যেসব শিল্প কারখানায় বৃহৎ শিল্পের তুলনায় কম মূলধন এবং মূলধনের তুলনায় বেশি শ্রমিক নিয়োগ করা হয় তাদের সাধারণত ক্ষুদ্র শিল্প বলে।
‘শিক্ষানীতি ২০১৬’ অনুসারে ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র শিল্পে মূলধনের পরিমাণ ৭৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত।
কুটিরশিল্প বলতে কী বোঝায়?
বিশ্বের প্রায় সব দেশেই কমবেশি কুটির শিল্পের অস্থিত্ব রয়েছে। উন্নত দেশে এগুলো অবসরের শখ এবং ধনীরা ফ্যাশন হিসেবে এগুলো ব্যবহার করে। আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কুটিরশিল্প শ্রমিকরা এটাকে তাদের জীবিকার উৎস হিসেবে মনে করে। চলুন তাহলে কুটির শিল্প কি বা কাকে বলে সে সম্পর্কে জেনে নেই।
যখন কোন প্রোডাক্ট অল্প পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটিরশিল্প বলে। যেমন – তাঁতশিল্প, রেশম শিল্প, কাঠ শিল্প, কাঁসা শিল্প, মৃৎশিল্প, বাঁশ-বেত শিল্প ইত্যাদি।
অর্থাৎ, যেসব শিল্প স্বল্প মূলধন ও সহজলভ্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে উৎপাদন কার্য পরিচালিত হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে।
বাংলাদেশের কারখানা আইনানুযায়ী, “যে শিল্পে ২০ জন বা এর কম লোক কাজ করে তাকে কুটিরশিল্প বলে।”
কুটিরশিল্পে মূলত পরিবারের সদস্যরাই মূলধন ও শ্রমের যোগান দিয়ে থাকে। এসব শিল্পে ভাড়াটিয়া শ্রমিক নিয়োগ করা হয় না। পরিবারের সদস্যগণ যেমন – স্বামী-স্ত্রী, ছেলেমেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারাই উৎপাদন কার্য পরিচালিত হয়।
তাই বলা যায়, যেসব শিল্প সাধারণত স্বল্প মূলধন ও সহজলভ্য যন্ত্রপাতির সাহায্যে পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃক সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে পরিচালিত হয় তাকে কুটিরশিল্প বলে।