মোট সামগ্রিক আয়।

কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) একটি দেশে যে পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্ম উৎপাদিত হয় তার সমষ্টিকে মোট সামগ্রিক উৎপাদন (GNP) বলে। একটি দেশে কোনো নির্দিষ্ট সময়ে নানা ধরনের দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদিত হয়। কোনো একক মানদণ্ডে এসবের যোগ করা যায় না। তাই বাজার দামে এদের হিসাব করা হয়। সুতরাং কোনো নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) দেশে মোট উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মকে (GNP) এদের গড় দাম দিয়ে গুণ করে তা যোগ করে GNI পাওয়া যায়। মোট সামগ্রিক আয় পরিমাপের সময় কতকগুলো বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। এসব বিষয় হলোঃ

  • দ্রব্যসামগ্রী আর্থিক মূল্যে হিসাব করতে হবে।
  • চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবাকর্ম হিসাব করতে হবে।
  • অর্থ প্রদান করা হয় না এমন সব দ্রব্য ও সেবামূলক কাজ বাদ দিতে হবে।
  • শুধুমাত্র বর্তমান লেনদেনের বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
  • অবৈধ ও বেআইনী কাজকর্ম বাদ দিতে হবে।
  • GNI ধারণাটিকে দুদিক থেকে বিবেচনা করা যায়। যথা: (ক) আয়ের দিক থেকে এরং (খ) ব্যয়ের দিক থেকে।

(ক) আয়ের দিক: একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছরে) কোনো দেশে দ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের জন্য উৎপাদনের উপকরণসমূহ যে পরিমাণ আয় করে তার সমষ্টিকে মোট সামগ্রিক আয় বলে।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *