ লিরব্বিহা-অহুকক্বত্।
[5] আর তার রবের নির্দেশ পালন করবে এবং এটাই তার করণীয়।
يَا أَيُّهَا الْإِنْسَانُ إِنَّكَ كَادِحٌ إِلَى رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلَاقِيهِ [6]
[6] ইয়া য় আইয়ুহাল্ ইন্সা-নু ইন্নাকা কা-দিহুন্ ইলা-রব্বিকা কাদ্হান্ ফামুলাক্বীহ্।
[6] হে মানুষ, তোমাকে তোমরা পালনকর্তা পর্যন্ত পৌছতে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তার সাক্ষাৎ ঘটবে।
فَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ [7]
[7] ফা আম্মা-মান্ ঊতিয়া কিতা-বাহূ বিইয়ামীনিহী।
[7] অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে;
فَسَوْفَ يُحَاسَبُ حِسَابًا يَسِيرًا [8]
[8] ফাসাওফা ইয়ুহা-সাবু হিসা-বাইঁ ইয়াসীরন।
[8] তার হিসাব-নিকাশ সহজে হয়ে যাবে
وَيَنْقَلِبُ إِلَى أَهْلِهِ مَسْرُورًا [9]
[9] অ ইয়ান্ক্বলিবু ইলা-আহ্লিহী মাস্রূর-
[9] আর সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে আনন্দিত হয়ে ফিরে যাবে।
وَأَمَّا مَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ وَرَاءَ ظَهْرِهِ [10]
[10] অ আম্মা-মান ঊতিয়া কিতা-বাহূ অর-য়া জোয়াহ্ রিহী।
[10] আর যাকে তার আমলনামা পিঠের পেছনে দেয়া হবে,
فَسَوْفَ يَدْعُو ثُبُورًا [11]
[11] ফাসাওফা ইয়াদ্ ঊ’ ছুবূরও।
[11] অতঃপর সে ধ্বংস আহবান করতে থাকবে।
وَيَصْلَى سَعِيرًا [12]
[12] অ ইয়াছ্লা- সা‘ঈরা-।
[12] আর সে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে।
إِنَّهُ كَانَ فِي أَهْلِهِ مَسْرُورًا [13]
[13] ইন্নাহূ কা-না ফী য় আহ্লিহী মাস্রূরা-।
[13] নিশ্চয় সে তার পরিবার-পরিজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল।
إِنَّهُ ظَنَّ أَنْ لَنْ يَحُورَ [14]
[14] ইন্নাহূ জোয়ান্না আল্লাইঁ ইয়ার্হূ।
[14] নিশ্চয় সে মনে করত যে, সে কখনো ফিরে যাবে না।
بَلَى إِنَّ رَبَّهُ كَانَ بِهِ بَصِيرًا [15]
[15] বালা য় ইন্না রব্বাহূ কা-না বিহী বাছীরা-।
[15] হ্যাঁ, নিশ্চয় তার রব তার প্রতি সম্যক দৃষ্টি দানকারী।
فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ [16]
[16] ফালা য় উকসিমু বিশ্শাফাক্বি
[16] অতঃপর আমি কসম করছি পশ্চিম আকাশের লালিমার।
وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ [17]
[17] অল্লাইলি অমা-অসাক্ব।
[17] আর রাতের কসম এবং রাত যা কিছুর সমাবেশ ঘটায় তার।
وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ [18]
[18] অল্ক্বামারি ইযাত্তাসাক্ব।
[18] আর চাঁদের কসম, যখন তা পরিপূর্ণ হয়।
لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَنْ طَبَقٍ [19]
[19] লার্তাকাবুন্না ত্বোয়াবাক্বন্ ‘আন্ ত্বোয়াবাক।
[19] অবশ্যই তোমরা এক স্তর থেকে অন্য স্তরে আরোহণ করবে।
فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ [20]
[20] ফামা-লাহুম্ লা-ইয়ুমিনূনা।
[20] অতএব তাদের কী হল যে, তারা ঈমান আনছে না?
وَإِذَا قُرِئَ عَلَيْهِمُ الْقُرْآنُ لَا يَسْجُدُونَ [21]
[21] অইযা-কুরিয়া ‘আলাইহিমুল্ কুরআ-নু লা-ইয়াস্জুদুন্।
[21] আর যখন তাদের কাছে কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা সিজদা করে না।
بَلِ الَّذِينَ كَفَرُوا يُكَذِّبُونَ [22]
[22] বালিল্লাযীনা কাফারূ ইয়ুকায্যিবূন্।
[22] বরং কাফিররা অস্বীকার করে
وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُوعُونَ [23]
[23] অল্লা-হু আ‘লামু বিমা-ইয়ু‘ঊন্।
[23] আর তারা যা অন্তরে পোষণ করে আল্লাহ তা সবিশেষ পরিজ্ঞাত।
فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ [24]
[24] ফাবার্শ্শিহুম্ বি‘আযা-বিন্ আলীমিন্।
[24] অতএব তুমি তাদেরকে যন্ত্রাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ أَجْرٌ غَيْرُ مَمْنُونٍ [25]
[25] ইল্লাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি লাহুম্ আজরুন্ গইরু মাম্নূন্।
[25] কিন্তু যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন প্রতিদান।
বি.দ্র: অন্য ভাষায় কুরআন সঠিক উচ্চারণ লেখা কখনই সম্ভব নয়। অনুগ্রহপূর্বক কষ্ট করে আরবি শিখে নিবেন।