বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমানে বিকাশ একাউন্ট খুলা একদম সিম্পল। সকল এয়ারটেল, রবি, গ্রামীনফোন, টেলিটক ও বাংলালিংক গ্রাহকগণ নিজের ফোন থেকেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে।

বিকাশ কি?

আমাদের দেশে মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ আদান-প্রদানের একটি অন্যতম সার্ভিস হচ্ছে বিকাশ ( bkash)। বিকাশ একাউন্ট খুলে একজন গ্রাহক বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে তার মোবাইলে টাকা জমা, উত্তোলন ও নিজের ফোন থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তর করতে পারে।

বিকাশ একাউন্ট থেকে কি কি সেবা পাওয়া যায় ?

একজন বিকাশ গ্রাহকের একাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা থাকলে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকেই বিকাশের বিভিন্ন সেবা ভোগ করতে পারবে। বিকাশের বর্তমান সেবাগুলো হচ্ছে –

  • একাউন্টে টাকা জমা করে রাখা যায়।
  • পেমেন্ট করা যায়।
  • এজেন্ট বা ব্র্যাক ব্যাংকের ATM থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়।
  • রিচার্জ করা যায়।
  • ঘরে বসেই বিভিন্ন যানবাহনের টিকিট কাটা যায়।
  • প্রোডাক্ট কেনার বিনিময়ে মূল্য পরিশোধ করা যায়।
  • বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণ করা যায়।
  • বিদ্যুৎ বিল ও বেতন প্রদান করা যায়।
  • অটো-রিচার্জ চালু করে বিকাশ থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যালেন্স রিচার্জ করা যায়।
  • মানি ট্রান্সফার করা যায়।
  • ইন্টারনেটে কেনাকাটা করা যায় ইত্যাদি।

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করব কীভাবে?

আপনার একটি স্মার্টফোন থাকলেই আপনি খুব সহজে গুগল প্লে স্টোর থেকে থেকে একদম ফ্রিতে বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়া নিম্নের লিঙ্কে ক্লিক করেও আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন।

বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড

বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমানে ৩ টি পদ্ধতিতে বিকাশ একাউন্ট খুলা যায়। এগুলো হলো –

  1. মোবাইলে বিকাশ অ্যাপ ইনস্টল করে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলা।
  2. বিকাশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে একাউন্ট খুলা
  3. বিকাশ এজেন্টের কাছে বা কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে একাউন্ট খুলা।

বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি কি লাগবে?

  • বিকাশ অ্যাপ
  • ইন্টারনেট কানেকশন
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  • যেকোন একটি এক্টিভ ফোন নাম্বার
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (এজেন্টের ক্ষেত্রে)

অ্যাপের সাহায্যে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলার নিয়ম

অ্যাপের সাহায্যে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে নিম্নের ধাপগুলো অনুসরণ করুন –

 

ধাপ ১ঃ

ঘরে বসে নিজে নিজে বিকাশ একাউন্ট খুলতে প্রথমে আপনার ফোনের গুগল প্লে স্টোর / অ্যাপেল স্টোর থেকে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন।

ধাপ ২ঃ

বিকাশ অ্যাপটি “Open” করে লগইন / রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৩ঃ

রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পর নিম্নের ছবিতে দেখানো ফোন নাম্বারের জায়গায় যে নাম্বারটি দিয়ে একাউন্ট খুলতে চান সেটি দিয়ে “পরবর্তীতে “ ক্লিক করুন।

ধাপ ৪ঃ

আপনার দেওয়া সিমের নাম্বারট কোন অপারেটর (গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল) তা সিলেক্ট করুন।

ধাপ ৫ঃ

অপারেটর সিলেক্ট করার পর ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার ফোন নাম্বারে একটি কোড পাঠানো হবে। এটি আপনি মেসেজ অপশনে পেয়ে যাবেন। নিম্নের দেখানো অংশে কোডটি বসিয়ে “কনফার্ম করুন” অংশে ক্লিক করুন।

ধাপ ৬ঃ

এবার আপনি নিয়ম ও শর্তসমূহ এর একটি পেইজ দেখতে পাবেন। এসব নিয়ম ও শর্তে আপনি যদি রাজি থাকেন তাহলে ” নিয়ম ও শর্তসমূহে সম্মত আছি” বাটনে ক্লিক করুন।

ধাপ ৭ঃ

এ ধাপ থেকেই শুরু হবে বিকাশের আসল রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া। এখানে আপনাকে ৩ টি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এগুলো হলো –

  1. আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের (NID) সামনের সামনের ও পিছনের অংশের ছবি দিতে হবে।
  2. আনুষঙ্গিক তথ্যাবলী
  3. আপনার ছবি

ধাপ ৮ঃ

এ ধাপে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের (NID) সামনের অংশ নিচে দেখানো ছবির ফ্রেমের মধ্যে রাখুন এবং ছবি তুলুন। আপনার ছবিটি ক্লিয়ার হয়েছে কিনা তা যাচাই করুন তবে কোন কারণে অস্পষ্ট হলে আবার তুলুন। সামনের অংশের ছবি তুলা হয়ে গেলে সাবমিট করুন।

নোট: ভেরিফিকেশনের জন্য স্পষ্ট ছবি দেওয়া বাঞ্ছনীয়।

ধাপ ৯ঃ

এবার আগের মত করে জাতীয় পরিচয় পত্রের ( NID) পিছনের দিকের ছবি তুলুন। NID কার্ডের পিছনের ছবিটি স্পষ্ট হয়েছে কিনা যাচাই করুন, স্পষ্ট না হলে আবার তুলে সাবমিট করুন।

ধাপ ১০ঃ

NID কার্ডের সামনে ও পিছনের ছবি সাবমিট করা হয়ে গেলে আপনি কিছু তথ্য দেখতে পাবেন। এখানে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী সকল তথ্য নিশ্চিত করুন এবং কোন ভুল থাকলে তা সংশোধন করে “পরবর্তী” তে ক্লিক করুন।

ধাপ ১১ঃ

এ ধাপে আপনার সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য (লিঙ্গ, আয়ের উৎস, আনুমানিক মাসিক আয়,পেশা) চায়বে। এসবের সঠিক তথ্য দিয়ে “পরবর্তী” তে ক্লিক করুন।

ধাপ ২ঃ

এবার আপনার নিজের ছবি তুলতে হবে। ছবি তুলার জন্য ৩ টি নির্দেশ অনুসরণ করতে হবে। এবার “ছবি তুলুন” এ ক্লিক করুন। ছবি তুলার অপশন আসলে আপনার মুখমণ্ডল ক্যামেরার সামনে নিয়ে এসে ছবি তুলুন।

ধাপ ৩ঃ

এ ধাপে বিকাশের নিকট সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করুন।

ধাপ ৪ঃ

এখন কনফার্মেশন মেসেজের (SMS) জন্য অপেক্ষা করুন। মেসেজ পাওয়ার পর লগইন করলেই হয়ে গেল আপনার বিকাশ একাউন্ট।

এবার অ্যাপের সাহায্যে আপনি বিকাশের সব সেবা উপভোগ করতে পারবেন।

এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি যদি এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান তাহলে আপনাকে আপনার এলাকার নিকটস্থ বিকাশ এজেন্টের কাছে যেতে হবে। তারপর আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে। এসব কাজ সম্পর্কে জানার আগে চলুন আগে বিকাশ এজেন্ট কি?, এজেন্ট হতে টাকা লাগে কি না, এজেন্ট হতে কি কি প্রয়োজন এসব বিষয়ে আগে জেনে নেই। তাহলে খুব সহজেই বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বিকাশ এজেন্ট কি?

বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর প্রতিনিধিদের বলা হয় বিকাশ এজেন্ট। এসব বিকাশ এজেন্টগণ স্থানীয়ভাগে বিকাশের সব সেবা প্রদান করে থাকে। এজেন্টগণ Cash In, Cash Out বা Bill প্রদানের মতো বিকাশ সেবাগুলো গ্রাহকদের প্রদান করে থাকেন। মূলত শতকরা কমিশন হারে বিকাশ এজেন্টগণ ইনকাম করে থাকে।

বিকাশ এজেন্ট হতে কত টাকা লাগে?

বিকাশ কতৃপক্ষ বিকাশ এজেন্ট হতে নির্দিষ্ট কোনো টাকার কথা জানায় নি। এর মানে হলো ট্রেড লাইসেন্স আছে, এমন যে কোন ব্যক্তি বিকাশ এজেন্ট হতে পারবে।

বিকাশ এজেন্ট হতে কি কি লাগে?

কেউ যদি বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে ব্যবসা করতে চায় তাহলে তাকে বিকাশ এজেন্ট হতে হবে। এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত তথ্য ও ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবেঃ

  • এজেন্ট হতে ইচ্ছুক ব্যাক্তির ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) / পাসপোর্ট / ড্রাইভিং লাইসেন্স।
  • ট্রেড লাইসেন্স (বাধ্যতামূলক)
  • ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা
  • যোগাযোগের নম্বার ও ঠিকানা

বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

নিরবিচ্ছিন্ন সেবার কারণে বর্তমানে বিকাশ আমাদের দেশের সকলের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। তাই এখন সবার ঘরে ঘরে রয়েছে বিকাশ একাউন্ট। দিন দিন এ বিকাশের জনপ্রিয়তার কারণে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসাও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু অনেকেই আছে যারা জানেন না বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট কীভাবে খুলতে হয়। তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে নিম্নে এ নিয়ে আলোচনা করা হলো –

এজেন্ট একাউন্ট খোলার জন্য আপনার নিম্নের তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে।

  • জাতীয় পরিচয়পত্র/লাইসেন্স।
  • ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • সচল মোবাইল নাম্বার।
  • ট্রেড লাইসেন্স।
  • আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম।

এ সকল তথ্যাদি বা ডকুমেন্ট পূরণ করে আপনাকে এজেন্টের নিকট জমা দিতে হবে। এভাবেই নিশ্চিতকরণ SMS এর পর পিন নাম্বার দিয়ে আপনার একাউন্ট সেট করে নিতে হবে। ব্যাস হয়ে গেলো।

মার্চেন্ট একাউন্ট

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট কি?

ব্যবসায়িক লেনদেন পরিচালনা করতে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ব্যবহার করা হয়। বিকাশ পারসোনাল অর্থাৎ ব্যাক্তিগত একাউন্টের চেয়ে বেশ কিছু অনন্য সুবিধা পাওয়া যায় বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে।

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে নিম্নোক্ত তথ্য ও ডকুমেন্টসমুহ দরকার হয়ঃ

  • ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি মোবাইল ফোন
  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর ফটোকপি
  • ২ কপি পার্সপোট সাইজের ছবি
  • মেয়াদ আছে এমন প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার আবেদন করা যাবে এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। আবেদনের পর ফর্মে উল্লেখিত ফোন নাম্বারে কল করে বিকাশ মার্চেন্ট অফিসে আসার জন্য বলা হবে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টের সহিত অফিসে সাবমিট করার পর বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট তৈরী হয়ে যাবে।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়, সেই ক্ষেত্রে আপনি কোনো ধরণের ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাবেন না। কিন্তু কেউ যদি বিকাশ একাউন্ট খুলতে চান, সেটা বিকাশ এপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে একাউন্ট খুলতে আপনাকে যেতে হবে বিকাশ এজেন্টের কাছে। আপনাকে আপনার দুইকপি ছবি, জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যেতে হবে বিকাশ এজেন্টের কাছে। তারাই আপনাকে একাউন্ট খুলতে সাহায্য করবে।

বিকাশের সুবিধা

বিকাশ আগমনের ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন হয়ে উঠে অনেক সহজ। আমাদের কাজ কর্মে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে সব সময় পাশে রয়েছে বিকাশ। চলুন জেনে আসি বিকাশে সুবিধার সমূহের কথা –

  • বিকাশের ফলে আমরা মুহূর্তে পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে অর্থ লেনদেন  করতে পারি।
  • বিকাশের মাধ্যমে আমরা আমাদের যাবতীয় বিল সমূহ যেমন: ইন্টারনেট বিল, মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ বিল সকল ধরণের বিল সমূহ বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারি।
  • বিকাশের মাধ্যমে ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কেনাকাটা করতে পারি।
  • এছাড়াও অনেক ব্যাংকের থেকে টাকা বিকাশ একাউন্ট এ ঘরে বসে ট্রান্সফার করে মুহুর্তে টাকা উঠানো যায়।
  • অনেক সময় বিকাশ এস এম ই উদ্যোক্তাদের লোন সুবিধা দিয়ে থাকে।

বিকাশ একাউন্ট দেখার নিয়ম

এতোক্ষণে নিশ্চয়ই খুলে ফেলেছেন বিকাশ একাউন্ট। কিন্তু বিকাশ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করার নিয়ম জানা আছে কি? তাহলে চলুন জেনে আসি কিভাবে চেক করতে হয় বিকাশ একাউন্ট?

আপনি যদি এপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যালেন্স চেক করতে চান তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে  বিকাশ এপ্লিকেশন খুলবেন। পিন নাম্বার প্রদানের পর চেক ব্যালেন্স অপশন থেকে চেক করতে পারবেন ব্যালেন্স।

আপনি যদি এপ্লিকেশন ছাড়া কোডের মাধ্যমে ব্যালেন্স চেক করতে চান তাহলে আপানার মোবাইল দিকে *247# ক্লিক করে 8 নম্বর অপশনে  বিকাশে গিয়ে চেক ব্যালান্সে আপনার একাউন্টে টাকা দেখতে পাবেন।

বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন

অনেক সময় আইডি কার্ড না থাকাতে, অনেকে তার বয়সের বড় কোন ব্যক্তির আইডি কার্ড ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্ট খুলতে হয়। তেমনি বিকাশ একাউন্ট কৃত নানা ঝামেলায় সেই ব্যক্তিকে খুঁজে সাথে নিয়ে সমস্যা সমাধান করা বেশ কষ্টসাধ্য বটে।

তাই অনেক সময় ব্যক্তিগত প্রয়োজনবোধ থেকে আমরা বিকাশের মালিকানা পরিবর্তন করতে চাই। কিন্তু আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট মালিকানা পরিবর্তন করতে চান তা কিন্তু ঘরে বসে করতে পারবেন না।

বিকাশ অফিসে গিয়ে আপনাকে বিকাশ একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করে নিতে হবে। তার জন্য আপনাকে নিচের বিষয় মেনে চলতে হবে –

  • আপনি যে একাউন্টের মালিকানা পরিবর্তন করতে চান সেই একাউন্ট সচল হতে হবে।
  • একাউন্টে আপনার কত টাকা  বিদ্যমান রয়েছে তা জানাতে হবে।
  • যে নম্বরে একাউন্ট রয়েছে সেই নাম্বার সচল থাকতে হবে।
  • যার নাম একাউন্ট রয়েছে তার একটি ছবি লাগবে সাথে আইডি কার্ডের ফটোকপি লাগবে।
  • যার নাম একাউন্ট পরিবর্তন করে নিতে চান তার এক কপি রঙিন ছবি।

বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন

অনেক ক্ষেত্রে আমাদের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার পরিবর্তন করার প্রয়োজন পরে থাকে। একাউন্ট পরিবর্তন করার জন্য –

  • বিকাশের হেল্পলাইনে  কল দিতে হবে।
  • বিকাশ হেল্পলাইনে নিয়োজিত ব্যক্তি আপনার একাউন্টের এর সত্যতা যাচাই করার জন্য আপনার একাউন্টের নাম ও একাউন্ট নাম্বার জিজ্ঞেস করবে।
  • তারা তথ্য যাচাই করার পর আপনার সমস্যার কথা জানতে চাইবে।
  • পরবর্তীতে তাদের নিৰ্দেশনা অনুযায়ী একাউন্ট পরিবর্তন করে নিতে পারবেন।

একটি ভোটার আইডি কার্ড (NID) দিয়ে কয়টি একাউন্ট খোলা যায়?

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হউক কিংবা কোনো ধরণের ব্যবসায়িক কাজে আমাদের মাঝে মাঝে একাধিক বিকাশ একাউন্টের প্রয়োজন পরে। কিন্তু আপনি কি জানেন একটি আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি  বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?

আপনাদের অবগতির জন্য, জানিয়ে রাখা ভালো যে একটি এনআইডি কার্ড দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে। আপনি যদি একটি  এনআইডি কার্ড দিয়ে একাধিক একাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে সে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যদি বিকাশ একাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে চান তাহলে যেন আইডি দিয়ে শুধুমাত্র একটি বিকাশ একাউন্ট খোলা শ্রেয়।

বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

অনেক সময় মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে, সিম পরিবর্তন করলে, সিম হারিয়ে গেল, কোন কাজে বিকাশ একাউন্ট পরিবর্তন করার প্রয়োজন পরে। বিকাশ একাউন্ট বন্ধ করা একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। এটি আপনি কোনো ওয়েবসাইট কিংবা এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে করতে পারবেন না।

  • কাজটির জন্য আপনাকে বিকাশের অফিসে যেতে হবে।
  • বিকাশের নির্দিষ্টি অফিসে গিয়ে আপনাকে যে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে একাউন্ট খুলেছেন সেই কার্ডটি সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
  • যদি আপনি অন্য কারো নাম একাউন্ট করা থাকে তাকে সাথে করে নিয়ে জিতে হবে।
  • তারপর সমস্ত নিয়মাবলী পূরণ করে ডিলিটকৃত একাউন্টের ব্যালেন্স জিরো করে ডিলেট করতে হবে একাউন্ট।

বিকাশ একাউন্ট সম্পর্কে সচরাচর জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন

কে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবে?

উত্তরঃ ১৮ বছর বা তার অধিক বয়সী বাংলাদেশের নাগরিক প্রয়োজনীয় ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইনেন্স কিংবা পাসপোর্ট থাকলে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

বিকাশ একাউন্ট খুলতে কত টাকা খরচ হয়?

উত্তরঃ বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোনো টাকা খরচ হয়না, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যেকেউ বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারে।

বিকাশ একাউন্ট খুলতে কি ব্যাংক একাউন্ট লাগে?

উত্তরঃ না, বিকাশ একাউন্ট খুলতে ব্যাংক একাউন্ট থাকা জরুরি নয়।

বিকাশ এর পিন ভুলে গেলে কি করবো?

নিজে নিজে বিকাশ পিন রিসেট করতে *২৪৭# ডায়াল করে ৯ চাপুন এবং স্ক্রিনে দেখানো ইনস্ট্রাকশান অনুসরণ করুন। এছাড়াও 16247 নাম্বারে কল করার মাধ্যমে সাহায্য নিতে পারেন। support@bkash.com ও livechat.bkash.com – ব্যবহার করেও সহায়তা পাবেন। এছাড়াও যোগাযোগ করতে পারেন নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে।

বিকাশ একাউন্ট খুলতে কোথায় যেতে হবে?

উত্তরঃ উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে যেকেউ ঘরে বসেই বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারে। তবে এতে যদি আপনার সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে নিকটস্থ বিকাশ এজেন্ট বা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে একাউন্ট খুলতে পারবেন।

একটি NID দিয়ে কয়টি বিকাশ একাউন্ট খোলা যাবে?

একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আপনি একটি বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।

অ্যাপ ছাড়া কি বিকাশ একাউন্ট খোলা যায়?

হ্যাঁ। তবে সেক্ষেত্রে আপনার বিকাশ এজেন্টের কাছে অথবা বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে।

Similar Posts