যে ল্যাম্পের ফিলামেন্টের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহ করলে অন্ধকার জায়গা আলোকিত হয়, তাকে বৈদ্যুতিক ল্যাম্প বলে। সুতরাং, আলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ল্যাম্প যেমন : ফিলামেন্ট ল্যাম্প, কার্বন ফিলামেন্ট ল্যাম্প, আর্ক ল্যাম্প, টাংস্টেন ল্যাম্প, মার্কারি ভেপার ল্যাম্প, এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ইত্যাদি ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়।
বৈদ্যুতিক বাতির কাজ বৈদ্যুতিক শক্তিকে আলোকশক্তিতে রূপান্তর করে ঘর-বাড়ি, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, হাট বাজার, রাস্তা-ঘাট, রেল আঙিনা ইত্যাদি স্থানের অন্ধকার জায়গাকে আলোকিত করা।
বৈদ্যুতিক ল্যাম্পের শ্রেণিবিভাগ
বৈদ্যুতিক ল্যাম্প মূলত তিন প্রকার। যথা-
(ক) ফিলামেন্ট ল্যাম্প;
(খ) আর্ক ল্যাম্প এবং
(গ) গ্যাস ডিসচার্জ ল্যাম্প।
ফিলামেন্ট ল্যাম্প আবার চার প্রকার। যথা–
(ক) কার্বন ফিলামেন্ট ল্যাম্প;
(খ) ভ্যাকুয়াম মেটাল ফিলামেন্ট ল্যাম্প;
(গ) গ্যাসভরা কুণ্ডলিত মেটাল ফিলামেন্ট ল্যাম্প;
(ঘ) গ্যাসভরা কুণ্ডলিত কুণ্ডলী মেটাল ফিলামেন্ট ল্যাম্প।
গ্যাস ডিসচার্জ ল্যাম্প আবার কয়েক ধরনের হয়। যথা– (ক) সোডিয়াম ভেপার ল্যাম্প; (খ) মার্কারি ভেপার ল্যাম্প; (গ) নিয়ন ল্যাম্প; (ঘ) আর্গন ল্যাম্প; (ঙ) হিলিয়াম ল্যাম্প; (চ) ক্রিপ্টন ল্যাম্প; (ছ) জেনন ল্যাম্প।
বিভিন্ন প্রকার ল্যাম্পের ব্যবহার
নিচে বিভিন্ন প্রকার ল্যাম্পের ব্যবহার উল্লেখ করা হলোঃ
- ফিলামেন্ট ল্যাম্প : ফিলামেন্ট ল্যাম্প সাধারণত বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
- আর্কল্যাম্প : এই ল্যাম্প Search light (সন্ধানি আলো) সিনেমার প্রজেক্ট এবং ম্যাজিক লাইন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- গ্যাস ডিসচার্জ ল্যাম্প : এই সকল ল্যাম্প ফাঁকা বা উন্মুক্ত স্থান আলোকিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন- খেলার মাঠ, রাস্তা ঘাট ইত্যাদি।
- ইনক্যানডিসেন্ট ল্যাম্প : এটি বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতে ব্যবহৃত হয়।
- টিউব লাইট : বাসা-বাড়ি, কলকারখানা, ফ্যাক্টরি, অডিটরিয়াম ইত্যাদি স্থানে ব্যবহৃত হয়।